”যন্ত্রমানব”
অনুভূতি শূন্য যন্ত্রমানবের মত
হত যদি মনের দাসত্ব মুক্তি,
প্রোগ্রামিং করা চলন গতি–
হত নিখুঁত জীবন পংতি।
চোখের জল কেবলই জল
তুলিতো না আলোড়ন,
কারো রুপের ঝলকানিতে
হত না গোপন শিহরণ।
আশা ভঙ্গের হতাশার কালো মেঘে
হত না জীবন ফ্যাকাসে–মলিন,
হিংসা–বিদ্বেষ–শঠতার এলার্জি
হত চির বিলীন।
দুশ্চিন্তার চতুর্মূখী চাপ
হয়ে যেত অকার্যকর,
আমার আমার করে কেউ
হত না স্বার্থপর।
দিগন্ত ছোঁয়া নীল আকাশ
কেবলই তা নীল সামীয়ানা,
যন্ত্রমানবের মন নেই;
থাকিত না আবেগের বিড়ম্ভনা।
শখ–আহ্লাদ-আবদার;
থাকিত না যন্ত্রমানবের অভিধানে,
প্রেম–পিরিতি–ভালবাসাহীন;
কাটাবে না নিঝুম রাত বিরহী মনে।
থাকিত না দ্বিধা–সংকোচের গোলক ধাঁধা;
ন–থাকিত ধোঁকা–ছলনার বিশ্রী ময়লা,
মন সমুদ্র নেই–নেই ঢেউ
তাই উঠিত না ঝড় আইলা।
অনুভূতিহীন যন্ত্রমানব
কেবলই যেন চামড়ার দেহ,
মনকষ্টের গরম খুন্তির জ্বলন নেই–
নিষ্প্রাণ ঐ রক্ত–মাংসের গৃহ।