নজরুল গীতিমালা ( আমার সংগ্রহশালা থেকে )
“আ” অক্ষর দিয়ে শুরু এমন ৫ টি নজরুল গীতি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম ।
১.আলগা কর গো খোঁপার বাধন
আলগা কর গো খোঁপার বাঁধন
দীল ওহি মেরা ফাস্ গেয়ি
বিনোদ বেনীর জরীণ ফিতায়
আন্ধা ইশক মেরা কস্ গেয়ি ।।
তোমার কেশের গন্ধে কখন
লুকায়ে আসিল লোভী আমার মন
বেহুশ হো কর গির পারি হাতমে
বাজু বান্দমে বস্ গেয়ি ।।
কানের দুলে প্রাণ রাখিলে বিধিয়া
আখঁ ফেরা দিয়া চোরি কার নিদিয়া
দেহের দেউরিতে বেড়াতে আসিয়া
আউর নেহি উয়ো ওয়াপাস গেয়ি ।।
২.আকাশে আজ ছড়িয়ে দিলাম প্রিয়
আকাশে আজ ছড়িয়ে দিলাম প্রিয়
আমার কথার ফুল গো আমার গানের মালা গো
কুড়িয়ে তুমি নিও
আমার সুরের ইন্দ্রধনু
রচে আমার ক্ষনিক তনু
জড়িয়ে আছে সেই রংয়ে মোর অনুরাগ অমিয়
মোর আখি পাতায় নাই দেখিলে আমার আঁখিজল
মোর কন্ঠের সুর অশ্রুভারে করে টলমল
আমার হৃদয় -পদ্ম ঘিরে
কথার ভ্রমর কেদে ফিরে
সেই ভ্রমরের কাছে আমার মনের মধু পিও ।
৩.আমায় নহে গো
আমায় নহে গো ভালোবাসো শুধু
ভালোবাসো মোর গান
বনের পাখিরে কে চিনে রাখে
গান হলে অবসান ।
চাদেরে কে চায় জোসনা সবাই যাচে
গীত শেষে বীণা পড়ে থাকে ধূলি মাঝে
তুমি বুঝিবে না
আলো দিতে কত পোড়ে
কত প্রদীপের প্রাণ ।
যে কাটা লতার আখিঁজল
ফুল হয়ে উঠে ফুটে
ফুল নিয়ে তার দিয়েছো কি কিছু
শূন্য পত্র পুটে ।
সবাই তৃষ্ণা মেটায় নদীর জলে
কি তৃষা জাগে সে নদীর হিয়া তলে
বেদনার মহা সাগরের কাছে করো সন্ধান ।
৪.আমারে চোখ ইশারায় ডাক দিলে
আমারে চোখ ইশারায় ডাক দিলে হায় কে গো দরদী ,
খুলে দাও রং মহলার তিমির দুয়ার ডাকিলে যদি ।।
গোপনে চৈতি হাওায় গুল বাগিচায় পাঠালে লিপি ,
দেখে তাই ডাকছে কূ কূ বলে কোয়েল ননদী ।।
পাঠালে ঘূর্ণীদূতী ঝড় কপোতী বৈশাখে সখি ,
বরষায় সেই ভরসায় মোর পানে চায় জল ভোরা নদী ।।
তোমারি অশ্রু বলে শিউলি তলে সিক্ত শরতে,
হিমানীর পরশ বুলাও ঘুম ভেঙ্গে দাও দ্বার যদি রোধি ।।
পউষের শুন্য মাঠে একলা বাটে চাও বিরহিণী,
দুহুহায় চাই বিষাদে মধ্যে কাঁদে তৃষ্ণা জলধি।।
ভিড়ে যা ভোর বাতাসে ফুল সুবাসে রে ভোমর কবি
উষসীর শিশ মহলে আসতে যদি চাস নিরবধি ।।
( জৌনপুরী – আশাবরী – কাহারবা )
৫.আমি চিরতরে দূরে চলে যাব
আমি চিরতরে দূরে চলে যাব ,
তবু আমারে দেব না ভুলিতে ।
আমি বাতাস হইয়া জরাইব কেশে ,
বেণী যাবে যবে খুলিতে ।।
তোমার সুরের নেশায় যখন
ঝিমাবে আকাশ কাদিবে পবন ,
রোদন হইয়া আসিব তখন তোমার বক্ষে ঝুরিতে ।।
আসিবে তোমার পরমোৎসবে কত প্রিয় জন কে জানে ,
মনে পড়ে যাবে কোন সে ভিখারি পায়নি ভিক্ষা এখানে ।
তোমার কুঞ্জ পথে যেতে হায় !
চমকি থামিয়া যাবে বেদনায় ,
দেখিবে কে যেন মোরে মিশে আছে তোমার পথের ধূলিতে ।।