Today 11 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

সেই কবে থেকে পুষে রাখা সাধ
অবসরে বসে দেখা দিবাস্বপ্ন
আমি সাগর দেখতে যাবো।
অথচ পারিনি।
জীবন যুদ্ধে নেমেছি
ভাইকে পড়াতে
দুঃখিনী বোনের বিয়ে দিতে
মায়ের মুখে হাসি দেখতে
বাবার বাতের ওষুধ যোগাতে
আমার তো কিছু সাধ এখনো মেটেনি
তবু প্রত্যাশার শেষ নেই-
আমি সাগর দেখতে যাবো।
প্রতিদিন বসের ধমক খাই
বাসার বাজার

বেশ বড়লোকি পার্টি। নানা রকম আমোদ-প্রমোদের ব্যবস্থা। লিভিং রুমের একপাশে বার, আরেকপাশের দেওয়ালে টাঙানো বিশাল এলইডি টিভি। এত বিশাল যে আমিই বোধহয় ওর ভিতরে ঢুকে যাবো। ওটাতে হিন্দী সিনেমার দুই জনপ্রিয় নায়ক-নায়িকা অনেকক্ষণ ধরে নাচানাচি করছে। অনেক

বাজায় বাঁশি,দুঃখ নাশি,

রাখাল বালক সুখে,

মনে বিভোর,মধুর এ ঘোর,

মৃদু হাসি তার মুখে।

 

প্রহর স্তব্ধ,কত নিঃশব্দ!

মন কাড়া ঐ সুরে,

পশু আর পাখী,নীরব থাকি,

নাচছে ঘুরে ঘুরে।

 

সে সুর যেন,মন নাড়ে হেন,

আপন পর ভোলা ,

গরু ও বাছুর,ভুলে যায় দূর,

সব মনে লাগে দোলা।

 

রাখালের গ্রাম,সুখচর নাম,

সুখের যেন রাজ্য,

গরীব,ধনবান,সব এক

আমি তখন সিলেট বিভাগের জেলা ছাতকের খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকতা। ওসি এল এস ডি ।আমাদের অফিসটা ছিল সুরমা নদী কোল ঘেষে। গাছগাছালী ঘেরা ছায়া মনোরম এক পরিবেশ । আমার অফিস থেকে একটু হেটে কিছুদুর গেলেই সুরমা নদীর পাড় ঘেষে একটা শশ্মান।

ঢাকা শহর নেইকো ঢাকা
সবই খোলা মেলা,
এই শহরেরই চলে দিনে রাতে
খুন ধর্ষণের খেলা।
এই শহরের কেউ থাকে
সাত তলার উপর,
আবার কেউ থাকে
ফুটপাত আর বস্তির ভেতর।
এই শহরের লেগে থাকে
সারাক্ষণ যানজট ভাই,
ঠিকমত অফিসে যাওয়ার
কোন উপায় নাই।
এইশ শহরের মানুষগুলো
ইট পাথরের মত,
দয়া মায়া বলে কিছুই
তাদের

চার মাথার মোড়ে এসে দিক ভুল করে ফেললেন আনিসুল।বুঝতে পারছেন না গাড়ি কোন রাস্তায় নিয়ে যাবেন।বিশ বছর আগে ফিরোজা আপার বিয়ের কনে যাত্রী এসেছিলেন এখানে । তখন অবশ্য বাড়িটা ছিল শহরতলীতে।এখন এই নতুন পাড়ায় বাড়ি করেছেন আপা।তাঁর মেয়ের বিয়ের সমন্ধ

আইছিরে আইছি, ঈদ কইরে আইছি
গ্রামের বাড়ি ঈদ কইরে, কীযে মজা পাইছি!

তোমরা কোথায় ঈদ করেছ, শহরে না গাঁয়ে
কেমন করে বাড়ি গেলা, বাস-ট্রেনে না পা-এ

একটু করে কও না শুনি, একটু করো শেয়ার
নাকি আমি ছোটো বলে, কেউ করো না কেয়ার

এই যে দেখো মেন্দি

      

 

ইচ্ছে করে দুঃখটাকে ধরি গলা টিপে

কষ্ট সাগর পেরিয়ে যাই ছোট্ট একটি লাফে,

ভিন্ন হাতে ক্ষুণ্ণ বাঁধন কেটে সব ঝেড়ে দেই দৌড়

ছিন্ন করে সম্পর্কটা খালি পায়ে হাটি বহুদূর ।

 

চোখে আঙ্গুল দিয়ে দীনতাকে দেখিয়ে দেই

কত হিংস্র তার থাবা

যেই নিষ্ঠুর থাবার দস্তুর

চাতক পাখির উড়াল গন্ধে কিছুটা বাতাস বৃষ্টি হয়ে নামে
ফড়িংয়ের পা ছুঁয়ে রোদ খুনসুটি করে ফুলের স্তনে।

কোন এক কিশোরীর বুকে আলো ছিল
সে এখন বৃদ্ধা,জননী
নরম মাটির পৃথিবীতে শক্ত আবাহনে।
উত্তাপের নিরিখে পৃথিবী ক্রমে সংকুচিত হয়
প্রসারিত হয়।
এখন পাহাড় চূড়ায় অভিযাত্রীর নাম খোদিত হয়
এখন নদীর

তুমি আমার কবিতা

হৃদয়ের ঐশ্বরিক ছন্দ।

তুমি আমার কবিতা

হৃদয়ের কাব্য গ্রন্থ।

তুমি আমার কবিতা

তুমি কবিতার ফাগুন।

তুমি আমার কবিতা

কবিতায় লাল ফুলের আগুন।

তুমি আমার কবিতা

কলমের গতিময় প্রাণ।

তুমি আমার কবিতা

আমার কাব্য যান।

তুমি আমার কবিতা

কবিতার নিপুণ নকশী কাঁথা।

তুমি আমার কবিতা

হৃদয়ের সবুজ পাতা।

তুমি আমার কবিতা

হৃদয়ের নির্বাক ভাষা।

তুমি আমার

go_top