আকাশ-কুসুম
কেউ বেদনার বুকে ঝাপ দেয়,
কেউ বেদনা থেকে দূরে পালিয়ে বেড়ায়,
কেউ কেউ শত বেদনার মধ্যেই চালিয়ে নেয় জীবন,
বুঝতেই দেয় না নিজে নিজেকে আছে সে কষ্টে, আঘাতে জর্জরিত মন।
তেমনি কিছু জীবন বয়ে চলে ঝরের মত,
অথবা কিছু শান্ত ভঙ্গিমার শ্রাবণ মেঘের ধারা।
কিছু দূরন্ত স্বপ্নে আশাময় বা স্বপ্ন ভঙ্গের আঘাতে আহত।
অথবা বেদনার বুক চিরে উৎপাদিত হর্ষধ্বনিতে কিছু জীবন আত্মহারা।
তুমি কি হবে? বলো, কোন জীবন তোমার আশা?
সহস্র যুগ অতিবাহিত হলেও আজও আঘাতে আহত ভালবাসা।
তাই ঘুনে ধরা পৃথিবীতে আজও মানুষ অর্থসম্পদে অমৃত সুখ খোঁজে।
অথবা অসহায়ের মত অতৃপ্ত কামনার জ্বালায় রুপের আগুনে মুখ গুজে।
বলো, তুমি আছো কোন মুর্তির ভঙ্গিমায়?
আঘাতে আহত মৃত বৃক্ষের মৃত কোষগুলো শুধু হাসে,
অথবা সাদা ধবধবে পাথরের মুর্তিগুলো অন্ধকারে অসহায়।
অথবা যে প্রেমিক বা প্রেমিকার চোখের জল বাষ্প হয়ে উড়ে যায় আকাশে।
তাহলে কিই বা আসে যায় জীবনে বা মরনে!
বেদ কোরান বাইবেল ত্রিপিটক পড়ে বা খোদা ঈশ্বর ভগবান স্মরণে।
যেখানে সুখ-দূঃখ কষ্ট-বেদনা কোন কিছুরই মুল্য নেই, একভাবে থাকলেই হল জীবনে!
এবং থাকেও মানুষ বেদনাহত বা সুখ হাস্যে, মরেও মানুষ আঘাতে জর্জরিত বা সোনার সিংহাসনে।
১৫.০৮.১৩, বদলগাছী, নওগাঁ।