প্রকৃতি ও তুমি
আমি গিয়েছিলাম তৃষ্ণা মেটাতে প্রকৃতির কাছে;
যে তৃষ্ণা বাড়িয়ে দিয়েছিল তোমার রুপ,
আমি জানি তার প্রতিটি চিহ্ন আছে প্রকৃতিতে;
যেমন ভালবাসা সম্পূর্ণতা প্রকাশ পায় স্মৃতিতে,
আমি জানি তোমার সম্পূর্ণতা প্রকৃতির রুপে আছে,
আর তোমার প্রেম প্রকৃতির প্রেমের সরুপ।
আমি তাকিয়ে থেকেছি রাতের পর রাত চাঁদনীতে,
রাতের পর রাত অন্ধকারে দাঁড়িয়ে থাকা গাছে,
যারা নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে যেন ধ্যানে মগ্ন দেবতার মতন,
অথবা কোটি নক্ষত্রের দিকে তাকিয়ে গেঁথেছি স্বপন।
কোমল আবেগে ভিজেছি হঠাৎ আকাশের বুক চিড়ে ঝরা বৃষ্টিতে;
তার স্পর্শ, অনুভূতি প্রতিটি গ্রন্থিতে প্রবাহিত হয়েছে।
তাকিয়ে থেকেছি সূর্যদয়ে, গায়ে মেখেছি সে দেবতার দিনের প্রথম পরশ।
স্পন্দিত হৃদয়ে থেকেছি চেয়ে ছুটে চলা মেঘে,
তোমার স্নিগ্ধ পরশ যেমন লেগেছিল তেমনি লেগেছিল শান্ত বাতাস;
ছিলনা হতাশা, আশা হয়ে ভালবাসা এসেছিল যেন বিরাট আকাশ।
আমার দেহ মন অনুভূতি বুঝেছে এ প্রকৃতি নিশ্চয় দেবতার আরশ।
দুলেছে গাছের পাতা যেন উড়ে যেতে চায় প্রবল আবেগে।
দূরন্ত গতিতে ছুটেছে মেঘের উপর দিয়ে মেঘ অথবা ছিল ভাসমান নীলে,
ভিজেছে বৃষ্টিতে দাঁড়কাক বসে গাছে গাছে বা বাঁশে,
বাদল বেলায় বসে থেকেছে জোড়া শালিক আমার বারান্দায়,
আমি দেখেছি তাদের মিলন, খেলা, থেকেছি কল্পনায়, চেতনায়।
দেখেছি পদ্ম তুলিতে তরীতে গাঁয়ের কিশোরী লাল-নীল-সাদা পদ্মের বিলে।
বৃষ্টির পতনের ঢেউয়ে খেলেছে পুকুরে হলুদ পায়ের হাঁসে।
আমি কল্পনায় তোমার চোখের পাপরির আল্পনায় হারিয়ে ফেলার পেয়েছি স্বাদ;
তুমি প্রকৃতি তাই নেই অজানা, অচেনা আমার হৃদয়ে,
নিষ্পলকভাবে থেকেছি যখন চাঁদনীতে তোমাকে দেখেছি তখন,
গোধুলীবেলার রক্তিম সূর্যের দিকে হেঁটেছো আলতারাঙ্গা পায়ে হয়ে স্বপন।
অশান্ত নেশা ধরা একাকিত্বে অমাবশ্যার লক্ষ কোটি নক্ষত্রের মাঝেও থেকেছো হয়ে চাঁদ।
তোমাতে আমি প্রকৃতিরে পেয়েছি চেতনে, অবচেতনে, অনমনা হয়ে।
১৯.০৮.১৩, বদলগাছী, নওগাঁ।