একটি এলোমেলো লেখা ।
এলোমেলো লেখার মধ্যে একটা আনন্দ আছে । আবার অনেকটা নিরাপদও । কেননা সুনির্দিষ্ট বিষয় না থাকায় পাঠক মনযোগ দিয়ে পড়ে না । ফলে জ্ঞাতে বা অজ্ঞাতে কোন এুটি থেকে গেলেও আতংকিত হবার কারন থাকে না । এই ধরনের লেখার পাঠকেরা অনেকটা মহানের পর্যায়ে পড়ে । কেননা তারা নিজেদের অলস সময়কে লেখকের জন্য নিরন্কুশ ভাবে ব্যয় করে চলেন কোন মান অভিমান বা প্রাপ্তি ছাড়াই । তারা লেখকের ভূয়সী প্রশংসা না করলেও ধন্যবাদ দিতে ভুল করেন না । লেখকের আনন্দ হলো এই তাকে নির্দিষ্ট বিষয়ের মধ্যে আবদ্ধ থাকতে হয় না । একটা কিছু মাথায় এলো আর লিখে দিলেই হলো । পাঠক সন্তুষ্টির ব্যাপারটা তাকে মাথায় আনতে হয় না । এইরকম নিষ্পাপ পাঠক এবং নিস্পৃহ লেখক সবার কাছেই হিংসার পর্যায়ে । কেননা পৃথিবীতে সুখটাই বড় কথা । কষ্ট করে অসুখী হওয়ার চেয়ে নিরন্তর নিরামিষ সুখ অনেক বেশী উপভোগ্য ।
আমি মানুষটাও সুখী হওয়ার পক্ষে । হোক সেটা আমিষ মিশ্রিত । অথবা নিরামিষ । কিংবা সুযোগে দুটোই অথবা কোনটিই না । তাছাড়া ঐরকম অসুখী হওয়ার মতো ধৃষ্ঠতাও আমার নেই । আমি স্বল্প জ্ঞানী । বাচাল । যতটুকু স্পর্ধা দেখাই এই ঢের । এর বেশী করতে গেলে আর রক্ষে নেই । বিদ্রোহ অনিবার্য হয়ে উঠবে । তারচেয়ে বিদায় নেয়াই উওম ।
ভালো থাকবেন ।
…………..নিঃশব্দ নাগরিক ।