Today 10 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

 

-বড় বৌমা, বড় বৌমা, তোমার বাপের বাড়িটা কোথায় যেন?

শ্বশুরকে রান্নাশালের দিকে আসতে দেখে মাথার আঁচল ঠিক করল জোহরা। তারপর মৃদু হেসে বলল—কুসুমপুর। এরই মধ্যে ভুলে গেলেন আব্বা! এই তো গতমাসে বেড়িয়ে এলেন কুসুমপুর থেকে।জোহরার কথায় মাথা চুলকান ওসমান। জ্বিভ কেটে বলেন—হ্যাঁ, হ্যাঁ,

তুমি গরীবের পান্তা ভাতে নুন।

তুমি শোষিতের বিদ্রোহী আগুন।

তোমার কণ্ঠে সাম্যের গান।

তুমি সব ধর্মের ভগবান।

 

হে ঝাঁকড়া চুলের কবি।

তুমি গ্রাম বাংলার মেঠো পথের ছবি।

তুমি রাখালের গাছের ছায়ার বাঁশি।

তুমি শিশুর ঘুম পাড়ানো শান্ত নিশি।

 

তুমি প্রেমের বাতায়ন।

তুমি মরু হৃদে প্রেম রূপায়ন।

তুমি প্রেমিকযুগলের কলকলে ধ্বনি।

তুমি

নিস্কাম প্রেম – সে তো জানি থাকে শুধু কবির কল্পণায়
কামহীন প্রেম কল্পাশ্রয়ী, কাম্য নহে এই নশ্বর দেহ তাই ,
কল্প-রাজ্যে মন অবিনশ্বর সে যে স্বপ্নের এক অলীক যাদু
কল্পাশ্রয়ী প্রেমেতে মজে মতিভ্রম কিছু সংসার ত্যাগী সাধু,
পার্থিব প্রেমে দেহ-মন-কাম সমান্তরালে হেসে খেলে যায়
সোহাগের

আমার মত নও গো তুমি
আমার মত নয়,
তাই তো আমার যত্ত সব
তোমায় নিয়ে ভয়।

তোমায় যখন বলি আমি
‘পশ্চিমেতে যাও,
তুমি তখন চটে বল
‘পূর্বে আমার গঁাও । ‘

খরচ তুমি কম কর রে
আমার নাইরে বিত্ত,
তুমি বল রেগেমেগে
‘খরচ করি কি নিত্ত?

যতই বুঝাই সংসার হল
আমরা দুয়ে মিলে,
ততই

’আসতে পারি স্যার।’ কথাটা শুনেই সবার চোখ পড়ল শ্রেণী কক্ষের দরজার দিকে। চটপটে ধরনের একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। পরনে হলুদ কামিজ আর প্রিন্টের সেলোয়ার। স্যার বাংলা দ্বিতীয় পত্র পড়াচ্ছিলেন। স্যার হাসিমুখে সমাদরের ভঙ্গিতে বললেন, হা এসো এসো। মেয়েটি একটা লাফে

তোমার মায়ার টানেই ছুটে আসি

কত দূর থেকে কত বার

তোমার জ্যোত্স্নাস্নাত ঢেউ-এ

সবাইকে ভাসিয়ে নিয়ে যাও

পৌছে দাও সুখের সবুজ তীরে,

কেবল আমাকেই নিলে না

কেন, কী এর কারণ ?

না না কৈফিয়ত নয় নিছক কৌতূহল

কোনো এক জ্যোত্স্না ঝরা ক্ষণে করিও বর্ণন ।

এ গল্পের আমি কেউ নই, কিছুই নয়, গল্পটাই আদৌ আমার নয়। তাও লেখার ইচ্ছে আছে ষোলো আনা। শেষ পর্যন্ত স্থির করেছি যেরকম শুনেছি, যা হয়েছিল ঠিক তাই লিখব, নিজের কলমকে কোনো কারিকুরি করতে না দিয়েই।

ঘটনাটা বলেছিল অংশুমানদা। অংশুমানদা আমাদেরই পাড়ার

সকল শিল্পের রথ নারীকে ঘিরেই ঘোরে
নারীও সূর্যের মতো দূরে থেকে
ওমমাখা আলো ফেলে শিল্পের বিবিধ শরীরে
অথচ শিল্পী কিংবা শিল্পের সাধ্য নেই
নারীর উষ্ণতা কিংবা হৃদয়ের দৈর্ঘ্যপ্রস্থ মাপে
কাছে গেলে হাত পোড়ে, মন পোড়ে
এ সকল পোড়োকবি, শিল্পীগণ
জীবনের মাঠে গিয়ে আসর জমায়
ক্যাটওয়াক থেকে এনে জীবনের

আয় ছুটে সব ছেচ্ছর পাজি মিথ্যাবাদীর দল,
আমরাই সব গড়বো বিশ্ব নয়রে স্বপ্ন ছল।
হই না খারাপ,হই না দুষ্ট,হই নারে চঞ্চল,
দোষ কি তাতে সাহস আছে,আছে বুকে বল।
আছে শক্তি,দুরন্ত গতি, সামনের দিকে চলার,
আছে হিম্মত মিথ্যার সামনে সত্য কথা বলার,
ভালো যারা সৎ ছেলে থাকে

আজ সারাটা বিকেল আমার
ঘুমেই গেলো কেটে
তুমি আমি স্বপ্নে দুজন
শুধুই গেলাম হেঁটে ।।

go_top