ওরা আওয়ামিলীগ ওরা বি এন পি
ওরা গণতন্ত্র নিয়ে করে দালালি
ওরা জামায়াত ইসলামি কিংবা হেফাজতী
ওরা ইসলাম নিয়ে করে রাজনীতি
ওরা হিন্দু নয় মুসলিম নয় ওরা বাংলাদেশের মানুষ
ওরা পেট বাছাতে কাজ করে দিন রাত্রি
ওরা শ্রমিক নারী কিংবা পুরুষ
আমরা বলি গার্মেন্টস কর্মী
ওদের মৃত্যুতে আমরা
বাদল দিনে মেঘলা আকাশ
বৃষ্টি শুধুই বৃষ্টি
হালকা হাওয়াই প্রকৃতির
একি হলো সৃষ্টি।
রিমঝিম রিমঝিম
শ্রাবণের বারিধারা,
নেই রাত নেই দিন
আনন্দে হই আত্মহারা।
খালে বিলে অথৈ জলে
মাঠ ঘাঠ থৈ থৈ
ঝিলের জলে শেওলা দেখে
খুকুরা করে হৈ চৈ।
আনন্দে যে মন মেতেছে
আষাঢ় শ্রাবন বান ডেকেছে।
হৃদয় আমার নাচছে যেন
হালকা মেঘের আনাগোনায়,
আনন্দে
সময় বদলে যাচ্ছে
যাচ্ছি আমরাও
বিশ্বায়ন নগরায়নের বিষবাষ্পে যাচ্ছে উড়ে
আমাদের সুসভ্য আলখেল্লা
যাচ্ছে বেড়ে বেলা
সন্ধার অবনীতে খুজে ফিরে দেখি
পড়ে আছে আছে শ্যোন শূন্য তলা
এ জ্বালা আর সহ্য হয় না,না পারি ও না
কোনও ভাবে মেনে নিতে।
বাস্তবতার উলঙ্গতায় আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা-বারবণিতা
আর সূর্য তরূণদের অবগাহন,সত্যকে লুকাতে
চেয়ে মিথ্যের নীপিড়ন
জানো কি বন্ধু !
এদেশের কিছু
শিক্ষিত গরু আছে,
বাঁচার জন্য খায়
না তাহারা খাওয়ার
জন্য বাঁচে।
নিজেদের
ভাবে মহাপণ্ডিত
জ্ঞানী ও বুদ্ধিজীবি
আসলে মাথায় কিছু
নেই, শুধু পচা গোবরের
ঢিবি।
মৌলভী দেখলে নাক
সিটকায়,
মোল্লা দেখলে জ্বলে।
বানরের মতো মুখ
ভেংচায়, নানা কটু
কথা বলে।
ভাবে হায় হায় !
হবে কি উপায় ! এই
মোল্লাদের
দলে-
প্রগতির
যুগে টেনে নিল হায়
দেশটাকে রসাতলে।
মোল্লারা
কলেজ জীবন
রোমিও হলাম,
লেখা পড়ার কথা
ভুলে গেলাম।
চারপাশে সুন্দরী
প্রেম প্রস্তাব,
অপেক্ষায় থাকি
মন আনচান।
প্রেম শুরু
ক্লাস ফাঁকি,
উপযুক্ত জায়গা
পার্কের বেঞ্চি।
সিনেমা,রেস্তোরা
কিংবা মার্কেটে
দেরী হলে শুনি
প্রেমিকার থ্রেট।
প্রেম চলে
চুপিসারে,
মিষ্টি কথায়
মন ভুলিয়ে।
অবশেষে একদিন
প্রেমিকার প্রস্থান,
জীবন যেন
অমাবস্যার আধাঁর।
খোঁচা দাড়ি
অল্প মাতলামি,
নেশায় বিভোর
নষট আমি।
অতঃপর যুদ্ধ যখন শেষ হলো-
সমস্ত শরীর ক্ষত-বিক্ষত; ঘর-দোর ধ্বংসস্তূপঃ
তুমি ধ্বংসস্তূপে নির্মাণের স্বপ্নদীপ জ্বালালে।
উন্মত্ত লোভের শিখা সকল স্বপ্নকে অন্ধকার
এবং বিশ্বাসকে সমাধিস্থ করলো;
শ্যামলিমা আচ্ছন্ন করে হিংসার মেঘ,
রক্তের খেলায় ধুলোয় গড়ায় মনুষ্যত্ব।
তারপর .. .. .. .. ..
ধ্বংসস্তূপেই আমাদের বসবাসঃ
আমরা নির্মাণ জানি না।।
আমাদের ক্লাশে আছে
সেরা দশ জন
আড্ডাতে বসে যায়
যখন খুশি তখন।
একে একে বলি এখন
দশ জনের গল্প
আমি আমির বর্ণনা করছি
করে অল্প অল্প।
সুনামগঞ্জের ছেলে
মামুন তার নাম
সারা কলেজ জুড়ে
আছে তারই সুনাম।
হাজীপুরের মেধাবী মেয়ে
সেরা তাহমিনা
তার সাথে কথা বলতে
নাই কারো মানা।
চল এবার রংপুরের দেলোয়ারের কাছে
গিয়ে দেখি ভাই
হেসে
স্বদেশী ভাষা
রামনিধি গুপ্ত
নানান দেশের নানান ভাষা।
বিনে স্বদেশীয় ভাষা,
পুরে কি আশা?
কত নদী সরোবর কিবা ফল চাতকীর
ধারাজল বিনে কভু
ঘুচে কি তৃষা?
রামনিধি গুপ্ত (১৭৪১–১৮৩১)
অষ্টাদশ-ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট বাঙালি সংগীতস্রষ্টা। বাংলা ভাষায় টপ্পা সংগীতের প্রচলনকারী। তাঁর গানগুলি ‘নিধুবাবুর টপ্পা’ নামে আজও জনপ্রিয়।