সুমিতা
আজ হতে পঞ্চাশ বছর আগে
কাঁচের দেয়ালের মধ্য দিয়ে তুমি হয়েছিলে দৃশ্যমান।
অথবা তারও আগে
কখনো আসেনি বলে তুমি দাঁড়িয়ে ছিল দোতলার বারান্দায়।
সুমিতা, তোমার হাসির লয় খুঁজতে সেতারা হাতে দাঁড়িয়ে ছিল রবিশংকর।
আর তুমি ভিঞ্চির আঁকা মুখ নিয়ে দাঁড়িয়ে বারান্দায়।
অথবা ভিঞ্চি নিজেই তৈলচিত্র আঁকবে বলে দাড়িয়েছিল যুগ যুগ আগে দেয়ালের পাশে
আর তুমি অবাক করা চোখ মেলে জুলিয়েটের বারান্দায়।
আর আজ আমি তোমার যুগ যুগের স্মৃতি রোমন্থনে মেতেছি।
গাঁয়ের পাঁকা ধান খেতের পাশে বসে থাকব বলে হাতে হাত রেখে
যে শিশির ভেজা দূর্বা ঘাসের উপর দিয়ে ছুটেছিলাম,
আর হঠাৎ বৃষ্টির আগমন তোমাকে দূর থেকে নিয়ে আসল অনেক কাছে।
আর তখন তোমার কথামালা আমার কানে বাজল গান হয়ে।
সুমিতা, তোমার চোখ দেখে আমি পাগল,
হাসি শুনে যেন ছুটছি মহাকবি দান্তের পেছন পেছন।
আমিও যাব তোমার কাছে।
আমি জানি বেয়াত্রিসের পাশে তুমিও আছো বসে।
কারণ সে স্থান, সে স্বর্গ তো ভালবাসো বলে, ভালবাসি বলে।
১৫.০৮.১৩, বদলগাছি, নওগাঁ।