খুন-সুটি
– শুনছো গো
 -বলো
 – কলেজে আজ এক অফিসার এসেছিল
 – তাতে কি
 – কিছু না , তারপর ও তোমাকে বললাম আর কি
 – ঠিক আছে , বলো কি হয়েছে শুনি, তোমাকে আবার প্রেম -ট্রেম
 নিবেদন করে বসেনি তো ?
 – ঐ শুরু হয়েছে তোমার ………
 – আচ্ছা, বাদ দাও, কি বলতে চেয়েছিলে বলো
 – থাক , আর বলবো না
 – থাকবে কেন? বলতে যখন চেয়েছিলে তখন বলেই ফেলো
 – না বললে?
 – সন্দেহটা বাড়িয়ে লাভ কি?
 – তুমি তাহলে এখন ও আমাকে সন্দেহ করো
 – হ্যাঁ , করি
 – কেন করো
 – কারণ তুমি যে খুব সুন্দরী
 – সুন্দরী হলে কি সন্দেহ করতে হবে?
 – হ্যাঁ
 – কেন
 – কারণ সবাই যে সুন্দরীদের প্রেমে পরে
 – আমি না পরলেই তো হলো
 – তুমি যে পরবে না তার নিশ্চয়তা কি?
 – কোন কিছুরই তো নিশ্চয়তা নাই
 – আচ্ছা , বাদ দাও, কি বলতে চেয়েছিলে যেন
 – থাক আর বলতে ইচ্ছে করছে না
 – তাহলে কাঁটাটা রখে দেবে
 – কিসের কাঁটা ?
 – সন্দেহের
 – শুন আমি জানি তোমার সন্দেহ এই জীবনে ও যাবে না, তবু বলি 
 তেমন আহামরি কিছু না, কার কাছে নাকি জানতে চেয়েছিলো 
 আমি ম্যারিড কি না। এবার হলো তো ? নাকি এখন ও কাঁটা 
 রয়ে গেলো, 
 – হ্যাঁ।
 – কেন
 – হারানোর ভয়ে 
 – তোমার এই ভয়টা কভে যাবে বল তো
 – যতদিন তোমাকে ভালবাসি গো
 – তাহলে তোমার এই ভয় চিরকাল থাক ওগো – বলে 
 চোখের পলকে সোহাগের ঝড় তোলে 
 গাঢ় আলিঙ্গনে জড়িয়ে 
 বুকে মাথা গুঁজে 
 ঠোট বাড়িয়ে দিলে-
 আমি ও চুক চুক করে 
 টিয়া পাখীর মতো
 কটা চুমু খেলুম
 তোমার রসালো ঠোটে ।
…………………………………………………………