হুমায়ূন আহমেদ… আপনি ভালো থাকবেন।
বেখেয়ালি যুবকেরা তাদের হলুদ পাঞ্জাবীটা খুব যত্ন করে রাখে। শুভ্রর ছায়ার যুবকেরা চশমাটা খুব আলতো করে মোছে। রূপারা তাদের নীল শাড়িটা প্রায়ই ছুঁয়ে দেখে। মিসির আলীরা খুব মন দিয়ে আশে পাশে খেয়াল করে। এই হিমু শুভ্র রূপা জরি মিসিরআলীরা বেঁচে আছেন। বেঁচে আছেন পরম মমতায় তৈরি করা এই সব চরিত্রগুলোর স্রষ্টা। হুমায়ূন আহমেদ।
এসকল চরিত্র কালজয়ী কি না তা সাহিত্যের সিরিয়াস অধ্যাপকদের জন্যে তোলা থাক। কিন্তু চরিত্রগুলো জয় করেছে কোটি মানুষের হৃদয়। তিনি বেঁচে আছেন। মানুষের হৃদয়ে বেঁচে আছেন। হুমায়ূন আহমেদ একটা যুগের নাম। একটা কালের নাম। একটা শতাব্দীর নাম। কাল যুগ শতাব্দী কখনো মুছে যায় না। হুমায়ূন আহমেদ মুছে যাবেন না। কখনো না। কোনদিন না।
এখনো আকাশ ভরে জোছনা নামে। এখনো আকাশ ভরে বৃষ্টি নামে। ঠিক আগের মতই। জোছনা, বৃষ্টি গুলো আর কলমের কালিতে বন্দী থাকে না। দু মলাটের ভেতরের পাতাগুলোতে আর আগের মত ঝরে পরে না। তবে আগের পাতাগুলো এখনো জোছনা বৃষ্টির প্রতিটি কণার সাথে মিশে আছে। মিশে থাকবে। আগের মতই হিমুরা পথে হাঁটবে। আগের মতই শুভ্ররা মন খুলে আকাশ দেখবে। মিসির আলীরা আগের মতই গোছানো থাকবেন। রূপা জরি লীলাবতীরা নীল শাড়িতে জড়িয়ে থাকবে। কাজলে মাখা চোখে থাকবে মন খারাপের দৃষ্টি।
হুমায়ূন আহমেদ… আপনি ভালো থাকবেন।