Today 11 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

===========

এক ছায়াহীন বেদুইন

সে তো দেখেনি-

তার অপছা অপছা ছায়া

কি পাপপর্ণ বুঝেনি-

ও হে বেদুইন?

তরী যাচ্ছে ভেসে-

কোন সে অচিনপুর

আর অচিনপুর।

সেথায় নাই তেঁতুল

অঙ্গুর আর লেবু-

ভালোই চিন তুমি অঙ্গুর

খুঁজো শুধু লেবুতে রস-

তেঁতুল তো এনে দিয়েছে

জিহ্বা ভরা জল-

ও হে বেদুইল। কত রক্ত

দেখেছো-ধরণীর বুকে সবুজ

তবুও বুঝতে

  ১০ টি কাজের ১০টি গুণ্।
১। তাওবায়- গুনাহ নষ্ট হয়।                            ২। ধোকায়- রিজিক নষ্ট হয়।
৩। গীবতে- আমল নষ্ট হয়।                             ৪। বদ চিন্তায়- হায়াত নষ্ট হয়।
৫। ছদকায়- বালা দূর হয়।          

লারা আপুকে যদি কেউ একবার জিজ্ঞাসা করতে পারে, `বড় হয়ে তুমি কী হবে সোনা?’ আর কোনো কথা নেই, সাথে সাথে বিছার মতো লাফিয়ে উঠে জবাব দিবে, `আমি পাইলট হবো, পাইলট। পাইলট বুঝ? ওই যে বিমানটা উড়ে যাচ্ছে, ওটা চালিয়ে নিয়ে

এখানে কেউ ভালোবাসতে জানে না

এ পৃথিবী ভালোবাসার স্থান নয়

এখানে চলে তাবত্ স্বার্থ আর বিনিময় ।

 

এখানে কেউ কারও মতো নয়

এখানে সবাই যার যার মতো

তাই তো সবার বুকে পাহাড়সম ক্ষত ।

 

এখানে কেউ কারও আপন নয়

সংসার স্বজন পুত্র কন্যা  স্ত্রী প্রিয়তম

পেছনে সবে পর,

নিঃশব্দে জেগে থাকি একটি কল্পনা নিয়ে,
নিজেকে শান্তনা দিতে চাই তবে দেব কি দিয়ে?
সবুজের এই মাটি দিগন্ত ‍ময় শ্যমলতা,
বিশ্বের মাতা, মমতায় ঘেরা এক অপরুপ কমলতা।
‍ধরণীর মাঝে রচে চলা যত ঘটনার-রটনা,
পশুত্বের হার জানওয়ার-হায়না যা কল্পনাই কারা যায়না-
কুকুর শিয়ালের দল, রক্ত খেক কাপুরুশের

হৃদ্য! অ হৃদ্য! কোথায় লুকিয়ে আছিস রে হারামি? শুনতে কি পাস না? হারামজাদাটার কাণ্ড দেখো ত–শুনেও শুনে না! হে আল্লাহ্‌, এমন অপদার্থ সন্তান যেন কারও কপালে না জুটে। রাগে আগুনজ্বলা জ্বলছে আর গজগজ করে পালাক্রমে কথাগুলো বলে যাচ্ছে গৃহিণী নিনা

সূরা বাকারার ৬৫ নং আয়াতে মহান আল্লাহ পাক বলেন –

” তোমরা তো ভাল করেই জানো , তোমাদের মধ্যে যারা শনিবার (আল্লাহর আদেশের সীমা) লংঘন করেছো , অতপর আমি তাদের (শুধু এটুকুই) বলেছি , যাও এবার তোমরা সবাই অপমানিত বানর (এ

একটা সময় অনেক গল্প লিখতাম । ২ টা সম্পূর্ন উপন্যাস , প্রায় ৯ টার মত ছোট গল্প , ২৫ টার মত কবিতা লিখেছি । প্রচলিত ধারায় যেহেতু লিখেছি , তাই স্বভাবতই আমার লেখায় নর-নারীর বিবাহ পূর্বক প্রেম ভালবাসা ইত্যাদি উঠে

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মহানায়ক এডলফ হিটলারের দুটি বানী নিম্নরুপ –

1. THE VICTOR WILL NEVER BE ASKED IF HE TOLD THE TRUTH .

2. HISTORY IS WRITTEN BY THE VICTORS .

অকাট্য সত্য ও শুনতে অপ্রিয় হলেও সত্যিই বাস্তবিক দুটি বাক্য !

তিনি অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে বসে আছেন । ইদানিং আলো তার অসহ্য লাগে । চোখে আলো গেলে চোখ কটমট করে এবং চোখ থেকে অনবরত পানি পড়তে থাকে । বিষয়টা নিয়ে তিনি ডাক্তারের সাথে দেখা করেছেন । ডাক্তারের প্রেসক্রাইব করা ওষুধও খাচ্ছেন নিয়মিত । তবে সমস্যার কোন সমাধান হচ্ছে না । তার ধারনা সমস্যা আরো বাড়ছে । তার চোখ থেকে এখন পানি পড়ছে । দেখে মনে হতে পারে তিনি কাঁদছেন ।

তিনি বসেছেন বারান্দায় পাতা রকিং চেয়ারে । চেয়ারের হাতলের ওপর একটা নীল রংয়ের টাওয়েল রাখা । তিনি টাওয়েলটা হাতে নিয়ে চোখ মুছলেন ।

আলো অসহ্যবোধ হওয়ায় তিনি খানিকটা লজ্জিত এবং বিষন্ন বোধ করছেন । মানুষ অন্ধকারের চেয়ে আলো পছন্দ করে বেশি । প্রাচীন কালে আদি মানবেরা রাতের অন্ধকারে আগুন জ্বালিয়ে আগুনকে ঘিড়ে বসে থাকতো । মানুষ বিপদে পড়লে আলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে পছন্দ করে । আলো তাদের মনে খানিকটা হলেও আশার সঞ্ঝার করতে পারে । আর আলো কি না তার অসহ্য লাগছে !

অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে তিনি ঘোড়ের মধ্যে চলে গেলেন । তিনি দেখতে পেলেন একটি কুয়াশাঘেড়া বিরানভূমি থেকে কি যেন ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে । গাঢ় কুয়াশা সত্বেও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে একটি শিশু হামাগুড়ি দিতে দিতে সামনে আসছে । হঠাত্‍ কুয়াশা বিলীন হয়ে গেল । কুয়াশার পরিবর্তে ঠাই নিল অপরূপ জোছনা । রূপালী জোছনা গায়ে মাখতে মাখতে শিশুটি আসছে । শিশুটি অবিকল বাবুর মত করছে । কিছুক্ষণ হামাগুড়ি দিয়ে সোজা হয়ে বসে থাকে । তারপর চারপাশ দেখে আবার হামাগুড়ি দেয় । শিশুটি দেখতেও বাবুর মত । তিনি এবার কাঁপতে লাগলেন । তার হাত পা সবই কাঁপছে ।

শিশুটি বসে আছে । তার দিকে তাকিয়েসে খুব মধুর ভঙ্গিতে হাসি দিল । যেমন হাসি কেবল শিশুরা তাদের বাবার দিকে তাকিয়ে হেসে থাকে । এবার তিনি আঁতকে উঠলেন । শিশুটির হাসিও বাবুর হাসির মত । তিনি ছটফট করছেন  । শিশুটি তার একেবারে কাছে এসে পড়লো । এইতো সে বসে তারদিকে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে । যেন কোলে উঠতে চাচ্ছে ।
তিনি বিকট এক চিত্‍কার দিয়ে উঠলেন ।

রাহেলা বেগম রাহা ধড়মড় করে বিছানায় উঠে বসলেন । তিনি শফিক সাহেবের গায়ে হাত রেখে বললেন ,
‘এই তোমার কি হয়েছে ?তুমি এমন করছো কেন ?’
শফিক সাহেব কিছুক্ষণ ফ্যালফ্যালকরে তাকিয়ে থেকে বললেন ,
‘কিছু হয়নি ।এক গ্লাস পানি দিতে পারবে রাহা ?’

-তুমি উঠে বস ।আমি পানি দিচ্ছি ।

রাহেলা বেগম রাহা টেবিলের ওপর রাখা ল্যাম্পটা জ্বাললেন । তারপর এক গ্লাস পানি এনে শফিক সাহেবের কাছে গেলেন । শফিক সাহেব যন্ত্রের মত হাতে গ্লাসটা নিলেন । পানিতে এক চুমুক দিয়ে গ্লাসটা রেখে দিলেন । তার হাত পা এখনও কাঁপছে ।

-এই তুমি কি দুঃস্বপ্ন দেখেছো ? ভয় করছে ?

-কই না তো ।

-তাহলে এরকম করছো কেন ?

-আর করবো না । রাহা এক কাজ করতো । ল্যাম্পটা নিভিয়ে দাও । চোখে আলো লাগছে ।

রাহেলা বেগম রাহা হাত বাড়িয়ে ল্যাম্পটা নিভিয়ে দিলেন । তারপর শফিক সাহেবকে বললেন ,
‘এদিকে আসো তো । তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিই ।’

শফিক সাহেব বাধ্য ছেলের মত কাছে এগিয়ে গেলেন ।

রাহেলা বেগম রাহা তার মাথায় পরম মমতায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন । তিনি চোখ বন্ধ করলেন । এবং প্রায় সাথে সাথেই ঘুমিয়ে পড়লেন । ঘুমের মধ্যেও তিনি তার মাথায় হাতের পরশ টের পেলেন  । তিনি আরো গভীর ভাবে ঘুমিয়ে পড়লেন । হঠাত্‍ তিনি শিউরে উঠলেন ।ওই তো অন্ধকারের দিখে মুখ করে থাকা লোকটাকে দেখা যাচ্ছে ।. . . . . .

go_top