‘‘৩’’ (তিন) এর গুরুত্ব
স্রষ্টার সৃষ্টি মানব সন্তানকে উন্নততর মানুষে পরিণত করে শিক্ষা। আর বাস্তব সম্মত শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ অর্জন করে অভিজ্ঞতা। আমরা আমাদের সংসার এমনকি সমাজের চারপাশের মানুষজনের প্রতি লক্ষ্য করলে দেখতে পাই তারা অনেক সময় কোনো কোনো সংখ্যার প্রতি বিশেষ দুর্বলতা এবং কোনো কোনো সংখ্যাকে পরিহার করার প্রবণতা দেখায়। যেমন: ১ সংখ্যাটিকে মানুষ পূর্ণতার প্রতিক হিসাবে বিবেচনা করে, ৭ সংখ্যাটিকে সৌভাগ্যের প্রতিক এবং ১৩ সংখ্যাটিকে দূর্ভাগ্যের প্রতিক হিসাবে বিবেচনা করে। কিন্তু ৩ সংখ্যাটিকে নিয়ে আলোচনা তেমন নেই। অথচ ৩ সংখ্যাটির রয়েছে অনেক ধর্মীয়, বিজ্ঞানিক এবং সামাজিক বৈশিষ্ট্য। এ সকল বৈশিষ্ট্য সমূহকেই এখানে তুলে ধরা হলঃ
১. মহান আল্লাহ তা’আলার এই পৃথিবীতে রয়েছে কঠিন, তরল ও বায়বীয় পদার্থ মাটি, পানি ও বাতাস। অর্থ্যাৎ পদার্থের তিন অবস্থা।
২. নামাজের আগে অজুতে অঙ্গগুলো ধৌত করতে হয় ৩ বার, রুকুতে তাজবি পড়তে হয় কমপক্ষে ৩ বার এবং সিজদায় ৩ বার।
৩. সূরা ফাতেহার সাথে অন্য যে কোন সূরা থেকে কমপক্ষে ৩ আয়াত পড়তে হয়।
৪. আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (স:), জিবরাইল (আ:) কর্তৃক ৩ বার ইক্ রা বলার পরও যখন পড়তে পারছিলেন না। তখন জিবরাইল (আ:) নবীজির সাথে ৩ বার আলিঙ্গন করার পর তিনি পড়তে শুরু করেন।
৫. বিবাহের সময় ‘কবুল’ বলতে হয় ৩ বার এবং তালাকের সময় ‘তালাক’ বলতে হয় তিন বার।
৬. মানুষের দেহ হাড়, মাংস ও রক্ত এই তিনটি উপাদান নিয়ে গঠিত হয়।
৭. বীজের অঙ্কুরোদগমের ক্ষেত্রে আলো, পানি এবং বাতাসের প্রয়োজন। এখানেও তিনের ব্যবহার।
৮. মেধা নির্ধারণের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয়। অর্থাৎ ৩।
৯. নিউটনের অবিস্মরণীয় গতিবিষয়ক সূত্র হচ্ছে তিনটি।
১০. বিচার কার্যে কমপক্ষে তিনজন সাক্ষীর প্রয়োজন।
১১. সশস্ত্র বাহিনীতে রয়েছে স্থল, নৌ ও আকাশ সেনা।
১২. যে কোনো দল গঠনের ক্ষেত্রে প্রয়োজন কপেক্ষে তিন জন সদস্য।
১৩. অনেক সময় দেখা যায় কোনো আলোচনা বা আড্ডায় কোন সত্য কথা বা তথ্য বলার সাথে সাথে টিকটিকি টিক্ টিক্ টিক্ বলে তিনবার শব্দ করে।
১৪. খাদ্যের উপাদানগুলোর মধ্যে থাকে কার্বন, প্রোটিন, এবং ভিটামিন।যে কোন ধরনের রোগের বিস্তারে থাকতে হবে জীবাণু/ ফেক্টর, পোষক এবং বাহক।
১৫. রক্তের কণিকা ও টি হল লোহিত কণিকা, শ্বেত কণিকা, এবং অনসুচক্রিতা।
(এই হল ‘‘৩’’ (তিন) এর গুরুত্ব)