সালাত আদয়ের গুরুত্ব – ১
বিস্মিল্লাহির রাহ্মানির রাহিম
সালাত শব্দটি আরবী। মহাগ্রস্থ আল কুরআনে এভাবে ব্যবহার হলেও এর ফারসি অর্থ নামাজ শব্দটির সাথেই আমরা বেশ পরিচিত। বাংলা ভাষায় এর শাব্দিক অর্থ হলো দোয়া, প্রার্থনা ইত্যাদি। ‘সালাত’ শব্দটি ব্যবহারের মাধ্যমে মহান প্রভূ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক ইবাদাতের নির্দেশনা দিয়েছেন। আল্লাহর খুবই পছন্দের ইবাদত হলো সালাত অথবা নামাজ। এই ইবাদতের গুরুত্ব এতই বেশী যে, কেউ যদি বলে, ‘‘আমি ঈমান এনেছি, ইসলাম কবুল করেছি” তবে তার সর্ব প্রথম দায়িত্ব হলো নামাজ আদায় করা, অর্থাৎ ঈমানের প্রথম শর্ত ও দাবী হলো নামাজ আদায়। নামাজ আদায় না করে কেউ যদি নিজেকে মুসলমান দাবী করে, তবে তা হবে পাগলামীর শামিল। রাসূল করীম (স:) অত্যন্ত স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন, ‘‘যে ব্যক্তি ইচ্ছে করে নামাজ ছেড়ে দিল সে কুফরী করলো”। নবী করীম (স:) আরও বলেছেন, ‘‘মুসলমান এবং কাফিরের মধ্যে পার্থক্য হলো নামাজ” অর্থাৎ মুসলমান নামাজ আদায় করে আর কাফির নামাজ আদায় করে না। হযরত মুহাম্মদ (স:) আবার তাও বলেছেন যে, ‘‘নামাজ হলো বেহেস্তের চাবি।”
নবী করীম (স:) বলেছেন যে, ‘‘সাত বছর বয়সে নিজ সন্তান সন্ততিকে নামাজের আদেশ দাও, দশ বছর বয়সে নামাজ আদায় না করলে তাদের প্রহার কর এবং পৃথক পৃথক শয্যায় শয়নের ব্যবস্থা কর”।
নামাজ আদায়ের গুরুত্ব কতো যে অধিক তা লিখে শেষ করা যাবে না। যাঁর হাতে আমাদের জীবন ও মরণ আমাদের অস্তিত্ব, যিনি বিশাল এই আকাশ ও জমীনের মালিক চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ-নত্র, সাগর-মহাসাগর ইত্যাদি সবকিছুর মালিক, যাঁর একটু ইশারায় সমস্ত পৃথিবী মুহুর্তে বিলীন হয়ে যাবে, সেই শক্তিধর মহান সত্ত্বা তাঁর ঐশী গ্রন্থ আল কুরআনে নামাজ কায়েমের হুকুম করেছেন বিরাশি বার। অথচ তাঁর মতো হতভাগা পৃথিবীতে দ্বিতীয় আরেকজন নেই। আমাদের নিজেদের জন্য খুবই কল্যাণকর বলেই করুনাময় প্রতিদিন পাঁচ বার নামাজ আদায় ফরজ করেছেন। নামাজ আদায়ের গুরুত্ব আল্লাহ পাক এতো বেশী দিয়েছেন যে, তিনি অন্যান্য ফরজ ইবাদত যেমন রোজা উপযুক্ত কারণে ক্বাযা অর্থাৎ পরবর্তিতে আদয়ের সুযোগ রেখেছেন। কিন্তু পৃথিবীতে এমন কোন কারণ সৃষ্টি হয়নি যার জন্য নামাজ শুধুমাত্র কাযা করা যাবে, একে বারে ছেড়ে দেয়ার তো প্রশ্নই আসে না। বিশেষ েেত্র নারীদেরকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পুরোপুরি মাফ করে দিয়েছেন কিন্তু ক্বাযা আদায় করার কোন সুযোগ রাখেন নি।
চলবে . . . . .