Today 11 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

পাগল হবি ভাব ধরিবি

নিলি পাগল বেশ,

আউলা-ঝাউলা কুর্তা গায়ে

লম্বা দাড়ি-কেশ।

পাটিতে বসে ধ্যান করিলি

হবি তুই বাবা,

ভাবের দেশে সাঁকো বাঁধিবি

দু’ চক্ষু  বোবা।

গেরুয়া গায়ে খোঁপা বেঁধে

হইলি তুই বৈরাগী,

পথে পথে গান গেয়ে

তুই সংসার বিবাগী।

কেবল্-ই তুই ভাব ধরিলি

আসল গুদাম ফাঁকা,

ধ্যানে বসে কেম্‌নে তুই

শুনিস্‌ কাক-এর কা কা।

ভাব

আমার সিথানে যদি
শিস দেয় রাত জাগা পাখি
তাতে তোর কি?
সেই ডাকে মন যদি
উড়ু উড়ু করে
তাতে তোর কি?
আমার খোঁপায় যদি
কেউ দেয় নীল বুনোফুল
তাতে তোর কি?
কথা শুনি নাই বলে
কেউ যদি চুলে দেয় টান
তাতে তোর কি?
কারো চিঠি কেড়ে যদি
বুকে গুঁজে রাখি
তাতে তোর কি?

ভেবেছিস, তোর

বেগুনতলীর সঙ্গে পটলপুরের খুব আঁকশা-আঁকশি চলছে।অবস্থা খারাপ হতে-হতে

থানা-পুলিশ অব্দি গড়িয়েছে। থানার বড়বাবু গোঁফে তা দিচ্ছেন আর বলছেন,দুই

গাঁয়ের কুকুর-শেয়ালও রেহায় পাবে না। সবাইকে লক-আপে ভরে কাপড়-কাচা

করাব।কাকপক্ষীও টের পাবে আমি কি রকম জাঁদরেল বড়বাবু!

বেগুনতলী গ্রামের বেগুন জগৎবিখ্যাত।রং-চেহারা আর স্বাদে অতুলনীয়।

হাটে-বাজারে ফড়েরা হাঁকায়,আসুন

জীবন মানে সুখের আশায় পথ চেয়ে বসে থাকা

সত্যকে লুকিয়ে

মিথ্যার চাদরে মুখ ঢেকে অভিনয় করে চলা।

বিবর্ণ এই পৃথিবী তবুও রঙিন স্বপ্ন  দেখা

কেউ কারো নয় অথচ নিবিড় করে পাওয়ার আকাঙ্খা।

 

ব্যর্থতায় বিধস্ত মন, অসীম শুন্যতা বুকে

ভীরু কন্ঠে মৃত্যুকে ডেকে ফেরা, তবুও দুরাশা

ধরা নাহি

জানি কোন মুল্যই নেই আমার তোর কাছে,

তবু কেন করিস এতো অভিনয় আমায় দেখে?

হয়তো পারিনি আমি বোঝাতে আমায় তোর চোখে।

তাই জ্বলি আমি, মরে যাই, লোকচক্ষুর পাছে।

 

কোন একসময় না হয় দুর্বল হয়ে পড়েছিলাম

তার এতো বড় সাজা দিলি আমায় তুই নির্দয়ভাবে।

বুঝতে পারিনি আমি

এই শহরে কোন প্রজাপতি ওড়ে না

এই শহরটা আজ যান্ত্রিকতায় মুগ্ধ

তাই অসংখ্য প্রজাপতির দল-

ভাসে না আজ বাতাসের বুকে

বিষাক্ত আর পাথুরে দেয়ালে

প্রজাপতিরা কি বাসা বাঁধতে পারে?

এই শহরে কিছু মৃত প্রজাপতির ডানা

এলেমেলো ভাবে ভেসে বেড়ায়,

কতকাল আগেই চলে গেছে ওরা

ওদের অতৃপ্ত আত্মারা আমাকে অভিশাপ

সওর হলাম আশাকে ঘোড়াকে করে তার ‘পরে
বালুময় দূর্গম পথে; বলব-কিছু কথা,
বৃহৎ এ আশাটা মানায় নি বুকের ঘরে
ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসি। দুঃখ পাই অযথা।
ব্যর্থতার গ্লানি আছে, নেই সুখের আশ্বাস,
দু’চোখ আমার-শ্রাবনের অঝোর আকাশ।
(সংক্ষিপ্ত)

সুখালয়,নিমহাওলা
২৫ জুলাই ২০০৬

এখনো সন্ধ্যা হয় নি। ঘরের দেওয়াল ঘেঁষে সর্বহারার মত বসে আছে মজনু । তার চোখ দিয়ে এখন আর অশ্রু ঝরছে না। শোকে হয়ত পাথর হয়ে গেছে। মজনু বসে বসে সবুজের সাথে তার বিভিন্ন স্মৃতির মাঠ চষে বেড়াচ্ছে আর ভাবছে, এ

মাদক ছোবল

মাদক ছোবলে মরছে যারা না জানি কোন সুখে
বুকের মানিক মারছে ছুরি মারছে নিজের বুকে।
এভাবে আর চলবে কদিন,
ফিরবে কি সেই সুদিন,
না হলে যে স্বপ্ন সবার বিনাশ হবে-কাঁদবে সবাই দুঃখে।

ব্যাঙ ডাকে

বর্ষাকালে ব্যাঙ ডাকে
ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর করে।
লাফ দেয়,
ডুব দেয়,
সোনামনির দেখে।

এক ছিল অত্যাচারী রাজা। কারণে-অকারণে মানুষ ও পশু-পাখিদের ধরে অত্যাচার করে আনন্দ পেতেন তিনি। কেউ পছন্দ করত না রাজাকে। মনে মনে সবাই ঘৃণা করত তাঁকে। এটা রাজা জানতেন। তবুও কমতি ছিল না তাঁর অত্যাচারের।

একদিন রাজা হাতি চড়ে শিকার করতে বের

go_top