ভিতর-বাহির
দেখতে তুমি রাজপুত্তর
অন্তর কালো ময়লা ডোবা জল।
নায়কোচিত সুরত অধিকারী
তবে অন্তরেতে কুৎসিত খল।
সুশীল স্লোগানে তুমি মুখরিত
অন্তরেতে যত ধ্বংসের ফন্দি।
প্রকাশ্যে সভ্যতার প্রতিনিধি
গোপনে অনিষ্টের যোগ্য সঙ্গী।
দাঁড়ি আর লম্বা জুব্বা
চেহারাতে নূরের আভা।
যত অধর্ম যত ভণ্ডামি
অন্তরের কেবলা নয় তো ক্বাবা।
রসের পেয়ালা দেখে ভাবছ কি
খাঁটি মধুর অমৃত তরল?
জিভের ডগায় নিয়ে বুঝে দেখ
মৃত্যু কত সরল।
কালো কুৎসিত বদ সুরত তার
দেখতেই লাগে বড্ড ঘেন্না।
অন্তর যদি তার দেখতে পেতে
ঝরছে অবিরত নিঃস্বার্থ ঝর্ণা।
শব্দের ছক তার এলোমেলো
নয় তো সে গুছানো বক্তা।
তবুও তার পরিশীলিত অন্তর
সজ্জিত যের-যবর-নোক্তা।
বাহিরেতে কারো রঙ্গিন লেবাস
ভিতরটা দুর্গন্ধময় মাকাল ফল।
বাহ্যিক রুপেই যদি গুন বিচার
তবে অন্তর থাকার কি অর্থ বল্?
কি ধলা কি ছাই বরন
ভিতরটাই তো আসল।
কুঁড়ের ঘর দেখেই যাচাই করো না
অন্তরে তার রাজমহল।