মেঘ বালিকা বৃষ্টি হয়ে
সোনার চামচ রুপোর কাঠি
মাঠির পাত্রে সুখ
এ বেলাতে এসব খেয়ে
জুড়াও মনের দুঃখ ,
ক্ষিধে যদি পায় গো রাতে
মনের অতি নীচে
চাঁদের আলোয় মেঘের খাটে
দেবো সবই যেচে ,
সুখ সোনা তো ধরে মনে
রুপা ধরে দেহে
পাখ-পাখালি ডাকে বনে
কে যে কারে চাহে,
মাঠি রাঙার রাঙ্গা ধুলো
সোনার অঙ্গে ঝরে
ভাটির দেশে নাও ভেসে যায়
মনটা নিয়ে কেড়ে ,
ঝিলে জলে শাপলা ফুটে
নদীর পানি মিঠে
বন পেরিয়ে নুপুর পায়ে
দুষ্টু ঝর্ণা ছুটে ,
পক্ষী-ডাকা বসত ভিটে
রাঁধো বাড়ো সুখে
স্বপ্ন জাগাও স্বপ্ন দেখাও
কন্যা হাসি মুখে ,
সোনার শস্য হিরক চরে
হাওয়া খেলে বন বাদাড়ে
বাংলা মায়ের আঁচল উড়ে
সবুজ সোনা ভরে ,
ফটিক ছড়ির সুন্দরপুরে
হালদা নদীর ঘাটে
পথ চেয়ে কে নয়ন জলে
হাটে নদীর বাটে?
মানিক ছড়ির মানিক গুলো
কুড়িয়ে নিলে ভোরে
গাছ-গাছালির পুষ্প গুলো
অশ্রু হয়ে ঝরে ,
মেঘ বালিকা কুড়িয়ে নিলো
রোদের আঁচল ভরে
সুখ-স্বপ্নে গাঁথে মালা
পরতে দেবে কারে ?
স্বপ্ন-পুরুষ হাত বাড়ালে
সূর্য-তাপে রেগে
মেঘ বালিকা বৃষ্টি হয়ে
ঝরে অনুরাগে।
………………………………………।