Today 11 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

গত পরশু অচেনা বিদেশি নম্বর থেকে  আমার কাছে ফোন আসে। ফোন রিসিভ করলে অপর প্রান্ত থেকে কোনো সাড়া শব্দ  পাই নাই।  কয়েক সেকেন্ড পার হওয়ার পর ফোন কলটি কেটে যায়। ফোন নম্বরটি ছিল +২৪৩৮৯৬২৩৪০০৪। একই ভাবে +২৪৩৮৯৬২৩৪০০৫ নম্বর থেকে  পরদিন

(তিন)
এ অফিসের দারোয়ানটা নতুন। অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য হবে। লম্বা কমপক্ষে সাত ফুটের কাছাকাছি। বুল ওয়ার্ক-এর ব্যাচ। বেশ পাকা পোক্ত শরীর। আঁট সাঁট নীল পোষাক। পায়ে গামবুট। তিমির কাঁচের দরজা পুশ করতেই দারোয়ানের প্রশ্ন – কাকে চান ? বুক পকেটে লাগানো

প্রায় শতবর্ষ যাবত
তুমার উষ্ণ ছোঁয়ায়-আলিঙ্গনে
ডুবে থাকি না
প্রায় দুশ বছর যাবত
চোখে চোখ রাখা হয় না
ঠোটে ঠোট রেখে
হারিয়ে যাই না।

বুকে বুক রেখে এক্কা-দুক্কায়
সর্গারোহনে কিংবা
পাতাল পুরীর নাচন দেখা হয় না
প্রায় ছশো বছর যাবত।

দূরে- কোথাও ডুবে যাওয়া
সূর্যের দিকে মেলে দিইনা দৃষ্টি
উষ্ণ হাতে হাত রাখি

এসব হাভাতে লোকজন
আমার দু’চোখের বালিরা
শুধুই জ্বালায় !

আমার বেহায়া চোখ
তাদের চোখেই দেখি খুঁজে মরে
আমার জৌলুসজাত ঈর্ষা ও ক্রোধ !

তোমাকে  ভালোবাসি বলেই, কোনোদিন

বিষণ্ণ বিকেলের গল্প শোনা হয়নি,

তোমাকে ভালোবাসি বলেই হয়তো, কোনোদিন

দেবদাস পড়ে   ব্য  র্থতার কান্নায়

জড়াইনি  কোনোদিন; অথবা পার্বতীর প্রেমে

উজাড় করে দেইনি নিজেকে।

তোমাকে ভালোবাসি বলেই , কোনোদিন

বনলতা সেনের চোখের পানে তাকাইনি,

শেষে তুমি পর হয়ে যাও,

তোমাকে  ভালোবাসি বলেই , কোনোদিন

আমার কবিতায়

বাঁশের আগায় কোয়েল পাখি ডাকছে কুহু কুহু

তাই শুনিয়া দাদীর নাকি কেঁপে উঠছে রুহ্,

যারে পাখি সরে যা, করে হুইস হুইস

বুরা খবর ভুলে যা, ভালো হলে ফের এসে কইস ।

 

পাখি কি আর থামে কথায় ? ডাকছে জোরে জোরে

রাগের বশে দাদি এবার ঢিল মেরেছে

গীতিকবিতা-(০১)

সেদিনের সেই তুমি কত বদলে গেছ
আমার পৃথিবী আজও তেমনি আছে,
যেমন দেখেছ॥

কোথায় সেই সুর, সেই গান
প্রাণে প্রাণে এত মান অভিমান,
মনে হয় যেন তুমি আজ
সবই ভুলে গেছ॥

সেইসব দিন আজও আমায়
আকুল করে ডাকে,
যেতে যেতে পথে এখনও
আমি দাড়াই থমকে॥

আজ ও আমি যে গানে গানে
স্মরণ

ছায়াটা নড়ছে। চলছে। কখনও সামনে, কখনও পেছনে। দেখছেন বটেশ্বর। ঘাড়

ঘুরিয়ে মানুষটিকে দেখতে পাচ্ছেন না। ভূত নয়ত ?

ঘাড় মটকালে বিপদ। স্পন্ডেলাইটিস বড় ব্যথা দেয়। একে তো পায়ের ব্যথায়

কাহিল। খুঁড়িয়ে হাঁটছেন। ঘাড় মটকানি নিশ্চয় আরো যন্ত্রণার!

রাস্তা ছেড়ে এবার গলিপথ ধরলেন বটেশ্বর। তখনই

ছিল কি তা ভুল অনুমান?

নাকি ছিল তা তোমার ছলনা,

ইশারা কি তবে দাওনি তুমি?

নাকি আমার অতৃপ্ত হৃদের কাল্পণিক বাহানা।

মরুর বুকে পথ হারানো পথিকের দৃষ্টিভ্রমের মত

নাকি ছিল আমার অতৃপ্ত হৃদের মতিভ্রম,

পুর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি;

তোমাকে তা-ই ভেবে চেয়েছিলাম মনের ক্ষুধার উপশম।

ভেবেছিলাম তোমায়

যদি একটা সুন্দরকে পেতে উদ্যত হই
সেও যদি ধরা দিতে চায়
একটা পতঙ্গ এসে সামনে দাঁড়ায়।

যদিও বা ধরেও ফেলি
একটা কীট এসে তাকে বিগড়ে দেয়।

কীট-পতঙ্গকে সভ্য বানাতে গেলে
নিজেই রূপান্তরিত হই অসভ্যে।

যদি পাশ কাটাতে চাই
বোধের রক্তচক্ষু দেখতে পাই।

আমার সামনে কীট পিছনে পতঙ্গ
উপরে বোধ নীচে

go_top