শিল্পবিষয়ক বালিকা বিদ্যালয়
সকল শিল্পের রথ নারীকে ঘিরেই ঘোরে
নারীও সূর্যের মতো দূরে থেকে
ওমমাখা আলো ফেলে শিল্পের বিবিধ শরীরে
অথচ শিল্পী কিংবা শিল্পের সাধ্য নেই
নারীর উষ্ণতা কিংবা হৃদয়ের দৈর্ঘ্যপ্রস্থ মাপে
কাছে গেলে হাত পোড়ে, মন পোড়ে
এ সকল পোড়োকবি, শিল্পীগণ
জীবনের মাঠে গিয়ে আসর জমায়
ক্যাটওয়াক থেকে এনে জীবনের বুকের ওপর
তারা দেয় অভিযাত্রী হাত
ফলে প্রাজ্ঞ উত্তর কিংবা দক্ষিন কাঠামোবাদী
সমালোচনা শিল্পীগণ
জীবনের ঘনিষ্টতা নিয়ে বিবিধ কোরাস গেয়ে
ভরে ফেলে ১২ জন শ্রোতাভরা মিলনায়তন
গর্বিত কবি,শিল্পীগণ আয়েশী ঢেকুর আর
বিষন্ন মীণাক্ষী তুলে নারীদের দেখে
মনে মনে ভাবে, তুমি বুঝিলেনা নারী !
নারীগণ এসবের থোড়াই পরোয়া করে !
ঝকঝকে আলো দেখে
ভুলে গিয়ে পেছনের নীল অন্ধকার
পতঙ্গপুরাণ থেকে পাঠ নেয় নারী
অত:পর সোহাগীকে ঘরে ফেলে
কুঠিয়াল জীবনবাণিজ্য আর বেদেনীতে মজে
জীবনের ঝাড়বাতি নিভে গেলে
নারী বোঝে কবিতার মানে, শিল্পের নতিজা !
ততোদিনে কবিগণ শিল্পীগণ
প্রধানঅতিথি আর সভাপতি হয়ে
আলোকিত করে যায় ক্যামেরার চোখ
অথবা ভূষিত হয় মরণোত্তর জাতীয়পদকে !