পবিত্র কুরআন ও আল হাদীসের বাণী- পর্ব: ৪
আব্দুল্লাহ ইবন ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলনে: “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গোলাম, স্বাধীন, পুরুষ, নারী, ছোট-বড় সকল মুসলমিরে উপর সদকাতুল ফতির ফরয করছেনে” [বুখার: (১৫১১), মুসলমি: (৯৮৪)]
রাসূল (স:) বলেন; যারা অন্ধকারে রাতে মসজিদে গমন করে, কিয়ামতের দিন তাদেরকে পরিপূর্ণ নূরের সুসংবাদ দাও। (হাদীস: আবু দাউদ ৪৪৭)
রাসূল (সা:) বলেছেন: তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম। আর নিশ্চয়ই আমি আমার স্ত্রীর কাছে সর্বাপো বেশী উত্তম।” (তিরমিযী)।
ইমাম আবু হানীফা (রহ.) বলেন: ‘‘আমরা কোথা থেকে গ্রহণ করেছি, তা না জেনে আমাদের কথা গ্রহণ করা কারো জন্য বৈধ নয়”। (হাশিয়াহ ইবনে আবেদীন ৬/২৯৩)।
ইমাম আবু হানীফা (রহ.) বলেন: ‘আমি যদি আল্লাহর কিতাব (কুরআন) ও রাসূলুল্লাহ (সা:) এর কথার (হাদীস) বিরোধী কোন কথা বলে থাকি, তাহ’লে আমার কথাকে ছুড়েঁ ফেলে দিও’। (ছালেহ ফুল্লানী, ইক্বাযু হিমাম, পৃ: ৫০)।
ইমাম আবু হানীফা (রহ.) বলেন: ‘নিশ্চয়ই আমরা মানুষ। আমরা আজকে যা বলি, আগামীকাল তা থেকে ফিরে আসি’। (আত-তাক্বলীদ ওয়া হুকমুহু ফী যুইল কিতাব ওয়াস-সুন্নহ পৃষ্ঠা নং ২০)।
ইমাম আবু হানীফা (রহ.) বলেন: ‘তোমার জন্য আফসোস হে ইয়াকুব (আবু ইউসুফ)! তুমি আমার থেকে যা শোন তাই লিখে নিও না। কারণ আমি আজ যে মত প্র্রদান করি, কাল তা প্রত্যাখ্যান করি এবং কাল যে মত প্রদান করি, পরশু তা প্রত্যাখ্যান করি’।(আত-তাক্বলীদ ওয়া হুকমুহু ফী যুইল কিতাব ওয়াস-সুন্নহ পৃষ্ঠা নং ২০)।
পড় তোমার প্রভূর নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন। (সূরা আলাক: ১)
হযরত আয়েশা (রা:) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা:) বলেছেন, দানশীলতা একটি বৃ, দুনিয়াতে ঝুঁকে আছে। যে তার কোন ডাল আঁকড়ে ধরবে, তাকে সে জান্নাতে নিয়ে যাবে। আর কৃপনতা একটি বৃ, তার মূল জাহান্নামে আর তার ডালপালা দুনিয়াতে ঝুঁকে আছে, যে তার কোন ডাল আঁকড়ে ধরবে, তাকে সে জাহান্নাম নিয়ে যাবে। (হাদীস: তানযীহুশ শরিয়াহ)।
রাসূল (স:) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে ইফতার করায়, তার জন্য অনুরূপই নেকী হয়। রোজাদারের নেকী হতে কোন কিছু না কমিয়েই সে নেকী দেয়া হয়। ( জামে তিরমিযী: ৮০৭)।
‘‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী সুবহানাল্লাহিল আযিম” [ মহান আল্লাহর সবচেয়ে পছন্দের যিকির এইটা]
চলবে . . . . .