Today 10 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

ডায়েরির পাতা থেকে

: | : ০৩/০৮/২০১৩

অনেক দিন পূর্বে আশিক তার প্রিয়তমা খাদিজাকে ডায়েরিতে কিছু প্রশ্ন লিখে দিয়েছিল। খাদিজা সেই ডায়েরিটার প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখে দেয়। তা আজ আপনাদের মাঝে সেই ডায়েরির কিছু অংশ শেয়ার করলাম।

> আমি বর্তমানে তোমার কে? ভবিষ্যতে আমি তোমার কি হবো? আর তুমি আমার কি হবে?

>> তুমি আমার সব। তুমি আমার প্রেম, ভালোবাসা, প্রেমিক। আর ভবিষ্যতে তুমি আমার ইয়ে মানে স্বামী হবে। আর তোমাকে স্বামী রূপে বরণ করতে পারলেই আমি দুনিয়ার সবচেয়ে বেশি সুখী মানুষ হবো। আর আমি তোমার কি হবো, প্লিজ লক্ষিটি  তুমিই বলো না। আমার যে লজ্জা  করছে। ঠিক আছে তুমি যখন বলবে না তো আমিই বলছি। আমি তোমার বউ হবো। এবার খুশি হলেতো।

> খাদিজা তুমি আমার  জন্যে কতটুকু ত্যাগ স্বীকার করতে পারবে?

>> কতোটুকু বলো আশিক। সব আনন্দ সুখের কথা ভুলে তোমার পথ চেয়ে থাকবো সারাজীবন। এতে যদি আমার জীবন যৌবন চলে যায় যাক। তোমার জন্যে আমি আমার মা, ভাই, বোন আত্মীয় স্বজন সব ত্যাগ করতে পারবো। তোমাকে আমি স্বামী রূপে পেলে এসব আমার কাছে  তুচ্ছ হয়ে যাবে।

> তোমার মা, ভাই, বোনের ভয়ে কি আমাকে ভুলে যাবে?

>> না আশিক আমি তোমাকে কোনো দিন ভুলে যাবোনা। তারা যদি আমার গলায় ফাসিঁর রশিও পড়িয়ে দেয় তাহলেও আমি তোমার কথাই  বলবো। এই তো আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি। প্রমিজ মাই ডিয়ার আশিক।

> আমার জন্যে কতো দিন অপো করতে পারবে?

>> যতোদিন পৃথিবীতে সূর্যটা আলো দিবে ততোদিন। আর তুমি যদি বলো আমাকে মৃত্যু পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে তবে তাই করবো।

> আমাকে তুমি কতোটুকু ভালোবাসো? আর কতোটুকু বিশ্বাস করো?

>> যদি এ পৃথিবীতে ভালোবাসা মাপার যন্ত্র থাকতো তাহলে বুঝিয়ে দিতাম আমি তোমাকে কতটুকু ভালোবাসি। তোমাকে আমি প্রাণের চেয়ে বেশি ভালোবাসি। আর আমার মধ্যে যতোটুকু বিশ্বাস আছে সবটুকু দিয়েই ভালোবাসি।

> মা, ভাইয়ের সামনে দাঁড়িয়ে আমার ভালোবাসার কথা বলতে পারবে কি?

>> সময় হলে অবশ্যই বলতে পারবো। এ ব্যাপারে তুমি চিন্তা করিও না।

> প্রয়োজনে যদি আমাকে গাছ তলায় থাকতে হয় তাহলে কি পারবে আমার সাথে থাকতে?

>> হ্যাঁ আমি পারবো। তোমার ভালোবাসা পেলে আমি সব করতে পারবো। দিনে যদি একবার মাত্র এক মুটো পান্তা ভাত, আর শুটকির ভর্তা  বা একটুকরো রুটিও আমার ভাগ্যে জুটে তাহলে তা দু’জনে মিলে ভাগ করে খেয়ে নিবো। তবু তোমাকে ছেড়ে আমি কোথাও যাবোনা। আর আশ্রয় যদি গাছ তলায়ও হয় সেখানেও থাকতে পারবো যদি তুমি আমার পাশে থাকো। আর তাহলে আমি পৃথিবীর সব চেয়ে বেশি সুখী হতে পারবো।

> কথা দাও বন্ধু, তুমি আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করবেনা?

>> বিয়ে! তোমাকে ছাড়া অন্য কাউকে! তাতো  প্রশ্নই আসেনা। নারীর জীবনে প্রেম, ভালোবাসা এবং বিয়ে একবারই আসে। যে জীবন তোমাকে দিয়েছি, এই জীবন থাকতে আমার এ দেহ অন্য কাউকে দিতে পারবোনা। এই পৃথিবীকে সাী রেখে বলছি তোমাকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করবোনা।

> আমি যদি এই মুহূর্তে তোমাকে বিয়ে করার কথা বলি তাহলে কি পারবে বিয়ে করতে?

>> আমি তোমার জন্য সব সময়  প্রস্তুত।

> কথা দাও কোনো দিন আমার সাথে রাগ করতে পারবে না?

>> এই  প্রশ্নের উত্তর আমি কি করে দেই। কারণ ভবিষ্যতে ইয়ে করলে রাগ করতেও পারি। তবে বেশি করবো না। খুশিতো?

> মানুষের কোনো কথায় আবার ভুলে যাবেনাতো?

>> কখনো কারো কথায় তোমাকে ভুলে যাবোনা।

> তোমার ডাকে সারা দিতে গিয়ে যদি দেড়ী হয়ে যায় তাহলে কি অভিমান করবে?

>> একটুও অভিমান করতে পারবোনা। আচ্ছা বাবা ঠিক আছে চেষ্টা করবো অভিমান না করে থাকতে।

> দু’জন দুজ’নার, আপদে-বিপদে, সুখে-দুখে এ জীবন তোমার আমার। ঠিক আছে।

>> ঠিক আছে। তুমি আছো আমার, আমি আছি তোমার, এ জীবন তোমার আমার।

> (আল্লাহ না করুক) আমি যদি কোন দুর্ঘটনায় অন্ধ বা পঙ্গু হয়ে যায় তাহলে কিএভাবে আমার পাশে থাকবে?

>> দেখো আশিক আর যেনো কখনো তোমার মুখ থেকে এসব অসুভো কথা নাশুনি। এসব কথা শুনলে আমি কিন্তু কেঁদে ফেলবো। তবে হ্যাঁ তুমি অন্ধ, পঙ্গু যা কিছুই হওনা কেনো, তোমার মনতো অন্ধ পঙ্গু হবেনা। অতএব আমি তোমার মনকে ভালোবেসে সারা জীবন তোমার পাশে থাকবো।

> আমাকে পেতে হলে তোমাকে অনেকদিন অপো করতে হবে। পারবে অপেক্ষা করতে হবে?

>> তুমি যতোদিন বলো,  ততোদিন আমি তোমার জন্যে অপেক্ষা করবো।

> প্রেম করতে হলে কষ্ট করতে হয়। পারবেতো কষ্ট করতে?

>> তোমার অনেক অনেক ভালোবাসা পেলে সব কষ্ট মাথা পেতে নেবো। তবে তোমার দেওয়া কষ্ট আমি সহ্য করতে পারবোনা।

> আমার কি দেখে তুমি আমাকে ভালোবেসেছো?

>> তোমার মন দেখে, তোমার চোখ দেখে, তোমার চরিত্র দেখে আমি তোমাকে ভালোবেসেছি।

> তুমি আমাকে এতো ভালোবাসো কেনো?

>> আসলে  প্রশ্নটা একটু কঠিন হয়ে গেছে। আমি জানিনা কেনো তোমাকে এতো ভালোবাসি। আমার মনে হয়, আমি তোমাকে আমার মনের মতো এখনো ভালোবাসতে পারিনি। সেদিনই আমি তোমাকে আমার মনের মতো ভালোবাসতে পারবো যেদিন আমি তোমাকে নিজ হাতে খাইয়ে দিবো, ঘুম পরিয়ে দেবো, মাথা আঁচড়িয়ে দেবো, বেড়াতে নিয়ে যাবো, সারাদিন তোমার যতœ করে কাটিয়ে দিবো। সেদিনই আমি মনে করবো আমি তোমাকে মনের মতো ভালোবাসতে পেরেছি।

> আমি যে খাটো এতে কি তোমার খারাপ লাগে?

>> যদি খারাপ লাগতো তাহলে কি আমি তোমাকে ভালোবাসতাম? আর তুমি খাটো বলে কি মানুষ নও। তোমার সবচেয় বড়ো পরিচয় তুমি একজন পরিপূর্ণ মানুষ। তোমার একটা সুন্দর মন আছে। আর আমি তো তোমার চেয়ে লম্বা নই। দু’জনেইতো সমান আছি। আমি তো মনে করি আমাদের জুটিটা খুব চমৎকার হয়েছে। আমাদের দু’জনের গায়ের রং, উচ্চতা, দেহের ওজন, স্বভাব চরিত্র, মন মানসিকতা, লেখাপড়া, দু’পরিবারের অর্থিক অবস্থা সবইতো মিলেছে। কারো জীবনে এমন পাঁচ দিক মিলে না, যা আমাদের মিলেছে। অতএব তোমার খাটোর জন্যে তুমি মন খারাপ করিও না। আমি কিন্তু এ ব্যাপারে কোন চিন্তা করি না।

> তোমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?

>> আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হলো একদিন তোমার আমার বিয়ে হবে। আমাদের সংসারে আসবে ফুটফুটে দু’টি সন্তান। তোমার আমার সংসার হবে সুখের। আমাদের এ সুখ দেখে অন্যরা ঈর্ষা করবে।

লেখক সম্পর্কে জানুন |
সর্বমোট পোস্ট: ০ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ১ টি
নিবন্ধন করেছেন: মিনিটে

মন্তব্য করুন

go_top