Today 11 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

সালাত আদায়ের গুরুত্ব – ২

: | : ২৪/০৭/২০১৩

যত বিপদ বালা মুসিবতই আসুক না কেন, যত কঠিন মুহূর্তই আসুক না কেন নামাজ আদায়ে কোন রকম গাফিলতি বা অবহেলা করার অবকাশ নেই। এমনটি হলে কঠিন হুঁশিয়ারী ও ভয়াবহ শাস্তির ঘোষণা আছে। উল্লেখ্য যে, কেউ যদি গভীর সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ে হাবুডুবু খেতে থাকে এবং সে নিশ্চিত যে, এখনি তার জীবন প্রদীপ শেষ হয়ে যাচ্ছে, আর ঐ অবস্থায়ও যদি কোন নামাজের ওয়াক্ত আসে, এবং সে বুঝতে পারে, জ্ঞান থাকে বা আজান শুনতে পায় তবে সে ঐ ওয়াক্তের নামাজ যদি ইশারাতে হলেও আদায় না করে এবং সে অবস্থায় যদি তার মৃত্যু হয় তবে তাকে ( শুধু সেই ওয়াক্তের অনাদায়ী নামাজের জন্য ) 2,88,000 বছর দোযখের আগুনে জ্বলতে হবে। গাফুরুর রাহীম মাফ করে দিলে অন্য কথা। এত হুঁশিয়ারী থাকার পরেও এসব ভেবে ভয়ে কাঁদতে কাঁদতে সাহাবায়ে কেরামের চোখে ঘা হয়ে যেত। আমরা টেনশন মুক্ত থাকি কি করে? যে নবীকে সৃষ্টি করা না হলে পৃথিবীর কোন কিছুই সৃষ্টি করা হত না, আমরা পৃথিবীতে আলোর মুখ দেখতে পারতাম না, রিদয়ের সবটুকু ভালবাসা যিঁনি উম্মতের জন্য অর্থ্যাৎ আমাদের জন্য উজাড় করে দিয়েছেন, যিঁনি হাশরের কঠিন মুসিবতের সময়েও উম্মতি উম্মতি বলে কাঁদতে থাকবেন; সেই দয়াল নবী পৃথিবী হতে বিদায় নেয়ার সময়, ইন্তেকালের সময় নিজের ব্যাপারে কিছু বললেন না, সন্তানাদির বিষয়ে কিছু জানালেন না, সম্পদ নিয়ে কিছু ভাবলেন না বরং অত্যন্ত দরদ দিয়ে জীবনের শেষ বাক্য হিসেবে বলে গেলেন, সালাত! সালাত! আমার উম্মতের সালাত!!! ।

এর পরও আমরা নামাজ আদায় না করে কি করে চিন্তামুক্ত থাকতে পারি? আর কত দিন গাফিলতিতে নিজের জীবনকে এভাবে ভাসিয়ে দেব? আমাদের অনেকের অবস্থাতো এরকম যে, নামাজ আদায় করি তো নিয়ম কানুন ভাল করে জানি না, পাক-পবিত্রতা বুঝি না। নামাজ আদায় করি তো তিলাওয়াত শুদ্ধ হয় না, রুকু-সিজদাহ ঠিকমত আদায় করি না, এক ওয়াক্ত আদায় করলে অন্য ওয়াক্ত ক্বাযা হয়ে যায়। আবার একাকী আদায় করি জামাআতে শরীক হই না। এ ব্যাপারে আমিরুল মোমেনিন হযরত উমর (রা:) বলেছেন, ‘‘জামাআত ছাড়া (পুরুষের) কোন নামাজই নেই।’’ আবার এমনও হয় সপ্তাহে একদিন শুধু শুক্রবার ভাল পায়জামা-পান্জ্ঞাবী-টুপি পড়ে আতর খুশবু লাগিয়ে জায়নামাজ নিয়ে সামনের কাতারে বসে নামাজ আদায় করে তৃপ্তির হাসি হাসি, বাকি নামাজের খবর নেই। আবার নামাজ আদায় করি তো অবৈধ পথে উন্মাদের মত পয়সা উপার্জন করি, অথচ ‘‘ঈবাদাত কবুলের প্রথম শর্ত হলো হালাল রুজি।’’

এই যে অবস্থা, আমরা কি পৃথিবীতে অনন্তকালের এসেছি? এর জন্য কি কোন হিসাব দিতে হবে না? জবাবদিহিতা নেই? শাস্তি কি পেতে হবে না? আল্লাহর এক বিশিষ্ট ওলী বলেছেন, ‘‘তোমরা পাপ ততটুকুই কর, যতটুকুর শাস্তি সইতে পারবে।’’ এখনো সময় আছে উদাসিনতা ছেড়ে ফিরে আসি আলোর পথে, মুক্তির পথে, পা রাখি সত্যের সীমানায়।
‘আমীন’

লেখক সম্পর্কে জানুন |
সর্বমোট পোস্ট: ০ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ১ টি
নিবন্ধন করেছেন: মিনিটে

মন্তব্য করুন

go_top