অনির্ণীত সম্পর্কের ফর্দ্দ
কী ছিলে আমার তুমি?
ছিলে কি বন্ধু আমার?
না কি ছিলে হৃদয়ের দোসর?
অনির্ণেয় সম্পর্কের ডিঙি নৌকোয় চড়ে
ঝঞ্চাক্ষুব্ধ জীবনের নদী পাড়ি দেবো
এমন কুশলী মাঝি তো নয়।
প্রথাগত ভালোবাসার বাক্য-বন্ধ
কখনো সুড়সুড়িও দেয়নি
আমাদের সম্পর্কের নিটোল শরীরে।
বৃত্তাবদ্ধতাকে উন্নাসিক অবহেলায় তীরবিদ্ধ করতে
আমাদের মতৈক্য ছিল অবাক রকমের।
না, আমাদের পারস্পরিক কোন মুগ্ধতা কেউ আবিষ্কার করতে পারেনি।
বরং কখনো সখনো সমালোচনায় রক্তাক্ত হলে
তোমাকে শত্রুর ভূমিতে দন্ডায়মান দেখেছি।
তুমি কী ছিলে আমার? শত্রু নয়তো?
কখনো – তাড়িয়ে দিয়ে গভীর আঁধার
আলোয় আলোয় ভরিয়ে দিতে বিশ্ব আমার।
কখনো – বন্ধ ঘরের দরজা খুলে
বাগানটা যে ভরিয়ে দিতে মুক্তি নামের ফুলে ফুলে।
রূপ বাহারী, দম্ভ ভারী – হানতে যখন কটাক্ষ;
উথাল-পাতাল দুঃভাবনায় – কীসের যেন সাক্ষ্য?
মোহের নেশায় মায়ার পিছে
মিছেই যখন ঘুরেছি;
তিক্ত বাণীর তীব্র তাপে
অহর্নিশি পুড়েছি।
বিভ্রান্তির মেঘমালা ঝরে
চরাচর আঁধার করা বৃষ্টি হয়ে-
সে আঁধারে তুমি অপহৃতা।
আমি অনির্ণীত সম্পর্কের খুচরো ফর্দ্দগুলো অধ্যয়ন করি।