॥ শ্যামলীর দুর্বলতা ॥
পাঁচ/ছয় বছর হয়, কাল্লু এবং শ্যামলী এ বাড়িতে এসেছে। ওরা দু’জন স্বামী-স্ত্রী। দশ বছর আগে ওদের বিবাহ হয়। বিয়ের আগে ওরা দু’জনই চোরাকারবারের সাথে জড়িত ছিলো। সীমান্ত এলাকা থেকে কাপড়-চিনিসহ অবৈধভাবে পাচার হয়ে আসা বিভিন্ন
হিমালয়ের ছুড়ায় দুরান্ত ছোঁয়ায়
যমুনার উষ্ণা শীতল প্রেমের কুলে
খুব গভীর নীলা জলে,ডুরাকাটা
কালনাগিনীর হলো আভীরভাব।
দুরান্তপনায় উত্তর থেকে দক্ষিন,
পূরব কি পশ্চিম জুড়ে, ফুসফাস
হুসহাস ফেনা তুলে,শুধুই যে ভাসে।
জোয়ার কি ভাটাতে,চিনাকে ফেলে
তীব্র উত্তাল স্রোতে আনন্দে মহে
উজানে কি ভাটিকে কিছুই
মানতে নারাস সে,হঠাৎ করে
জেনো,পাহাড়ের বুকে জুড়ে
চির সবুজের
তোমার সব আক্ষেপ শুনলাম
ক্রেনে চড়িয়ে অলীক কল্পনায়
চালান করেও দিলাম চোখ দুটো।
কথা দিচ্ছি; এই আমি
আক্ষেপগুলো
শুনলাম।
আক্ষেপগুলো
পূরণ করতে চাই।
পাথরের ভাঁজে ভাঁজে ফুটাতে চাই কদম
তবু, কচুপাতার নৌকায় চরে
পাড়ি দিতে চাই না লঙ্ঘন কিংবা বংশী।
জানি বৃষ্টিতে সতেজ হয় গাছ-পাতা-ঘাস
শিশিরও জমে মুড়ি মুরকির মত।
আক্ষেপগুলো
শুনতে দাও
কথা দিচ্ছি,
স্বপ্ন আমার ডানে বায়ে
স্বপ্ন আমার বালিশে
স্বপ্ন আমার কঠোর কাজে
স্বপ্ন আমার আলিশে ।
স্বপ্ন আমার সকাল বিকাল
স্বপ্ন আমার নিশিথে
স্বপ্ন আমার খেলার পুতুল
স্বপ্ন আমার হাসিতে ।
স্বপ্ন আমার মাঠে ঘাটে
স্বপ্ন আমার বাজারে
স্বপ্ন আমার কুলি মজুর
স্বপ্ন আমার মাজারে ।
স্বপ্ন আমার ছেলে বুড়ো
স্বপ্ন আমার রোগীরা
স্বপ্ন আমার