ছাপাখানার ভূত
এই সেদিনও পড়তো চোখে ঢুকলে ছাপাখানায়,
ঘটাং ঘটাং শব্দ তুলে নিজের খবর জানায়।
পেডেলমারা মেশিনখানি পেডেল খেয়ে ঘোরে,
লোহার হরফ কাগজটাকে ধরছে চেপে জোরে !
হচ্ছে ছাপা বইপত্তর আরো নানান কিছু,
কিন্তুরে ভাই একটা জিনিস ছাড়ছে না তার পিছু !
‘ছাপাখানার ভূত’ নামে সে ভীষণ পরিচিত,
যত্ন করে ছাপলেও সে ভুল ছাপিয়ে দিত !
ছাপারভূতের অত্যাচারে ডুবতো লেখার মানে,
বর্ণ বিপর্যয়ের ব্যথা ভূতরা কি আর জানে ?
দিনবদলের লাগলো ছোঁয়া ছাপাখানার গায়ে,
এসব মেশিন চলছে না আর পেডেলমারা পায়ে।
সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি সর্বাধুনিক ছাপা,
যন্ত্রদিয়ে ভাঁজ করে সব, যন্ত্রদিয়ে মাপা।
কম্পিউটার হরফ সাজায় পেস্ট করে দেয় হাতে,
হাজার রকম রঙের খেলা রূপ যে বাড়ায় তাতে।
এতোকিছুর পরেও দেখি ছাপারভূতের খেলা,
দেখাচ্ছে তার কেরামতি জমছে ভুলের মেলা !
‘বাপে’র জাগায় ‘পাপ’ ছেপে দেয় ‘খাঁচা’র জাগায় ‘কাঁচা’,
‘আলু’র জাগায় ছাপছে ‘খালু’ ‘বাঁচা’র জাগায় ‘নাচা’।
প্রুফরিডারের সুনাম নিয়ে খেলছে ছিনিমিনি,
ছাপাখানার ভূতকে সবাই হাড়েহাড়েই চিনি !
ছাপাখানার ভূতরা সবাই খুবই শক্তিশালী,
তাদের সাথে লাগলে লড়াই হারতে থাকে খালি !
বিশ্বজয়ী বীর হলেও বীরের খবর আছে,
দিব্যি হেরে ভূত হবে সে ছাপার ভূতের কাছে !