ধারণা
শশীর কর আসে অভ্র হতে
আঁধার নিশিকে অংশু দিতে
সেতো নহে ঈশ্বর আছে তার মূর্তি
আসল স্রষ্টার নাহি কভু অস্থি ।
ওরে বিধুর আলো
তুই তিমির ভালো
তুমিতো রজনীর অহংকার
নিশ্চই জানিস তুই কার তাবেদার ।
তোর কিরণে কত ফোটে রঙ্গন
পরিনত হয় নব জীবন
তোর বিভায় ভরে কেন মন? জানিনা
তোরে নিয়ে করছে অনেকে ভুল ধারণা ।
তোমার বিভা তো ধার করা ,অরুণ থেকে নিয়ে চলো
তুমি যে পরনির্ভরশীল,তাদেরকে বুঝিয়ে বলো
তা না হলে কেন দেখি রাতের বেলায় ?
দিবসে থাকতে পারনা স্বইচ্ছায় ?
তোর সংগী মিহির
সেতো নহে স্থির
পূর্ব থেকে পশ্চিমে চলাফেরা করে
সর্বদা স্বঅক্ষের চারদিকে ঘোরে ।
এ দিনমানের জ্যোতি
মানবের হয়েছে প্রীতি
অনেক ভাবনা জাগে আমার
তারে হীনা কেন দিবস আঁধার ?
ও শক্তিমান তপনরে
ভক্তি করে তোকে নত শিরে
তোর যদি এতই শক্তি হবে
স্থির থাকিস না কেন তবে ?
তুমি যদি গোলাম না হও
তবে রাতে দর্শন দাও
অক্ষম তুমি পারবেনা জানি,এটাই চির সত্যি ।
কত শত পাগলে সঠিক পন্থা ভুলে,তোমারে করে ভক্তি ।
আর থেকো না ভুলে, হস্তে নাও তুলে
ঈশ্বরের পুঁথি
স্রষ্টা চিনিবে সহজে জানিবে
প্রকৃত সত্যি ।
ও শ্রেষ্ঠ মানব রে ,
এখনো তোরা অন্ধকারে
এত স্পষ্ট ধারণা
কেন বুঝলি না ?
স্রষ্টা আছে শুধু একজন
নইলে বিনাশ হতো এ ভুবন
কেন হাঁটছো তোরা ভ্রান্ত পন্থায় ?
হায় !
এতে দু’কালে হবে অসহায় ।