Today 01 Nov 2025
Top today
Welcome to cholontika

ঘামের গল্প

: | : ২৬/০৯/২০১৩

শারীরিক শ্রমে আমরা একটুতেই ঘেমে উঠি। আবার গরমের দিনে কোনো শ্রম ছাড়াও আমরা ঘেমে উঠি। অনেকে শরীর ঘেমে গেলে বিরক্ত বোধ করি। কারণ অস্বস্তি ছাড়াও ঘাম শরীরের দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। কিন্তু তা হলে কী হবে, আমাদের শরীরের জন্য এটা খুবই দরকারি। কারণ আমরা না ঘামলে আমাদের দেহে প্রতিদিন যে পরিমাণ তাপ তৈরি হতো তা আমরা কিছুতেই সহ্য করতে পারতাম না। আসলেই এই তাপ ঘামের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আমাদের দেহ থেকে বেরিয়ে যায় এবং দেহকে ঠাণ্ডা রাখে। আমরা প্রতিদিন যে খাবার গ্রহণ করি তা ভেঙে শক্তি উৎপাদন করার ফলে দেহে প্রচুর পরিমাণে তাপ তৈরি হয়। যখন আমরা দৌড়াই বা কোনো কাজ করি তখন আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস বেড়ে যায় এবং সেই সঙ্গে শরীরও ঘামতে থাকে। আসলে দৌড়ানোর জন্য শরীরের শক্তির প্রয়োজন, যা খাদ্য পুড়িয়ে পাওয়া যায়। শুধু দৌড়ানোর সময়ই নয়, সব সময়ই কিছু না কিছু ঘাম বের হয়। এমনকি শীত কালেও মানুষ ঘামে। কিন্তু বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকার কারণে শীতকালে ঘাম শরীরে সাধারণত দেখা যায় না। মূলত এভাবেই আমাদের শরীর ঠাণ্ডা খাকে। আমাদের দেহে দুই-তৃতীয়াংশ পানি। আর এই পানির বেশ বড় একটি অংশ দেহকে ঠাণ্ডা রাখতে ঘামের মাধ্যমে বের করে দেই। এ কারণেই আমাদের প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হয়। আমাদের পুরো দেহে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি ঘামগ্রন্থি আছে। এসব গ্রন্থি আবার দুই প্রকারের। অ্যাক্রাইন এবং অ্যাপ্রোক্রাইন গ্রন্থি। সাধারণত অ্যাক্রাইন গ্রন্থিগুলো কপাল, হাতের ও পায়ের তালুতে এবং অ্যাপ্রোক্রাইন গ্রন্থিগুলো চুলের গোড়ায় থাকে।  তাই সময় থাকতে শরীর পরিষ্কার-পরিছন্ন রাখা দরকার।

লেখক সম্পর্কে জানুন |
সর্বমোট পোস্ট: ০ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ১ টি
নিবন্ধন করেছেন: মিনিটে

মন্তব্য করুন

go_top