Today 11 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

বাবার সাথে সেই দিন গুলি

: | : ১২/০৬/২০১৩

father 02

শত মুখের ভীরে একটা শুধু একটা মুখ চোখের মধ্যমনির মাঝে ছায়া রাশি ঝিলমিল করে আর মৃদু কম্পন দেয় কম্পন দেয়। বাবা সে কার নয় উদার মমতা ভরা তোমারী মুখ।উত্তর দক্ষিণ বাতাসের স্পর্শকতার কল্লোল বয়।ঐ আকাশের বুকে কখনো আঁধার জমাট বাঁধে কালবৈশাখীর মেঘ হয়,পূর্ণিমা ছড়ার তার পর অঝোর ঝরা বৃষ্টি পরে তেমনি বাবা তোমাকে না দেখলে আমার বুকের মাঝে তীব্র টর্নেডোর সৃষ্টি হয়। বাবা কেমন আছো? নিশ্চয় বাড়ির সবাই কে নিয়ে ভাল আছো। এ বকুল ফুলের সুগন্ধ ছড়ানোর মত তো সন্ধ্যার সুখতারার মত। কারণ সুস্থ্যতা থাকলে বকুলের গন্ধ পাওয়া যায় তারা দেখা যায়।বাবা তোমাদের ছাড়া আমি কি করে ভাল থাকতে পারি। বাবা,আমি খুব ভাল করে জানি তোমার অক্লান্ত পরিশ্রমের ঘাম ঝরানোর এক ফোটা রক্ত আমার দেহে প্রবাহিত করছে। মাথা থেকে পা পর্যন্ত,ঘাম ঝরে যত ফসল ফলায়ছো তাদের মধ্যে আমি অতুলানো গর্ভ তোমার বাবা।তোমার হাসি,তোমার কান্না সবই উপলদ্ধি করা সান্নিধ্য,একাকীত্বে বুঝতে পাও না পাও?আমি ঠিকি বুঝতে পায় বাবা। আজও ইচ্ছা করে তোমার সাথে সোনালী চিরসবুজ ভরা ফসলের মাঠে যেতে।তুমি তো রোজ যাও মাঠের সাথে তোমার গভীর প্রেম। 

বেশ কয়েক দিন ধরে ভাবছি বাবা তোমার কাছে একটা চিঠি লেখবো,সময়ের ধমাজাল বড়ই দুষ্টুমি করেছে।আজ কেন জানি লেখার ইচ্ছা করছে বাবা। বাবা তুমি হয়তো অনেক কিছু ভুলে গেছো বয়ছের ভাড়ে।তোমার ন্যায় নিষ্ঠা নীতি বান থেকে আমি বুঝতে শিখেছি কিছু কিছু দুঃখ কষ্ট জলপ্রবাত বয়ে জয় করতে হয়। এখন আমি বাবা হয়ে বুঝতে পেরেছি বাবার দায়িত্ব কর্তব্য, বাবা তুমি কথায় কথায় বলতে বড় হোও ছেলেপেলে হোক তখন বুঝবে’ এখনি বুঝি সে সময় এসেছে বাবা তোমার কথায় চিরসত্য হয়ে ফুটলো। বাবা বুক ভাঙ্গা কত কথা কত স্মৃতি সময়ের সেকেন্ডে সেকেন্দে নারা দিয়ে যায়, সময়ের কি নিয়তির কি পরিহাস তার কোন দিন ফিরে পাবো না। এই তো সে দিন লেখার মাঠে বাদাম খেয়ে ফুটবল খেলা দেখেছি কত কাঁনাকাটি করেছি কান্না থামার জন্য ডুল উড়ানো জন্য ডুল বানাতে ঘুড়ি বানাতে আর আমি খা খা রোঁদে পাখির মত উড়ে বেরাতাম আজকি সেই দিনগুলো বড়ই স্লান।সর্বনাশা যমুনা নদীতে কত বার বেড়াতে নিয়ে গিয়েছিলে বলেছিলে কত মানুষের জমিজমা ভাঙ্গছে।সেই কাঞ্চেগিরি জমিও যমুনা খেয়েছে।আমি দেখেছি সেই জমি কত কাউন,পাট,ডাল হয়েছে।মাঝে মাঝে ছেলেপেলেদের সাথে যমুনা নদীতে গোছুল করতে যেতাম, তুমি খুবি করা গলায় শাসন করতে।যমুনা নদীর ভাঙ্গনের দুরচিন্তা করো বাবা,চিন্তা করনা বাবা যাহা হবার হবে।     

বাবা কৈয়েরবিলটার কথা খুব মনে আছে, বর্ষার সময়ে পানিতে হাভুডুবু হয়ে যেতো আর তুমি শেষ রাতে মাছ ধরতে যেতে। মাছ ধরা তোমার এক নেশা ছিল, বড় বড় রুই,কাতলা আর কত মাছ নিয়ে বাড়িতে আসতে।তুমি কিন্তু তামাক পাতার দিয়ে পান খাও বাবা, তোমার শরীর দেখে চেয়ে আর তামাক পাতার পান খাওয় না বাবা। বাবা তোমার গায়কী কণ্ঠে সরাজ,ঝারি গান খুবি ভাল লাগতো, বৈশাখা জ্যৈষ্ঠ মাসে দূর দূরন্ত গ্রাম থেকে লোক আসছ গান গায়তে। আর তোমার হাতের লাঠি খেলা কেউ না দেখলে বিশ্বাসী করবে না তুমি কত ভাল খেলা জানো। তুমি আবার ফুটবলো খেলতে,তোমার হাতের নোক আজও ভাঙ্গা আছে। গাঁও গ্রামের জমিজমা বিতার আচার করে বেড়াতে,গ্রামের মানুষ গুলো তোমার কথা শুনতো,তুমি বাবা নিজে না খেয়ে অপর কে খাওয়াতে,দিন রাত কিছুই মানোনি কার বিপদ হলে ছুটে যেতে। তোমার নীতি কোন দিনো ভুলে যাবার নয়।আমি জানি তোমার মত হতে পারব না কোন দিন বাবা কিন্তু তোমার নাতি আলফি ঠিক তোমার মত হয়েছে। তোমার যেমন রাগ ছিল অভিমান ছিল ঠিক তেমনি হয়েছে ও।মাঝে মাঝে জিত ধরে বলে দাদা কোথায়? দাদার কাছে যাবো।আর সামালেতে পারি না বাবা।আমিও কি? ছোটবেলা আলফির মত ছিলাম নাকি বাবা।আলফির দুরন্তপনা দেখে হয়তো আশ্চয্য হয়ে যাবে বাবা।নিশ্চয় ছোটবেলায় ওর মত তুমি ছিলে?

বাবা আমাকে নিয়ে,তোমার মনে অনেক স্বপ্নছিল তার একটাও পর্ণ করতে পারিনি ক্ষমা করে দিয়ে বাবা। তোমার সাথে অনেক জাগায় বেড়াতে গিয়েছি বেড়াতে নিয়ে গেছো।এক অভাবের আর্তনাদ ছিল তা তুমি বুঝতেই দাওনি,খুব ছোট বেলায় তোমার বাবা মাকে হারায়েছো,আর আমি দাদা দাদীর আদর পায়নি, এ কষ্টের অনুভূতি কখনো করিনি বাবা। কারণ তোমার দায়িত্ব কর্তব্য দেখে। আমার এই চিঠি পরে কষ্ট পাবে জানি কষ্ট নিয় না বাবা। তোমার সাথে চলতে বেড়াতে ঘুরতে খুবি ভাল লাগতো,বুখের ভীতর লুকানো ভয় গুলো যেন দূরে হয়ে এক সাহজের জন্ম নিতো, এ ভাবে সারাটি জীবন থাকতে পারতাম তাহলে ধন্য হতাম। কিন্তু প্রকৃতি তো বাঁধা হয়ে দাঁড়াবেই এটাই সত্য এটাই ব্যস্তব। মেনে নিওয়া ভীষণ কষ্ট কর। বাবা আমি যেখানে থাকিনা কেনো? তুমি কিন্তু সব সময় আমার চেতনার সাথে থাকো বাবা। বাবা তুমি যে সন্তানের মাথার মুটুক,যে বুঝতে না পায় সে তো বড় হতোভাগা। আমি কিন্তু হাঁরে হাঁরে বুঝতে পেয়েছি তাই তো এই ইট পাথর শহরে তোমাকে খুঁজি এই সবুজ ঘাসের বুকে তীব্র রোদ্দে কারণ তুমি মিশে থাকতে ঐ মাঠ ঘাটে যাহা ছিল তোমার জীবনের চেয়ে প্রিয়ছিল বাবা। ঐ ঘাস ফুল,ঐ গাছের পাতা ছায়ার মাঝে তোমাকে দেখি বাবা।

বাবা মনের যতো অভিমান ভুলে গিয়ে এক বার চলে এসো ঢাকার শহরে।তোমার সাথে সেই দিন গুলোর মত ঘুরে বেড়াব, চিড়িয়া খানায় যাব,জিয়া উদ্যনে যাব,বিমান ঘাঁটিতে যাব,শিশু পার্কে যাব,কমলাপুর রেলতে যাব,যেখানে যেতে চাইবে।আমি আবার ফিরে পাবো হারিয়ে যাওয়া দিনগুলি।তোমারো অনেক ভাল লাগবে, চলে এসো ঢাকার শহরে, আলফির কথা ভেবে চলে এসো বাবা। তুমি তোমার মন শক্তির সঙ্গী পাবে। অনেক কথা হইল বাবা এ বার শেষ করতে হবে, আবার সময় করে কিছু কথা বলবো। আমাদের জন্য দোয়া কর আর আমি দোয়া করি মহান আল্লাহ্‌ যেন সবুজ প্রকৃতির মত সব সময় ভাল রাখে।

লেখক সম্পর্কে জানুন |
সর্বমোট পোস্ট: ০ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ১ টি
নিবন্ধন করেছেন: মিনিটে

মন্তব্য করুন

go_top