আমিও পারি
আজ ঈদের ঠিক পরের দিন। ঈদের দিনে ঢাকা শহরে থাকার ফলে একটু অন্যরকমভাবে ঈদ উপভোগ করলাম। সকল মানুষের গায়ে নতুন জামা, এলোপাতাড়ি ছোটে চলা। ছোট্ট বাবুদের বাদ নামানা হেঁটে বেড়ানো, মাঝে মাঝে সীমানা ডিঙিয়ে চলে যাওয়া ঈদের আমেজকে এবং এর ঐহিত্যকে যেন জিইয়ে রেখেছিল। কিন্তু কয়েকটি বিশেষ স্থানে কিছু মানুষের উপস্থিতি জানান দিচ্ছিল যে সারা মাসের সিয়াম সাধনা তাদের জীবনে তেমন কোন পরিবর্তন আনতে পারেনি।
ঈদের ঠিক আগের দিন এক মা তার ৫-৬ বছরের ছেলে সন্তানটির কান্না থামাতে পারছিল না। কারণ তিনি সেই ছেলের দাবীমত জামাটি কিনে দিচ্ছিল না কিংবা বলা যেতে পারে দিতে সমর্থ হচ্ছিল না। কিন্তু ছেলেতো নাছোর বান্দা। তার ওই জামাটিই চাই। না হলে সে চলে যাবে। কিন্তু কোথায় যাবে? সে তো পথ চেনে না। তার মায়ের এই শঙ্কা। এক পর্যায়ে মা তার ছেলেটিকে রেখেই চলে যেতে থাকল।
পেছনে ছেলে। ছেলেও কাঁদতে কাঁদতে পেছন তাকাতে তাকাতে চলে যেতে থাকল।
এতে কি কোন সমাধান হবে? শান্তি পাবে সেই মা? কিংবা পূর্ণ হবে ছেলের প্রত্যাশা?
চলন্তিকায় এ বিষয়ক কয়েকটি লেখা পোস্ট করা হয়েছিল। আমরা যদি আমাদের সামর্থকে নিয়ে হিনমন্যতায় না ভোগি তাহলে এটাও অত্যন্ত নিশ্চিত যে আমার হাত বাড়ানোতে হাসি ফুটতে পারে একজন মানুষের, কিংবা পুরো পরিবারের। আসুন আমার সামর্থকে মূল্যয়ন করি। আমিও পারি।