বিগফুট!
প্রাণীবিজ্ঞানীদের মতে পশুমানব বা বিগফুটের কোনো অস্তিত্ব পৃথিবীতে নেই। আবার এই প্রাণীবিজ্ঞানীরাই বিগফুট সংক্রান্ত অনেক রহস্যময় ঘটনার কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে পারেন নি। বড় জোড় একে গালগল্প বলে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তারা। অথচ অষ্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকায় এ ধরনের প্রাণী দেখতে পাওয়ার অসংখ্য ঘটনা ও ব্যাখ্যা প্রচলিত রয়েছে। সেগুলো যদি সত্যি হয় তাহলে বিজ্ঞানীদের গালগল্পের দাবী হাওয়ায় মিশে যাওয়ার কথা। এমনই একটি রহস্যময় ব্যাপার হচ্ছে নিচের ছবিটি। যা প্রমাণ করে পৃথিবীতে বিগফুট রয়েছে। রহস্যময় এই প্রাণীটির যে ছবিটি এখানে দেখা যাচ্ছে সেটি শত বছরের পুরোনো। ১৯২০ সালে এই ছবিটি তোলেন ভেনিজুয়েলার ভূতাত্ত্বিক জরিপ দলের কোনো এক সদস্য। ১৯২০ সালে সালে কলম্বিয়া সীমান্তে এই দলের নেতৃত্ব দেন ফ্রাঙ্কোয়া দো লোয়েস। এই ছবি প্রকাশের পর বিশ্বজুড়ে আলোড়ন উঠে। এই প্রাণীর স্বভাব সম্পর্কে বিভিন্ন বিতর্ক এখনো চলছে। তবে ওইসব অঞ্চলের অধিবাসিরা মধ্য উনবিংশ শতাব্দী থেকেই এরকম প্রাণীদের দেখে আসছে বলে দাবী করে। ধারণা করা হয় এরা সহজে উদ্বিগ্ন হয় না। বিস্মিত হলেও বিস্ময়বরভাবে তারা নিরুদ্বেগ থাকতে পারে। প্রায় একই রকম একটি ঘটনার কথা জানা যায় সিডনির মর্নিং হেরাল্ডে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধ থেকে। অবশ্য এটি আরও আগের ঘটনা। এটি ঘটে ১৯১২ সালে। নিউ সাউথ ওয়েলসের বেসবোকার কাছে জর্জ সামেরেল নামের এক লোক ঘোড়ায় চড়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ করেই কিম্ভুত চেহারার একটি প্রাণী দেখতে পেলেন। অনেকটা বানরের মত আকৃতি বিশাল দু’পেয়ে প্রাণীটি উবু হয়ে খাঁড়ি থেকে পানি খাচ্ছিল। মজার ব্যাপার হল জর্জ সামেরেলের সাথে প্রাণীটির চোখাচোখি হওয়া সত্ত্বেও সেটি উদ্বিগ্ন হয়নি মোটেই। বরং নিজের মত করে প্রাণীটি শান্ত নিবিড়ভাবে সোজা হয়ে দাড়াল। উচ্চতা সাত ফুটের বেশী হবে। প্রাণীটি প্রশান্ত দৃষ্টি নিয়ে জর্জ সামেরেলের দিকে তাকাল। তারপর ঝুকে পড়ে পানি খাওয়া শেষ করল। তারপর পাশে পড়ে থাকা একটি কাঠি তুলে নিয়ে দৃঢ় পায়ে হেঁটে চলে গেল। পাহাড়ী গাছগাছালির ভেতর দিয়ে ১৫০গজ যাওয়ার পর তাকে আর দেখা গেল না। ওখানকার ওই খাঁড়ির চরে পাওয়া গেছে তার পায়ের ছাপ। এই ছাপ দেখে বুঝা যায় সে কমপক্ষে পনের দিন আগে ওই স্থানে একবার এসেছিল। পায়ের ছাপে দেখা গেছে ওই প্রানীটির পায়ের আঙ্গুল ছিল চারটি। বিশ্বের অন্যান্য স্থানে বিগফুটের যেসব পদচিহ্ন পাওয়া গেছে তার সাথে এগুলোর বেশ মিল রয়েছে। তবে আরও দুই প্রকারের ইত্তয়ির কথা শোনা যায়। এগুলো উত্তর আমেরিকার বিগফুট। একটি হচ্ছে ঘাড় বিহীন। অন্যটি হচ্ছে যে ইচ্ছামতো গন্ধ ছড়াতে পারে।
যুক্তিগ্রাহ্যভাবে প্রমাণ করার আগ পর্যন্ত বিজ্ঞানের পক্ষে কিছুতেই হলফ করে বলা সম্ভব নয় যে আসলেই বিগ ফুট বা দৈত্যের মতো কোনো কিছুর অস্তিত্ব একদমই নেই। আর এমনও হতে পারে রহস্যময় এই সব জীব আজো যে কোনোভাবে আমাদের শিকারি দৃষ্টির বাইরে কোথাও না কোথাও লুকিয়ে আছে।