“কোথায় ইমাম?”
প্রলয়ঙ্করী ঝড়ের আলামত
ঈশান কোণে কালো অলক্ষ্মীর জমায়েত।
শুভম অংশুমালী লুকিয়ে অভিমানে
অগ্রাহ্য করে সব হেদায়েত।
সমুদ্র গর্ভ ফুলে পোয়াতি
অপেক্ষা রাক্ষুসে সুনামি প্রসব।
ধ্বংসের নৃত্য মুদ্রা তালিম নিয়েছে
অপেক্ষা কেবল সময়ের তলব।
খাদক শকুন গন্ধ পেয়েছে
দলবেঁধে আসন্ন ভোজের মোহড়া।
বিফলে যেন না যায় শকুনের মোনাজাত
কসাইয়ের তাই বড্ড তাড়া।
হঠাৎ হঠাৎ কেঁপে উঠছে ভূমি
চূড়ান্ত ভু-আন্দোলনের নমুনা।
বেতাল নাচনে ধসে যাবে সবি
সেই মতে চলছে অসুরের অর্চনা।
কে ঠেকাবে এই ধ্বংসলীলা?
বুঝেও সবে না বুঝার ধ্যানে দীক্ষিত।
উট পাখির মত বালির ঢিবিতে মুখ লুকায়;
সবে আপন স্বার্থের উচ্চশিক্ষিত।
উপদেশের কোরান খুলে বসেছে সবে;
তবে কেউ চায় না হতে ইমাম।
পিছনের সারিতে দাঁড়াবে সবে
শুধু পূর্ণ মুসল্লির কোরাম।
নিয়ত করে দাঁড়িয়ে আছে সবে
তবে শূন্য ফাঁকা ইমামের জায়নামাজ।
সকলের ইচ্ছা আরশে পৌঁছাতে;
কে তুলবে তবে আওয়াজ?
কে সে ইমাম?আমি অথবা তুমি;
অবশ্যই নয় ফেরেশতা।
আমদেরই নিয়ত আমাদেরই কায়েম;
মনুষ্য ইমামেই আস্থা।