পবিত্র কুরআন ও আল হাদীসের বাণী- পর্ব: ৬
১০ টি কাজের ১০টি গুণ্।
১। তাওবায়- গুনাহ নষ্ট হয়। ২। ধোকায়- রিজিক নষ্ট হয়।
৩। গীবতে- আমল নষ্ট হয়। ৪। বদ চিন্তায়- হায়াত নষ্ট হয়।
৫। ছদকায়- বালা দূর হয়। ৬। গোম্রায়- আকল নষ্ট হয়।
৭। ঈমানের কমজুরিতে- দান-খয়রাত বন্ধ হয়। ৮। তাকাব্বুরী- এলেম নষ্ট করে।
৯। নেকী- বদী নষ্ট করে। ১০। ইনছাফ্- জুলুম নষ্ট করে।
হে মুমিনগণ! জুম’আর দিনে যখন সালাতের আযান দেয়া হয়, তখন তোমরা
আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরা কর এবং বেচাকেনা বন্ধ র্ক এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ।-আল-কুর’আন, সূরা জু’মা: ০৯।
‘যে ব্যক্তি রামাদান মাসে’ ঈমানের সাথে এবং সওয়াবের আশায় (রাতের নামাযে) দাঁড়ায় তার পূর্ববর্তী সকল গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে। (বুখারী, হাদীস নং ১৯০৫)।
রাসুল (স:) বলেন; যারা অন্ধকার রাতে মসজিদে গমন করে, কিয়ামতের দিন তাদেরকে পরিপূর্ণ নূরের সুসংবাদ দাও। (হাদীস: আবু দাউদ ৪৪৭)।
রাসূল (ছা:) বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক সালাতের পর তেত্রিশ বার ‘সুবহানাল্লাহ’ তেত্রিশ বার ‘আলহামদুলিল্লাহ’ এবং ‘আল্লাহু আকবর’ বলবে, এ হল নিরানব্বইবার, এবং একশত পূর্ণ করার জন্য এই দু’আ পড়বে- ‘‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকুওয়ালাহুল্ হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়্যিন কাদীর’-তার পাপ সমূহ মোচন করে দেয়া হবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনার সমপরিমাণ হয়।” (মুসলিম: ২য় খন্ড ৩৮০পৃ. হাদিস নং ১২২৮)।
রাসূল (সা:) বলেছেন তোমরা কুরআন তেলাওয়াত কর, কারণ কুরআন কিয়ামতের দিন তিলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশ করবে। সহীহ মুসলিম।
তুমি পানির মত হতে চেষ্টা কর, যেকিনা নিজের চলার পথ নিজেই তৈরী করে নেয়। পাথরের মত হয়ো না, যে নিজে অন্যের পথরোধ করে।”—(আলী রা:)
আগুন থেকে বাঁচো, তা একটা খেজুরের অর্ধেকটা দান করে হলেও”- বুখারী ও মুসলিম।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা:) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স) বলেছেন, রোযা এবং কুরআন আল্লাহর কাছে বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোযা বলবে, হে রব ! আমি তাকে দিনে তার খানা ও প্রবৃত্তি হতে বাধা দিয়েছি, সুতরায় তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন। এবং কুরআন বলবে, আমি তাকে রাতে নিদ্রা হতে বাধা দিয়েছি, সুতরায় তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন। আতএব, উভয়ের সুপারিশই কবুল করা হবে। (হাদিস: বায়হাকী)।
চলবে . . . . .