Top today
বিধি নেই বিধানে
‘আজি’ যখন ‘আজই’ হল
‘রাজি’ হবে কী?
‘বৌ’ যখন ‘বউ’ হল
পাজি হল ঘি!
‘সবই’ যখন ‘সবি’ হয়
আমি ‘হইচই’
‘কৈ’ যখন ‘কই’ হয়
তুমি হলে সই!
‘আরও’ হলে ‘আরো’ হয়
‘বার’ ‘তের’ ‘সতের’
‘সবে’ যদি ঠিক থাকে
ঠিক থাকুক ‘আঠার’।
‘কখনো’ হতে পারে ‘কখনও’
‘এমনই’ হয় ‘এমনি’?
‘সবই’ যদি খাঁটি থাকে
ভাষায় পাই ‘থই’।
‘মানুষ’ যদি ‘মানুষ’ হয়
শিক্ষা লাভের গুণে!
পাখি কেন শিক্ষা পেয়ে
তবু ধায় বনে?
‘পুণ্যলাভে’ যদি হয় ‘ফলশ্রুতি’
কী পরিণাম কর্ণের?
‘সহসা’ হয়ে যায় ‘আশুগতি’
‘অত্র’ এই ‘নীতিবান’ বর্ণের!
‘সঠিক’ ‘সুপ্রিয়’ ‘পাশবিক’ ‘তবুও’
পদে-পদে বাঁধা
একটু পেলে আরেকটু চায়
কেউ নেই আধা-আধা।
মানবতে যখন হয় পশুরূপ
কী আর বলা থাকে!
পশু যদি জ্ঞানবান হয়
‘পশু’ বলে কে ডাকে?
এভাবে গোলযোগে ভুলচুকে অনেক
ক্ষীণাত্মা করে আসন
মহাত্মার সিংহাসনে বসে হায়
করছে রাজ্য শাসন!
২ বৈশাখ, ১৪০৯–
কাঞ্চন নগর।