আমাদের গাঁও
গ্রীষ্ম দিয়ে শুরু করে বসন্তে শেষ
ছ’ঋতুতে লিখছে কবি আমার সোনার দেশ,
সোনার দেশের সোনার খঁনি ছোট্ট ছো্ট্ট গাঁ
চোখ দাধাঁনো দৃশ্য হেথা আয় রে দেখা যা ।
নব বধূর মতোই সে যে নিত্য নতুন সাজে
পায়ে তার সোনার নুপুর ঝুমুর ঝুমুর বাজে
পায়ে হেটে চলতে সেরা আমার গাঁয়ের পথ
ফল বাগিচা উল্লেখযোগ্য আর দেবীর রথ ।
চারিদিকে সবুজ ছড়ায় গাঁয়ের তরু লতা
ভুলতে চাইলেও ভুলা যায় না গাঁ-র নদীর কথা
চৈত্রের খরায় শুকনো নদী ফেঁটে চৌচিড়
বর্ষা এলেই আবার ভাসে নদীর দুই তীর,
মাছ ধরতে জাল ফেলতে নামছে গাঁ-র জেলে
গানের সুরে চলছে মাঝি নাউয়ের পাল তুলে ।
মাঠে এবার ফুঁটেছে সরিষারি ফুল
গাঁ পরেছে হলুদ শাড়ী মন খেয়েছে দোল,
গিয়ে দেখো পুকুর ঘাটে
জলের উপর ঘর বেঁধে
শাপলা বলছে আমিই ফুলের রানী,
গোলপ বলছে মানি না তোর মিথ্যাচার
স্থলের বুকে আমার ঘর
সব প্রেমিকের হাতে আমি, আমিই সেরা ধনি ।
বকুল বেলি হেসে বলে
আমরা এটা বললে চলে
গায়ে তোদের গন্ধ নেই রে তবুও মারামারি ?
আমার গন্ধে ভ্রমর আকুল
ফুঁটে ওঠতেই লোকজনে করে কারাকারি,
এমনি ভাবে বছর জুড়ে গাঁয়ে চলে ফুলের কোলাহল
বাতাসে ভেসে বেড়ায় সু-গন্ধেরি ঢল ।