Today 11 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

নামের বিড়ম্বনা

: | : ০৪/০৯/২০১৩

অনেক দিন ধরে ভাবছি এই বিড়ম্বনার কথা গুল নিয়ে লেখবো কিন্তু এই যান্ত্রিক যুগে সহজে সময় বের করা যেন দুস্কর।গতকাল রাতে কোনভাবেই চোখের দুপাতা যেন এক করতে পারছিলাম না।তাই গভির রাতেই লিখতে বসলাম।একবার ভাবুন তো যদি আপনার কোন নাম না থাকতো তাহলে কত ভংকর ব্যাপার হত।যেখানে বর্তমান বিশ্বের সাম্প্রতিক কিছু রিসাস জার্নাল যেমন স্কটল্যান্ড এর ইউনিভার্সিটি অফ ST-ANDREWS এর একদল researcher জানিয়েছেন যে ডলফিন দেরও নাকি বিশেষ নাম থাকে তারা একে অপরকে নাম ধরে ডাকে এবং তাতে অপর জন সারাও দেয়।কি আজব এই মহাবিশ্য।আবার ধরুন যদি চিন্তা করি আজ থেকে তিনহাজার বছর আগে মানুষ এর ভাষার ব্যবহার ক্যামন ছিল তখন মানুষ কিভাবে একে অপরকে ডাকতো। তখন নিশ্চয়ই ভাষার এমন সুন্দর বর্ণমালা ছিল না।কিন্তু তখনও মানুষ জীবন যাপন করতো।

আবার নাম নিয়ে কিছু পরিবারের বিড়ম্বনা যেমন ধরুন বর্তমান ব্রিটিশ রাজপরিবারের বিড়ম্বনা রাজপরিবারের প্রথম উত্তরাধীকার যার নাম বাছাই কোরতেই নাকি একমাসের ও বেশী সময় লেগেছিল।আর ২য় উত্তরাধীকার তার লেগেছিল দুই সপ্তাহ্।সেইখানে আমাদের মত মধ্য বৃত্য পড়ীবারের সন্তানদের নাম রাখা নীয়ে সেই রকম সমস্যায় মা বাবা দের পরতে হয় না। এইবার আশা যাক আমার নিজের নাম নীয়ে কি কি বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে তা বলছি।আমারা যারা বাংলাদেশী একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন তাদের একাধিক নামে ছোট ্বেলাতে ডাকা হয়। ধরুন মা তার ছেলেকে খুব আদর করে একটা নামে ডাকছে,বাবা ডাকছে অন্য নামে । নানু অ্ন্য নামে ডাকছে, আবার চাচারা কিনতু এর বাইরে না। আর মামা খালারা তো আছেই। একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন আমাদের সবারই একটা ভাল নাম এবং একটা ডাক নাম থাকে।ডাক নামের আকার সইজে ছোট হয়। ভাল নামের আকার আমাদের সবারই একটু সাইজে বড় আকার ধারন করে।এর অবশ্য কারন ও আছে মা বাবার নামের সাথে মিল রাখতে হবে, ফ্যামিলির নামের একটা অংশ থাকতে হবে রিলিজিওন এর একটা অংশ থাকতে হবে সব মিলিয়ে অনেক বড় আকার ধারন করে।সেই নামটা কিন্তু আমারা সবাই স্কুল এবং কলেজ এ ব্যবহার করে থাকি। সেটা শুধু স্কুল কলেজ এর সার্টিফিকেট এ সীমা বোধ্য থাকে।আমার মা আমাকে যে নামে ডাকে তা শরৎ এর বিখ্যাত কোন গলপের একটা বিশেষ চরিএে্র নাম।মা আমাকে পারু নামে ডাকে।আর মােয়র এই ডাকাটা আমি সবচেয়ে বেশী সাচছনদ বোধ করি।যোদিও মার এই নামের ডাক শূনি না।কারন মা এবং আমার দুরুত্তো এখন অনেক। অন্য কোন কারন নাই। কারন টা হল। বাংলাদেশ এবং ইউরোপ এর জিওগ্রাফিকাল ব্যাপার। এখন প্রতি বছর বিশেষ কোন মাসে মায়ের এই ডাক শুনা হয় । কারন বিশেষ মাসে ছুটিতে দেশে যাওয়া হয় । আসলে সময়, চাহিদা, প্রয়োজন, মানুষকে, অনেক জিনিস থেকে বঞ্ছিত করে। আমাদের তা মেনে নিতে হয় ।

এইবার আশি অন্য দের কথা। আমার একনানু আমাকে এক অদ্ভুত নামে ডাকতো এই নামটা খুব একটা বেশী শোনা যায় না। অবশ্য এই নামটা ্ধরে কেও আমাকে আর ডাকে না, অনেক বছর ধরে্‌ ,আজ থাকে ১০ বছর আগে এই নামের ডাক শুনেছি। যখন নানু না ফেরার দেশে যায় নাই। কারন নানু চলে গেছেন না ফেরার দেশে। এই না ফেড়ারদেশ একটা অদ্ভুত দেশ যে দেশের কোন দুরুত্ত, গন্তব্য, পরবর্তী কি হয়, এইটা আমারা আজ ও কিছু জানি না। নানু আমাকে যে নামে ডাকতো তা হলো মন্তেক এই নাম টা খুব আনকমন আমি এখনও ২য় কারও এই নাম শূনি নাই। হয় তো আপনারা শুনে থাকবেন। দুয়া করি নানুকে আল্লাহ্ বেহসত্ নছিব করুক।

এইবার আসি আমার স্কুল জীবনের কথা। আমি কিন্তু অনেক ছোট বেলা থেকে হোস্টেলে থাকতাম। কারন আমার বাড়ী ছিল থানা লেভেলে আমি পরতাম ডিসটি ক লেভেলের স্কুলে। এ কারন আমার মার ধারনা ছিল ঔ স্কুল গুলতে নাকি ভাল পড়া লেখা হয় । তাই ক্লাস সিক্স এ আমি যখন তখন থেকে হোস্টেল লাইফ শুরু আমার। অবশ্য এর জন্য অনেক কিছু জানাও হয়েছে অনেকের চেয়ে বেশি। আমার ছিল বন্ধন হিন জীবন। ঐসময় এ বন্ধন হীন জীবন কেও পায় না সাধা রন্ত।এই নিয়ে লিখবঅন্য একদিন না হয় । আমি যখন ক্লাস এইটে পড়ী। তখন আমাদের বাংলা ব্যাকরণ পরাত এক স্যার, তার নাম ছিল আব্দুল মজিত স্যার। স্যার খুব কড়া ছিল মানে বুজলেন নাকি কড়া মানে। স্যার এর রাগ ছিল অনেক বেশি কিছু হলেই বেত্রাঘাত। আপনাদের সেই স্কুল এর বেত্রাঘাত এর কথা কি কারো মনে আছে। স্যার আমাকে ক্লাস এ ডাকতো অদ্ভুত একনামে। জানি না ক্যানো এইনামে স্যার আমাকে ডাকতো। আমার নামের প্রথম পার্ট ফাস্ট পার্ট খোন্দকার মজিত স্যার আমাকে ডাকা শুরু করলো কি নামে জানেনে- অন্ধকার নামে। এমন কি স্যার যখন আমার রোল কল করতো তখনো বলতো অন্ধকার আমি বলতাম ইয়েস স্যার। কিছু দিন পর আমার কিছু বন্ধু আমাকে অন্ধকার নামে ডাকা শুরু করলো। আমিতো দেখলাম এইটাতো প্রবলেম। একদিন চিন্তা করলাম এইব্যাপার টা নিয়ে মজিত স্যার এর সাথে কথা বলা দরকার। কিন্তু বলছি না স্যার খুব রাগি ছিল। একদিন অবশ্য সব ভয় পিছে ফেলে স্যার এর ক্লাস শেষে স্যার কে বললাম স্যার একটা কথা ছিল। স্যার বলল কিরে অন্ধকার কি বলবি বল। কিন্তু স্যার সেই দিন অন্ধকার এত আদর করে বললো আমি আর স্যারকে এই নিয়ে কিছু বললাম না, চলে এলেম।একদিন এর কথা বলি, হেড স্যার আমাকে ডেকছে ব্রিতির টাকার জন্য ঐখানে মজিত স্যার বশা ছিল, স্যার আমাকে দেখে বলল কিরে অন্ধকার কি দরকার, আমি বললাম হেড স্যার ডেকেছে । হেড স্যার বলল, ওর নাম কি অন্ধকার নাকি। স্যার সেইদিন বলল আমি ওকে আদর করে অন্ধকার নামে ডাকি । হয়তো স্যার এর নামের অন্ধকার টা আমার জীবনএ কোন আশিরবাদ ছিল তাই আমার জীবন অন্ধকার হয় নাই। স্যার ও চোলে গেছেন না ফেরার দেশে। অনেক বছর আগে্‌ ,আমি দেশে গিয়ে স্যার এর শাথে দেখা করতে গিয়ে জানলাম ,আল্লাহ্ তাহাকেও বেহেস্ত নছিব করুক।এই নামে হয়তো কেও কোন দিন আর আমাকে ডাকবে না।

তারপর ম্যাট্রিক পাশ করলাম ভর্তি পরীক্ষা দিলাম নটরডেম কলেজে । ভর্তি হলাম নটরডেম কলেজে। যেদিন কাগজ জমা দিব সেইদিন দেখি আমার নামের ভুল। ওইদিন রাতেই রওনা হলাম নাম ঠিক করার জন্য। তার পর নাম ঠিক করলাম ভরতি সমাপ্ত করলাম। সুরু করলাম ক্লাস। এইবার কি হল জানেন তখন আমাদের জীব বিঙ্জ্ঞন ক্লাস নিতো গাযী আযমল স্যার। স্যার খুব বিখ্যাত ছিলেন সেই সময়, কারন তার লেখা বই আমরা সবাই পরতাম। স্যার আমাদের ক্লাস নেয়া সুরু করলেন। কিছু দিন পড় দেখলাম স্যার আমার নাম ধরে ডাকছেন না। আমাকে ডাকছেন ৭২ । এই ৭২ দারও পড়া বলো। ৭২ বলার অর্থ হল। যারা নটরডেম কলেজে পড়েছেন তারা জানবেন। আমাদের রোল নাম্বার এর একটা বৈশিষ্ট্য ছিল। তাহলো আমার রোল ৯৪৪০৭২।এই রোল নাম্বার দিয়ে সব কিছু বোঝা যায় যেমন আপনি কোন সালে পাশ করেছেন,আপ্নি কোন গ্রুপ এর ছাত্র,আপ্নার রোল্ নাম্বার। সেইদিক দিয়ে আমার রোল নাম্বার ৭২ স্যার আমাকে রোল নাম্বার ৭২ বলে ডাকা শুরু করলো। জানি না ক্যানো স্যার ক্লাসে এশে আমাকে পড়া ধরতো।জানি না স্যার ক্যামন আছেন। অনেক দিন কোন যোগাযোগ নেই স্যার এর সাথে। ভাবছি এইবার দেশে গেলে স্যারের সাথে দেখা করবো। এবং বলবো স্যার রোল ৭২ স্যার ,ক্যামন আছেন।

এইবার ইনটার পাশ করলাম এইবার ভরতির পালা ভর্তি হোলাম মেডিকেল কলেজে । যে কথা সেই কাজ আমার নামের আবারো প্রবলেম । কি প্রবলেম এইবার হলো এস এস সি আর এইস এইস সির নামের মিল নাই । ভাগ্যিস এইবার নাম ঠিক করতে আর রাজশাহি যেতে হলোনা। কারন আমি পাশ করেছি রাজধানি থেকে। গেলাম নাম ঠিক করার জন্য। বলল সময় লাগবে। কিন্তু আমার হাতে সময় নেই। কাজ তাড়াতারি করতে হবে। এই একটা সুবিধা আমার দেশের ,যদি আপনার সিস্টেম জানা থাকে আপনি যেকোনো কাজ খুব তাড়াতারি করতে পারবেন। আপনারা সবাই এই সিস্টেম এর সাথে কম বেশী পরিচিত। মানে তাদেরকে দক্ষিণা দিলেনতো যে কাজ হওয়ার কথা ১৪ দিনে সেই কাজ হবে ১৪ মিনিটে। এই সুবিধা পৃথীবির আর কোন দেশে পাবেন না। এইটা শুধু আমার দেশে সম্বব।

তারপর শুরু করলাম ক্লাস এইবার যে ঘটনা ঘটলো এইটার জন্য আমি একে বারে প্রস্তুত ছিলাম না। মেডিকেলর তিন মাস প ের এই ঘটনা ঘটলো। এর মধ্যে আমার কিছু বন্ধু জুটে গেল। একদিন সকাল বেলা নাস্তার জন্য ক্যান্টিনে গেছি আমার সাথে ২ জন সহ পাটি ছিল। এর মধ্যে আমার আরও কিছু সহ পাটি আমদের সামনের টেবিলে বসলো। ওরাও নাস্তার জন্য বয় কে বলেছে এর মধ্যে আমার এক শহ পাটি । আমার নামের সেই বিক্রিতো করে ডাকা শুরু করলো।আমি কিন্তু তাকে আগেও বলেছি এই নামে আমাকে আর ডাকিস না। বড় উদ্ভট সেই নাম। যার সাথে আমার অরজিনাল নামের কোন মিল নেই। এর অর্থ আজও আমি জানি না। সেই নামটা কি জানেন। সেইটা হলো হাইকার্্। পাঠক আপনারা এইনামের কোন অর্থ জানেন কিনা আমার জানা নেই। ওআমাকে এইনামে ২ বার ডাকলো। আমি সড়াসরি আমার টেবিল থাকে উঠে চলে গেলাম ওদের টেবিলের সামনে। আমার সাথে ২ টা মেয়ে সহ পাঠী ছিল। ওরা আমাকে জেতে বারন করলো আমি কিছু শুনলাম না। তারপর যা হবার তাই হল। ওরা ৪ জন ছিল। আমি প্রথম যেয়ে টেবিলে একটা কিক করলাম তারপর ওকে একটা ঘুশি মাড়লাম। ওতো ঘুশি খেয়ে পরে গেল, পরলো আবার বাঙ্গা কাঁচের গ্লাসের উপর। ওর হাত কেটে রক্ত বের হতে লাগলো। ওর সাথে আর সবাই বশে রইল। আর আমার সাথে যারা ছিল তারাতো দৌড়। এর পর আমি বের হয়ে এলাম ক্যান্টিন থেকে।

আমার বন্ধু…

বাপ্পি মামা… কিরে পারভেজ কি হইছে।

আমি…মাড়ছি

মান্সুর …কাকে মাড়ছিস।

আমি… নাম বললাম।

ইল্লিয়াস… কোথায় ঘটনা ঘটলো।

আমি… ক্যান্টিন এর ভিতর।

মান্সুর বলল বাপ্পিকে যা একটা সিয়েঞ্জি ডাক। আমাকে বললো কাম্পাস থেকে চলে যা। ফোন না করলে ক্যাম্পাসে আসার দরকার নাই।আমি তো ঘটনা ঘটার পরে খুব প্রবলেমে পরে গেলাম। আমি যে ঘটনা ঘটাইছি এইটা আমার চরিএের সাথে একা বারেই যায় না। এখন চিন্তা করলাম আমার এতো উত্তেজিত হওয়া ঠিক হয় নাই। কি আর করা। সিএনঞ্জি বলল মামা কই যাবেন। হলে তো ফেড়া যাবে না। বললাম যাব ঢাকা ইউনিভার্সিটি তে ঐখানে আমার মামা থাকে… আজাদ।। আমারা সমবয়োসি ওকে সব বলতে হবে। মামা তখন তুখোর পলিটিক্স করে। তার মানে বুজলেন। ওর কাছে তখন সব রকম সাপোর্ট পাওয়া যাবে।এমন কি ওরকাছে ম্য াসিন বিচি সব সময় থাকতো। আর মামা ছাড়া এই সময় কেও সাপোর্ট দিবে ন্া।বাড়ীতে তো বলা যাবে না। কি আর করা আণ্ডা শহ পরছি ধরা।মামা কে বললাম ,মামা বলল কি যে করিস না। মাড়ামারি করার কি দরকার ছিল। আমি বললাম কিছু করার ছিল না। আমার মাথা ঠিক ছিল না।আমার মনে হয় আমার সাথে মেয়ে ফ্রেন্ড ছিল বলেই আমার প্রেস্টিজে বেশী লেগেছিল। আমি ক্রেযি হয়েছিলাম। যাই হোক আমি মামার রুম ২২৪ নং সহিদুল্লা হলে থাকতে লাগলাম। এর মধ্যে মান্সুর , আরিফ ভাই সবাই মিলে বাপারটা সমাধান করার চেষ্টা করলো। একটা দিনে সবাই মিলে কলেজে বশার দিন করলো। আমি আর মামার ১০ জন বন্ধু নিয়ে গেলাম। কারন ওরাও প্রবলেম করতে পারে। কিত্তু প্রবলেম হল না। পরে শুনলাম আমার বন্ধুর হাতে ১০ টা সেলাই পড়েছে। আমাকে ওর সব খরচ বহন করতে হবে। আমি রাজি হলাম। ওইটা ছিল একটা বিচছিন্ন ঘটনা।আমিও জানতাম না ঘটনা এমন হবে।এখন সত্যি এর জন্য কষ্ট হয় ।কিন্তু বলেন এই ঘটনা শুধু নামের জন্য ঘটছে।

এইবার আসুন এমবি বি এস পাশ করার পরে নাম নিয়ে কি প্রবলেম হয়েছে সেটা বলছি। পাশ করার পর বাইরে যাব এইটা আমার অনেক দিনের পরিকল্পনা। যাব কোথায় তাও ঠি, বিলাতে পড়া শুনা করার খুব ইচছে ছিল আমার ছোট বেলা থেকে। এর জন্য পাসপোর্ট বানাতে হবে। দিলাম পাসপোর্ট বানানোর জন্য। আজ থেকে ১০ বছর আগের কথা। তখন পাসপোর্ট বানাতে দালালরা ছিল সবচে সহজ মাধ্যম ,আপানার কোন পুলিশ এর ঝামেলা করতে হবে না। ১৫ দিনে পাসপোট। আমি চলে গেলাম ওই সিস্টেমে। হ্য পাসপোর্ট ১৫ দিন পরে ঠিক হাতে পেলাম কিন্তু আমার নামের ২ জাগাতে ভুল। আবার গেলাম দালালের কাছে। দালাল আবার পাসপোর্ট নিলো, বললো আরও ১৫ দিন। টাকা আরও দিতে হবে। কি আর করা। দিলাম ১৩ দিন এর মাথায় পাসপোর্ট প্রস্তুত হয়েছে বলে সে জানালো। আমি আমার পাসপোর্ট নিয়ে আসলাম।

এইবার বিলাতের একটা নাম করা কোন ইউনিভার্সিটিতে আমার Admission হল। ভিসার জন্য অ্যাপ্লাই করলাম। ভিসা পেলাম ভিসা হাতে নিয়ে যেটা দেখলাম তা দেখে তো আমার মাথা নসটো। প্রবলেম কি প্রবলেম হলো আমার নামের শেষের পার্ট সামনে চলে এসেছে। আমিতো চিন্তা করলাম বিরাট প্রবলেম হয়েছে।পরের দিন আবার ইউকে এমব্যাসি যেতে হবে। আসলে সেটা ছিল আমার জীবন এর প্রথম বিদেশ পদারপন। তাই আমি এইটা জানতাম না ,নামের শেষের পার্ট প্রথমে চলে আসে। যথারিত সকাল বেলা ইউকে এমব্যাসিতে হাজির।পরে তো ব্যাপার টা বুজতে পারলাম। আমাকে বুকা ভাববেন না। কারন আমি কারও কাছে কোন উপদেশ কখনও নেই না। তাই সব কাজ আমাকে মাঠে নেমে করতে হয় ।খুব ভয় লাগছিল যখন হিত্র এয়ারপোর্টে নামলাম চিন্তা করছিলাম নাম নিয়ে না জানি কি হয় ।তা আর হল না। হিত্র তে চেক ইন করলাম। তবে ওরা আমার সব কিছু চেক করলো। মা যে তরকারি গুলো দিয়েছিলো তা ওরা রেখে দিল। নাম নিয়ে, যে কোন প্রবলেম হয় নাই এইজন্য আমি অনেক খুশি। যথা রিত ক্লাস শুরু করলাম। আমার প্রোফেসর আমার নাম ডাকা সুরু করল আহমেদ্, বলে। মাঝে মাঝে প্রোফেসর ডাকলে আমার রেসপনস্ করতে দেড়ি হত। প্রোফেসর বলতো আহমেদ কোন প্রবলেম আমি বলতাম প্রফ নো প্রব্লেম, এইটা হতো কেনো জানেন কারন আমাকে আমার দেশের লোক, ডাকতো আমার ডাক নামে্,… যেটা আমার পছন্দ না… স্কুল ফ্রেন্ড ডাকতো পারভেজ বলে, বিলাত এর প্রফ ডাকা শূরু করলো আহমেদ বলে, তাই প্রথম প্রথম আমি বুজতাম না। পরে অবশ্য আহমেদ, এই সই। বিলাত এর বন্ধুরা কিন্তু আমাকে পারভেজ নামে ডাকে। এইবার শুরু করলাম PhD । এইখান কার প্রোফেসর আমার দেখা সব চেয়ে ভাল প্রোফেসর। তিনি খুব নাম করা প্রোফেসর সারা ইউরোপ এর মধ্যে । তিনি আমাকে এখন ডাকে খোন্দকার নামে, তবে কিছুদিন পরে আমার প্রফ আমাকে পারভেজ নামে ডাকা শুরু করলো। খোন্দকার নামটা হয়তো একটু প্রবলেম ডাকতে, এইটা প্রোফেসর এর ডাকা দেখলে বুঝা যেত। সেই তুলানায় পারভেজ অনেক সোজা । এইবার আসুন আমার Publication a আমার বেস কিছু Research work খুব ভাল জার্নালে পাবলিশ হয়েছে। এইজাইগাতেও প্রব্লেম। এইখানে আমার নাম ছোটো করা হয়েছে।কারন Publication a বড় নাম প্রব্লেম। পাঠক আপনারা আমার এইলেখা টা পড়ে আপনাদের লাইফ এর সাথে মিল নাও খুজে পেতে পারেন। কিন্তু এইখানে যা লেখা আছে তা আমার জীবন থাকে নেয়া। সব বাস্তব চরিত্র। কাল্পনিক কোন চরিত্র নাই।আমি শুধু আমার জীবন এর নাম নিয়ে ঘটে যাওয়া কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
Km_parvez@yahoo.com

লেখক সম্পর্কে জানুন |
সর্বমোট পোস্ট: ০ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ১ টি
নিবন্ধন করেছেন: মিনিটে

মন্তব্য করুন

go_top