Today 11 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

॥৭॥

একদিন কয়েকজন বন্ধু মিলে চেপে ধরল, আল-আইন নামক শহরটা দেখতে যাবে। সেখানের চিড়িয়াখানাটা নাকি আমিরাতের একটা বড় চিড়িয়াখানা। আরও কিছু দেখার মতো স্থান আছে যা পর্যটকদের বিশেষ আকর্ষণের।

আমি বললাম, ঠিক আছে তবে আমি গাড়ি চালাতে পারব না। কারণ আমি কয়েক

বাস থেকে নেমেই আয়েশার চপ্পল ছিঁড়ে গেল। ফিতে ছেঁড়া চপ্পল নিয়ে হাঁটা

যায় না।এদিক-ওদিক তাকিয়ে সে চপ্পল খুলে পলিথিনের ব্যাগে ভরল।খালি

পায়ে হাঁটতে শুরু করল পিচ রাস্তায়।

বর্ষাকাল।সকালের রোদ।তবু পিচ রাস্তা তেতে গেছে।হাঁটতে ইচ্ছে করছে না।

তবু বেশ জোর পায়ে হাঁটছে আয়েশা।চেষ্টা করছে যত

বর্ষাকাল

ব্যাঙ ডাকে ঝিঁঝিঁ ডাকে এখন বর্ষাকাল
যখন তখন বৃষ্টি নামে থৈথৈ জল।

মেঘ ডেকেছে ঈষাণ কোণে,
ভয় ধরেছে মায়ের মনে।

মাছ ধরতে গেছে খোকা ফিরবে কখন বল।

বায়না

খুকি আমার বায়না করে শিখবে নাচা-গানা
ধমক দিয়ে দাদু বলে ধর্মে ওসব মানা।

মিথ্যা বল, ঘুষ খাও,
যৌতুকটা তা নাও।

দ্বৈত

কষ্টের আগুণে জ্বালিয়ে

আমাকে কাঁদিয়ে

অন্যের ঘরে গিয়ে

কি সুখ পেলে তুমি?

আশ্চর্য ব্যাপার!! তবে আজগুবি না!
কেন জানি ‘চলন্তিকা প্রকাশন’ ‘চলন্তিকা বইঘর’ ‘চলন্তিকা পাবলিকেশন’ ‘চলন্তিকা বই প্রকাশনা ও গবেষণা কেন্দ্র’ এই নামগুলো নানা আঙ্গিকে, নানা ভঙ্গিতে আমার মনের ভেতর বেদম তোলপাড় করছে। কখনো কখনো নামের উৎপাত এত বেড়ে যায় যে, তখন সেই

প্রত্যাশার সাগরে আজ ধ্বংসের জোয়ার
কষ্টের প্লাবণে স্বপ্নরা সব ভেসে চলছে শেওলার মতো ।

পরাজিত সৈনিকের ন্যায় আমার বুক ভরা দীর্ঘশ্বাস
অন্ধকারে হাতরে ফেরি জীবন ও বেঁচে থাকার অভিসন্ধি ।

দূরে দাড়িয়ে মৃত্ত্যুদূতের চোখ রাঙানি, সময় বুঝি হয়ে গেল
অস্তিত্ব খরায় দুর্বিসহ জীবন, গ্লানির মাঝে

কার লাগিয়া কাঁদো রে মন
কার লাগিয়া কাঁদো,
সে কি তোরে মনে রাখে
ভুলে গেছে আধো।
যার জন্য তুই দিলিরে প্রান
বিকাইলি সম্মান,
সে তোকে ভুলে গেছে
রেখেছে কি তোর মান !
কার লাগিয়া কাঁদো রে মন
কার লাগিয়া কাঁদো,
সে কি তোরে মনে রাখে
ভুলে গেছে আধো।
ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখ
কাঁদ

আপন কাবা’তে সিজদা করে জিজ্ঞাসি আপনাকে।

কাবা’র দিক ভ্রষ্ট করে ভক্তির নম  কাহাকে?

আপন সিরাতের বিবর্তন ঘটিয়ে কাহার তোরে অনুগত?

আপন সুরত নিস্তেজ করে কাহার তরে অবনত?

আপন কাবা হেলা করে কাহার তরে খুঁজিস্‌ ভক্তির তবারক?

আপন কাবা বঞ্চিত করে কাহার কাবা’র প্রচারক?

মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিস্‌

এখানে সে বসেছিলো ।
চলে গেছে…
নিজের বাসায় কিংবা
অন্য কোনখানে…

প্রথম দেখেছি তাকে
রমনার পাকা বেঞ্চিতে
তারপর সবুজ ঘাসের বুকে
দুরন্ত বাতাসে ওড়ে
অবাধ্য আঁচল,চুল
শুধুই বিব্রত করে তাকে
অগ্ন্যুৎসবে মাতে
তার মুখের জমিন
সাথে ছিলো কয়েক বান্ধবী
বাতাসের চেয়ে
দুষ্টু ছিলো তারা
বারকয় তো কেঁদেই ফেলেছিলো…

অন্যের দুঃখ দেখে এতো সুখ !
আগে তা জানিনি..

বাসায়

ঘরের কোণে তেঁতুল গাছ, গাছে ভূতের বাসা
ভয়ে কাঁপে বাড়ির লোক, কী যে সর্বনাশা

ঘুমায় ওরা দিনের বেলা, রাতে চলাফেরা
সুযোগ পেলে নিয়ে যাবে, ছাগল মোরগ ভেড়া

হঠাৎ সেদিন উঠলো ক্ষেপে, বাড়ির ছেলে-বুড়ো
ভয় পেয়ে বলছে ভূতে, তোমরা আমার গুরু

go_top