আমি-তুমি-বিচ্ছেদ-ব্যাথা
আমার কাছে নিজেকে মনে হয় প্রবল স্রোত,
না আমাকে কেউ ধরে রাখতে পারে
না আমি কাউকে বাঁধতে পারি।
আমার মন করে মনের সাথে আড়ি।
আমি জানতাম তুমি চলে যাবে।
মানে এমনি হবে তোমার আমার।
তবুও চেয়েছি তোমারে,
জীবনের নদীর পাড়ে।
জানি তুমি রাখবে না মনে
তোমার মন পূর্ণ অন্য কিছু।
যে ছায়াতলে দক্ষিনা হিমেল হাওয়া,
কিভাবে হবে আমার তারে পাওয়া?
আমি তো রাতের পাখির ঘুম
কিভাবে আর পাবে তুমি তারে
আমি তো রাত্রি নিঝুম
আমি তো ছায়া অন্ধকারে।
তবুও মোর এমন কেন চাওয়া
রঙধনুর রঙে যে মন ছাঁউয়া,
সে মন কেন আমার ডাকে কাছে
কাঁশফুলেরা হাওয়ার উপরে ভাসে।
তুমি তো ভীত হরিণ বনে
তোমার আছে হরিণীর দু’চোখ,
আমি তো দূঃখের আয়োজনে
আগুন ভরা বিষাদের মুখ।
তুমি তো তোমার মত সুখে,
অথবা তোমার ব্যাথার দূঃখে।
আমি তো তোমার কাছে তারা,
নিজে মরে স্বপ্ন দেখায় যারা।
আমি তো নই তোমার কিছু,
জানি না তোমার মনের কথা,
বুঝিনা তোমার ব্যাথার কিছু।
ভোরের আলোয় শিউলী মালা গাঁথা।
আমি যে শুধুই ভোরের আলো
যদি সে ফুলের গন্ধ এলো,
কি আর হবে বলো আমার তাতে
ফুলতো ঝরে ধুলো মাখা পথে।
আমি তো শুধু রুপের আলো মাখি
তোমার মনে বসন্তেরই আদর।
আমার স্বপ্নে শুধু তোমার আঁখি
মনের মাঝে অগ্নিগিড়ির ঝড়।
বলোনা, আমার বুকের মাঝে
যে না পাওয়া ব্যাথা হয়ে বাজে
তাকে কি বুঝবে তোমার মন
শব্দহীন নিঝুম রাতের বন।
জানি তো আমার শত ব্যাথা,
ব্যাথা সে নিঝুম রাতের ছায়া
হাসি যে সবার মনের কথা
প্রেম তো সবার মনের কায়া।
০১.০৮.১৩, ঢাকা।