Today 12 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

ধারাবাহিক উপন্যাস “নরক”

: | : ১৩/০৭/২০১৩

পর্ব-১১
কাঁঠাল বাগান । হামিদ খাঁ হেটে চলছেন আগে আগে আর কুদ্দুস পেছনে পেছনে । কাঁঠাল গাছুগুলোর দিকে তাকাতেই হামিদ খাঁ-র মন ভরে যায় । এই বাগানটি করতে তাকে কম কাঠ খড় পোড়াতে হয় নি । এটা ছিল যতিন গাড়ো বলে এক উপজাতির ভিটে বাড়ি । স্ত্রী সন্তান নিয়ে পৈতৃক সম্পত্তির এই অবশিষ্টতেই মাথা গুজত যতিন । আর এই ভিটে বাড়ির পাশেই ছিল হামিদ খাঁ-র এক চিলকে জমি । খাঁ সাহেব প্রথমে যতিনকে বাড়ি বিক্রির সহজ প্রস্তাব দিলেও তাতে কোনো সাড়া পান নি । অবশেষে ডাকাতি মামলায় ফেলেই যতিনকে এই দেশ ছাড়া করা সম্ভব হয়েছে । তারপর এখানে গড়ে তুলা হয়েছে খাঁ সাহেবের স্বপ্নের বাগান । এখন সেই বাগানের গাছগুলো কাঁঠালে ভরপুর । বাগানে বেশ কিছুক্ষণ হাটাহাটি করার পর কাঁঠাল গাছের দিকে তাকিয়ে হামিদ খাঁ তার সহযোগি কুদ্দুসকে ডাকলেন । অযথা কাঁঠাল গাছের দিকে তাকিয়ে থাকতে কুদ্দুসের মোটেও ভালো লাগে না । তবুও মনিবকে খুশি করতেই তাকে বাগানে আসতে হয়, মুখে হাসি হাসি ভাব নিয়ে মনিবের পেছেনে পেছনে হাটাহাটি করতে হয় । কুদ্দুস সামান্য দূরে দাড়িয়ে ছিল । মনিবের ডাক শোনে হারমার করে কাছে এসে বলল, জ্বী হুজুর।
কুদ্দুসের দিকে দৃষ্টি না দিয়েই হামিদ খাঁ বললেন, ছেলেটি কেন আমাকে সালাম দেয় নি, জানো ?
কুদ্দুস মাথা ঝাকিয়ে বলল, না হুজুর।
হামিদ খাঁ আনায়েসি ভঙ্গিতে বললেন, ছেলেটির ধারনা আমি ওর বাবাকে হত্যা করেছি।
কুদ্দুস মুচকি হেসে বলল, জ্বী হুজুর।
হামিদ খাঁ সামনের দিকে পা বাড়িয়ে বললেন, জ্বী বলছ কেন ? আসতাগফিরল্লাহ পড়ো।
কুদ্দুস পর পর কয়েকবার তওবার দোয়া পড়ার পর বলল, গ্রামের অনেকেই এই রকম বলে হুজুর।
হামিদ খাঁ সরল কন্ঠে বললেন, গ্রামের লোকেরা মুর্খ। আমি খুন করতে যাব কেন ? খুন করে ওসমান। হারামিটা আসলেই একটা অসুর। আক্কাসকে কীভাবে গলা টিপে হা হা হা…।
হামিদ খাঁ অট্টহাসিতে মশগুল । কুদ্দুস তার মুখের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে । খুনের কথা বলে কেউ এমন মুখ ভরে হাসতে পারে কুদ্দুস তা ভাবতেও পারে নি ।
আরো কিছুক্ষণ হাটাহাটি করার পর হামিদ খাঁ ফের বললেন, শোনো কুদ্দুস, সংগ্রামের পর আমি কাউকে খুন করি নি। একটা খুনের কথা তোমাকে আজ বলি, রোস্তম মাস্টারের নাম শোনেছ নিশ্চয় ?
কুদ্দুস একেবারে ঝোঁকে এসে বলল, পশ্চিমপাড়ার আসাদুল্লাহর বাপ।
ঠিক ধরেছ। কাঁঠাল গাছের নিচে দাড়িয়ে বললেন হামিদ খাঁ ।
কুদ্দুস ফের বলল, আসাদ মাস্টারও আপনাকে দেখলে মুখ ভোতা করে থাকে। আসাদেরও ধারনা যুদ্ধের সময়..
কুদ্দুসকে শেষ করতে না দিয়েই হামিদ খাঁ বিরক্তির সুরে বলল, আহা কুদ্দুস, তোমাকে কতবার বলেছি যুদ্ধ বলবে না। সংগ্রাম বলবে, সংগ্রাম ।
কুদ্দুস আমতা আমতা করে বলল, জ্বী হুজুর। আসাদ মাস্টারেরও ধারনা সংগ্রামের সময় আপনি ওদের বাবাকে খুন করেছেন।
হামিদ খাঁ বললেন, এই ধারনাটা সত্য। দেশের অবস্থা তখন টালমাটাল । আমরা কয়েকজন ঈমানদার ব্যাক্তি রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেবার সিদ্ধান্ত নিলাম। তার-ই ধারাবাহিকতায় আমি গেলাম রোস্তম মাস্টারের বাড়ি। রাজাকার বাহিনীর নাম শোনেই মাস্টার আমার গালে থাপ্পর মেরেছিল। হুংকার দিয়ে বলে ছিল, দেশ যদি স্বাধীন হয়, স্বাধীন বাংলার মাটিতে তোদের স্থান হবে না । তিনমাস পর শালাকে ধরে নিয়ে আসি আর্মিকেম্পে । প্রথমে এক এক করে কাটি হাতের দশ আঙ্গুল, তারপর করি জবাই । যা শালা, ওপাড়ে গিয়ে জয় বাংলা বল গে।
কুদ্দুস ফিসফিস করে বলল, আস্তে বলেন হুজুর, কেউ শোনে ফেলতে পারে।
হামিদ খাঁ সদম্ভে বললেন, কেউ শোনবে না। আর শোনলেও অসুবিধা নেই, শেখ সাহেব সাধারণ ক্ষমা করে দিয়েছেন।
খানিক চোপ থেকে ফের বললেন, শোনো কুদ্দুস, আমাদের দেশে রাজনীতি নামক যে বস্তুটা আছে, সেটা হল গাধার চেয়েও বড় গাধা।
কুদ্দুস সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞাস করল, মানে হুজুর ?
ফের সামনের দিকে অগ্রসর হতে হতে হামিদ খাঁ বললেন, মানে হল, যদি তুমি রাজনীতির সাথে জড়িত থাকো, তাহলে ভালো মন্দ যা কিছু করো না কেন ? সবকিছু রাজনীতি নামক গাধার পিঠে বেঁধে দিয়ে তুমি নিশ্চিতে থাকতে পারবে। আমাদের দেশে রাজনীতি হচ্ছে সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয় হা হা হা ..।
কুদ্দুস একেবারে ঝোঁকে গিয়ে মুচকি হেসে বলল, ঠিক বুঝতে পারলাম না হুজুর।
হামিদ খাঁ হাসি থামিয়ে বিরক্তির সুরে বলল, তোমাদের মত ছোটলোকদেরকে নিয়ে এই এক সমস্যা, সহজে কোনো কিছু বুঝতে পারো না।
কুদ্দুসের হাস্যোজ্জ্বল মুখ ক্ষনিকেই মলিন হয়ে গেল। ঠাঁয় দাড়াতে চেয়েও সে দাড়াল না । অলস পায়ে হামিদ খাঁ-র পেছনে পেছনে পা ফেলছে । হামিদ খাঁ আরো দুই কদম এগুনোর পর বলল, ধরো, সত্যি তুমি খুন করেছ। সমাজে কানাঘোষা চলছে, মামলাও হয়েছে। তুমি যদি প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক ব্যক্তি হও তাহলে অভিযোগ খন্ডানোর জন্য শুধু বলবে, রাজনীতিতে হেয় প্রতিপক্ষ করার জন্য প্রতিপক্ষের এটি একটি চক্রান্ত। এই একটি মাত্র বাক্য তোমার সব দোষ ধোয়ে মুছে দিবে হা হা হা..।
কিছুক্ষণ দুজনেই চুপচাপ বাগানে হাটছে। কেউ কিছু বলছে না। কাঁঠাল গাছ থেকে হঠাৎ দুইটি ঘুঘু পাখি উড়ে গেল। পাখি উড়ে যেতে দেখে হামিদ আনমনেই মুচকি হাসলেন । খানিক পর মনিবের মুখের দিকে তাকিয়ে কুদ্দুস বলল, লোকে বলাবলি করে দেশ স্বাধীন হবার পর মুক্তিরা যখন আপনাকে ধরতে আপনাদের বাড়িতে গিয়েছিল, আপনি নাকি তখন ভয়ে পায়খানার ট্যাংকিতে গলা সমান গুয়ের মধ্যে ডোব দিয়ে ছিলেন ?
হামিদ খাঁ এদিক ওদিক তাকিয়ে আমতা আমতা করে বললেন, বাজে বকবে না মিয়া, বাজে কথা আমার একদম পছন্দ না। তুমি জানো না , তখনকার পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। জান বাঁচানোই কথা, কিসের ট্যাংকি তা দেখার টাইম কোথায় ?
কুদ্দুস তার ভোতা মুখে কৃত্তিম হাসি আনার চেষ্টা করে বলল, খাটি কথা হুজুর, জব্বর খাটি কথা।
চটকদারী হাসি হাসতে হাসতে কুদ্দুস ফের বলল, লোকে আরো একটা কথা বলে হুজুর। লোকে বলে দেশ স্বাধীন হবার পর আপনি নাকি জানের ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ছিলেন ?
হামিদ খাঁ বিরস মুখে বলল, পালিয়ে ছিলাম কোথায় ? পরিস্থিতি অনুকূলে ছিল না বলে কয়েকদিন দূরে সরে ছিলাম, এই আর কি।
কুদ্দুস সঙ্গে সঙ্গে বলল, শেখ সাহেব সাধারণ ক্ষমা ঘোষনা করার পরই ফিরে এসেছেন?
কথা সত্য। বললেন হামিদ খাঁ ।
কুদ্দুস বলল, এখন আপনি এই এলাকার চেয়ারম্যান। লোকজন আপনার ভয়ে নিজের ঘরবাড়ি জমিজমা ছেড়ে দেয়, জানের বাঁচানোর জন্য গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়, হে হে হে ..।
হামিদ খাঁ কোন রকম প্রতিত্তর না করে লম্বা লম্বা পা ফেলছেন । কুদ্দুসও তার সাথে তাল মিলিয় হেটে চলছে । দুই কদম এগিয়ে কুদ্দুস ফের বলল, তাহলে তো শেখ সাহেব সাধারণ ক্ষমা করে ভালোই করেছিলেন। তাই না হুজুর ? তিনি বোধহয় লোক হিসাবেও ভালো ছিলেন।
হামিদ খাঁ এবারও কোনো জবাব করলেন না। তার চোখের পাতা কাঁপছে। মানুষকে যখন তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একান্ত বাধ্য হয়ে কোনো কিছু শোনতে বা করতে হয়, তখন রাগে তার শরীর কাঁপে, চোখের পাতা কাঁপে, কথা বলতে গেলে গুলিয়ে যায়।
কিন্তু কুদ্দুসের যেন সেই দিকে লক্ষ্য করার সময় নেই । সে তার নিজ ভঙ্গিমাতেই বলল, আপনারা শেখ সাহেবের ডাকে সাড়া না দিয়ে, পাকিস্তানের পক্ষে সংগ্রাম করেছেন কেন ?
অবশেষে হামিদ খাঁ মুখ খুললেন । কুদ্দুসের এই প্রশ্নটি যেন তাকে সামান্য স্বস্তিই দিলো । তাই তো সে হাটার গতি সামান্য কমিয়ে, ধীর পায়ে এগুতে এগুতে বললেন, কী করবো বলো, দ্বীন কালামের কাজ তো করতেই হয়। পাকিস্তান নামক পবিত্র জায়গাকে তো মালাউন কাফেরদের রঙমঞ্চ হতে দিতে পারি না।
কুদ্দুস সঙ্গে সঙ্গে বলল, সেই যু…ইয়ে মানে, সেই সংগ্রামে আপনারা অনেক মুসলমানকেও হত্যা করেছেন।
তারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গিয়ে নিজেদেরকে কাফের বলে সাবেদ করেছিল। উত্তর করলেন হামিদ খাঁ ।
মুসলমান হয়ে আরেকজন মুসলমানকে কাফের বলাকে সহি হাদিস অন্যায় বলেছে, হুজুর। হাসি মুখে কুদ্দুসের ফের প্রশ্ন ।
হামিদ খাঁ ধমকের সুরে বলল, এত হাদিস বাতলাইও না মিয়া। পাকিস্তান আমলে কারীয়ানা পাস করেছি। তোমার চেয়ে হাদিস কম জানি না।
কুদ্দুস আর কিছু বলল না। মন্থর পায়ে পাশাপাশি হাটছে ।
সবুজ তার বাবার রুমে বসে আছে। সবুজের যখনি মন খারাপ হয় তখনি সে তার বাবার রুমে ঢুকে। বাবার ছবির দিকে তাকিয়ে থাকে। বাবার রুমে ঢুকলে নিজেকে আর একা মনে হয় না। বাবার খাটের পাশে চোখ বন্ধ করে দাড়িয়ে থাকলেই মনে হয় বাবা খাটে শুয়ে আছেন। বাবার শরীরের গন্ধ ভেসে এসে নাকে লাগে। দিনের কোনো না কোনো সময়, বিশেষ করে রাতে শুবার আগে একবার হলেও সে তার বাবার রুমে ঢুকে। বাবার ছবির সামনে কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে দাড়িয়ে থাকে। আজ সে ডাক্তার হয়েছে। গ্রামের অসহায় লোকদের সেবা করছে। বাবাকে দেয়া কথা রেখেছে। বার বার জানতে ইচ্ছা করে, বাবা বেঁচে থাকলে তার কী অনুভূতি হত ?
হঠাৎ চৌকাঠে শব্দ হল। সবুজ বুঝতে পারল দরজার ওপাড়ে কেউ দাড়িয়ে আছে। এই কেউটি যে করিম ব্যতিত আর কেউ না, তা বুঝতে সবুজের ক্ষণকাল বিলম্ব হল না। সবুজের বাবা আফাজ তালুকদার বেঁচে থাকতেও করিমের যদি কোনো কিছুর প্রয়োজন পড়ত, তাহলে সে দরজার সামনে দিয়ে পায়চারি শুরু করত। যতক্ষণ পর্যন্ত তালুকদার সাহেব তাকে ভিতরে আসতে না বলতেন, ততক্ষণ পর্যন্ত চলত করিমের পায়চারি। তালুকাদর সাহেব চলে গেলেও করিমের উক্ত অভ্যাসটি এখনো রয়ে গেছে।
সবুজ ঘরের ভিতরে একা আছে জেনেও সে দরজায় নক করছে না, ভেতরেও ঢুকছে না। দরজার সামনে দিয়ে পায়চারি শুরু করেছে। সবুজ একাধিক বার মানা করে বলেছে, আপনার যদি কোনো কিছুর প্রয়োজন হয় দরজায় নক করে ভেতরে চলে আসবেন। দরজার সামনে দিয়ে অযথা পায়চারি করতে হবে না। করিম সেই কথা কানে তুলে নি। মনিব শিষ্টাচার স্বাধীনতা দিলেও ভৃত্য তার জায়গায় অনড়।
সবুজ বিবিক্ষুকে ভিতরে আসতে বলল। করিম ভিতরে ঢুকে দরজার কাছে দাড়িয়ে হাত চুলকাচ্ছে। হাত চুলকানোর অভ্যাসটিও তার নতুন নয়। সবুজের বাবা যখন বেঁচে ছিলেন, তখনো সে এই কাজটি করত। তালুকদার সাহেব বিরক্ত হয়ে মাঝে মাঝে বলতেন, কী করছিস, হাতের চামড়া ছিড়ে ফেলবি নাকি ? গাধার মত কাজ করিস কেন ?
তালুকদার সাহেবের মুখে শোনা এই বাক্যটি তার কাছে মধুর বাণীর মত ঠেঁকত। করিমের ধারনা সবুজও একদিন তার বাবার মতন বলবে, আহা কী করছেন চাচা ? হাতের চামড়া ছিড়ে যাবে তো।
কিন্তু সবুজ এখনো এমনটি বলে নি। হয়ত করিমের হাতের দিকে তার দৃষ্টিই পড়ে নি। সবুজ করিমের দিকে তাকিয়ে বলল, কিছু বলবেন ?
করিম বলল, জে বাবাজি, আপনি তো জানেন দুইদিন আগে ছেলেপক্ষের লোকজন বেগমকে দেইখা গেছে। রেগমকে তাদের পছন্দও অইছে। সামনের মাসে তারিখ পাক্কা করবার চায়।
এটা তো খুব ভালো কথা। খাটে উপর বসতে বসেত বলল সবুজ ।
সবুজ এই কথা বলার সাথে সাথে দরজায় নক হল। দরজা খুলা। খুলা দরজায় মজনু ছাড়া আর কেউ নক করে না। মজনু মাত্র একবার নক করবে। নক করার সাথে সাথে বলবে, ভাইজান আসব ? সবুজ হ্যা না কিছু বলার আগে সে ভিতরে চলে আসবে। আজও তার ব্যতক্রম হল না।
মজনু ভেতরে এসে সালাম দিলো। করিম সালামের জবাব করল। সবুজ তার বাবার খাটের উপর বসে আছে। করিমকে বসতে বলেছিল, সে বসে নি। আফাজ তালুকদারের সামনেও সে কখনো বসত না। সবুজ বড় হবার পর থেকে সবুজের সামনেও বসে না। এটাও তার আদি শিষ্টাচের অংশ।
মজনু আর কিছু না বলে করিমের পাশে গিয়ে দাড়াল।
সবুজকে উদ্দেশ্য করে করিম বলল, তাইলে পাক্কা কথা দিয়া দেই বাবাজি ?
সবুজ বলল, ছেলে ভালো হলে, পাকা কথা দেওয়াই ভালো।
করিমের দিকে মুখ করে মজনু বলল, কার বিয়ে ?
করিম বলল, বেগমের।
মজনু সঙ্গে সঙ্গে বলল, আলহামদুল্লিাহ। বেগম বড় ভালো মেয়ে, যে ঘরে যাবে, সেই ঘর সুখের হবে।
সবুজ মজনুর দিকে তাকাতেই সে চোপসে গেল । সবুজ বেশি কথা পছন্দ করে না এটা তার ভালো করেই জানা ।

(এই বইটি ২০১৩ বইমেলায় প্রকাশিত)

(যা না বললেই নয়-এই উপন্যাসের সময়কাল নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯৭১ থেকে১৯৯৩ পর্যন্ত)

 

লেখক সম্পর্কে জানুন |
সর্বমোট পোস্ট: ০ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ১ টি
নিবন্ধন করেছেন: মিনিটে

মন্তব্য করুন

go_top