Today 10 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

মেয়ে তো নয় যেন আগুনের গোলা

: | : ২৯/০৯/২০১৩

পেশাগত দায়িত্বে আমি তখন সিএমএম কোর্টে। আইনে পাশ দেয়া ছাত্র হলেও, বড় প্রয়োজন ছাড়া খুব একটা এপথ মারাইনা আমি। বেলা বাড়ার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল আদালত প্রাঙ্গণে দর্শনার্থীদের সংখ্যা। সবে দুপুর পেরিয়েছে এর মধ্যে। আসামি বহন করা প্রিজন ভ্যান থেকে দু’জন বালিকাসহ আরো কয়েকজন নেমে আসলো। আদালতজুড়ে কড়া নিরাপত্তা। বালিকাদ্বয় গাড়ি থেকে নামার পর দর্শনার্থীদের হুড়োহুড়ি এমনটা এর আগে দেখেছি মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে এই আদালতে আনার সময়। উৎসুক দর্শনার্থীদের সাথে জিরাফের মতো ঘাড় বড় করে দেখার চেষ্টা করলাম কি হতে চলেছে। বালিকাদ্বয়ের মুখবয় অপরিচিত। তবে কেন এতো মানুষ তার দিকে তাকাচ্ছে বোঝার চেষ্টা করছি। এর মধ্যে কেউ কেউ বলাবলি করছে এই সেই মেয়ে, যে বাবা মাকে খুন করেছে। এতোক্ষনে পরিস্কার হলো বিষয়টা। এক লোক বলে উঠল- মেয়ে তো নয় যেন আগুনের গোলা। বলার যথেষ্ট কারনও লক্ষ্য করলাম। ইনসপেক্টর কন্যার বয়স অতি কম, ১৬। আইনানুযায়ী ১৬ পর্যন্ত বালক বালিকা শিশুর কাতারে পরে। তবে পুলিশের দাবি তার বয়স ১৮। তার বদনখানি শিশুদের মতো হলেও শরীরের গঠন দৃষ্টি নন্দন। জিন্স-টি শার্ট পড়া বালিকার শরীরের ঢেউ আড়াল করতে সম্ভবত প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাদর দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে উপরের অংশ। তাতেও আড়ায় করা যায়নি উত্তাল ঢেউ। যার কারনে হয়তো অনেকেই তার দিকে লালসার দৃষ্টিতেই তাকিয়েছে। তার বয়ফ্রেন্ডদের সাথে অবাধ মেলা মেলা বা শাররিক সম্পর্কের যে বিষয় গণমাধ্যমের কল্যাণে ছড়িয়েছে তা পড়ে-ই পাঠকদের এই ধরনের চিন্তার উদ্রেগ হয়েছে বলে মনে হয়েছে। বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় এক লোককে বলতে শুনলাম-নিষা করতে করতে বাপ মারে মার্ইরা হালাইলো। তার শরীর থেইক্কা মাংস কাইড্ডা হেডি দিয়া বাবা ট্যবলেট বানাইয়া খাওয়ান দরহার। নোয়াখালি এলাকার এক দর্শনার্থী বলছে, এরিও হেতির কহালে হিচা মার। আরো শ্লীল-অশ্লীল মন্তব্য চলছে আদালত পাড়ায় পুরোটা সময় জুড়ে। কেউ আবার থুতু বিসর্জন দিয়ে ঘৃনা প্রকাশ করেছে ঐশীর প্রতি।

 

 

২.

জাতের মেয়ে কালো ভালো, নদীর জল ঘোলা ভালো। অবশেষে প্রবাদ বাক্যটিকে মিথ্যা প্রমাণ করে ছাড়লো ঐশী। মাছের রাজা ইলিশ-মানুষের রাজা পুলিশ প্রবাদ অবলম্বনে আমার এ কথা। যদিও ঐশী অর্থাৎ আসামি পক্ষের আইনজীবী ঐশীর বাবাকে মানুষের রাজা কিংবা ভালো অথবা জাতের স্থান দিতে রাজি নন। কারন, তার বক্তব্যে বলতে শুনেছি ঐশীর বাবা তাকে আধুনিক করতে গিয়ে বখে যাওয়ার পথে এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছিলো। আইনজীবীর বক্তব্যমতো বিগত দিনে সপ্তাহে লাখ টাকার কাছাকাছি দিতো হাত খরচার জন্য। তিনি প্রশ্নও ছুড়েছেন এতো টাকা একজন পুলিশ অফিসার কোথা থেকো আনতো, তার টাকার উৎস নিয়েও প্রশ্ন তুলেন তিনি। এর জবাব পাঠকদের খুজতে হবে অনুমান করে। কারণ মানুষ মরে যাওয়ার পর বলতেই হয় লোকটা কেমন ছিলো, বড় ভালো লোক ছিলো। ঐশীর গায়ের রং কালো হলেও মায়াবতী। চেহারা দেখে এক লোক বলেই বসলো এই মেয়ে খুন করতে পারে না। তবে চেহারায় কিছু যায় আসে না। কারন আমি দেখেনি অনেকদিন আছে নারায়ণগঞ্জের এক থানায় এক লোককে ধরে আনা হয়েছে, পুলিশের কাছে জানতে চেয়েছিলাম তার কি অপরাধ, কোমরে দড়ি বাধা আসামি বলেছিলো ভাই আমার চেহারা নাকি চোরের মতো তাই ধইরা লইয়া আইছে থানায়। তার কথা শুনে বোকাবনে গেলাম। কারো চেহারা কি কেউ নিজে বানায় নাকি, যে চাইলেই ঐশ্বরিয়া রায় কিংবা শাহরুখ খানের মতো বানানো যাবে। পুরোটাই বিধাতার কাছে এই বিষয়টাও মানতে নারাজ সেইসব পুলিশ অফিসার। যাইহোক, তাই বলে নেষা করতে বারন কিংবা অবার মেলা মেশায় বাধার বলি হতে হবে জন্মদাতা বাবা আর গর্ভধারিণী মাকে। এ লজ্জা রাখি কোথায়, এ মুখ লুকাবো কোথায় ?

 

 

৩.

ঘটনার পর ’আমাদের সময়ের’ প্রধান শিরোনাশ করেছে- ’নষ্ট সমাজ-ভ্রষ্ট মেয়ে’ তাদের আর একটি শিরোনাম ঐশীর উচ্ছৃঙ্খল জীবন। পড়ার টেবিল থেকে নিয়ে গেছে অভিজাত এলাকার ডিসকো এবং বারে। আসলেই তাই আমাদের সমাজ নষ্ট হয়ে গেছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা, সামাজিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক অস্থিরতা। এ হত্যাকান্ডের দায় ঐশীর একার নয় এই সমাজের। এ দায় নষ্ট রাজনীতিকদের, দলকানা সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের, দিককানা গণমাধ্যমের, আর সবচেয়ে বেশি দায়ী ঐশীর বাবা যে পেশায় কাজ করতেন সেই পেশার নিরাপত্তা বাহিনী পুলিশের। তারা সমাজের কি নিরাপত্তা দিতে পারে ? কেন ঠেকায়নি মাদকের আগ্রাসন। সবাই খারাপ এ কথা বলবো না, তবে একদল অসৎ পুলিশ কর্মকর্তার অর্থাৎ লালসার কারনে আমাদের সমাজ ছেড়ে গেছে মাদকের আবরনে। এতই সহজলভ্য মাদকদ্রব্য, হাত বাড়ালেই পাওয়া যায়। আর কি করনে দেশে অধিষ্ঠিত মাদকদ্রব নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর। কি কাজ তাদের ? কোন মাদক নিয়ন্ত্রন করে তারা, যার কারনে আশক্ত হয়ে বখে যায় নিষ্পাপ ঐশীরা।

 

 

৩.ক.

তবে, বাংলা নিউজে দেখলাম ভিন্ন খবর কোন চক্র খুন করে ঐশীর উপর দোষ চাপাচ্ছে শিরোনামে খবর ছাপিয়েছে। এই শিরোনামের পর অনেকের মনে সন্দেহের উদ্রেগ হয়েছে-সত্যি কি ঐশী খুন করেছে তার বাবা-মাকে নাকি অন্যকেউ, সন্দেহ আরো ঘনিভূত করেছে রিমান্ডে তাকে জিগ্যাসাবাদে সে অছোগালো উত্তর দিয়েছে- খবরে প্রকাশ। অনেকে আমার কাছে ফোন করে জানতে চেয়েছে সত্য কোনটা? পুলিশ দস্পত্তিকে কে খুন করেছে ঐশী নাকি অন্য কেউ ? নাকি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, কিংবা ডিপার্টমেন্টাল কোন কারনে খুন হয়েছে তারা। যদিও ঘটনার পর নিখোঁজ হওয়া ঐশী একদিন পর পল্টন থানায় নিজেই আত্মসমর্পন করেছে এবং খুনের কথা স্বীকার করেছে। তবু প্রশ্ন থেকেই যায় আত্মসমর্পনের পরে কি কারনে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা হয়নি ঐশীকে ? আত্মসমর্পনের ২৪ ঘন্টা পর ক্যামেরার সামনে আনা হয় ঐশীকে আদালতে নেয়ার পথে। গোয়েন্দা পুলিশের দপ্তর থেকে সিএমএম কোর্ট হয়ে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয়া হয়েছে রিমান্ডে, তবুও এখন পর্যন্ত গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা হয়নি সংবাদকর্মীদের প্রশ্ন করার জন্য। কি কারণ তার ভাল জবাব আছে পুলিশের কাছে। জবাব যাই হোক সত্য ঘটনা যাতে বেরিয়ে আসে অন্তত সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর-রুনির মতো যাবে আড়ালে না পড়ে প্রকৃত সত্য। তবেই অপরাধীদের ভেতর ভয় কাজ করবে। আর শাস্তিও হওয়া চাই নজিরবিহীন যাতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

 

 

৪.

হত্যাকান্ড ঘটে যাওয়ার পর একটা কথা চলে আসে খুনিরা পেশাদার না অপেশাদার। সেটা কি করে নিশ্চিত হন প্রশাসন তা মাথায় ঢোকে না অনেকের। অনেকগুলি স্টেপ বা ক্ষত চিহ্ন দেখে সহজেই বলে দেন খুনিরা অপেশাদার। যা সাগর-রুনি এবং মাহফুজ-স্বপ্না দুটি জোড়া খুনের ক্ষেত্রেই বলা হয়েছে। যেখানে তামাম দুনিয়া পাল্টে গেছে, সময় বদলেছে, কৌশল বদলেছে। আর পেশাদার খুনিরা সেকেলে রয়ে গেছে ? পেশাদার খুনিরা হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে এটা যাতে পুলিশ বুঝতে না পারে সে জন্য একাধিক স্টেপ করতেই পারে। পুলিশকে বোকা বানানোর জন্য অনেক সময় এটা হতে পারে। একটা গল্প মনে পড়ে গেলো- আসামি ধরে থানার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে পুলিশ। পথে আসামি বললো স্যার থানায়তো নিবেনই আমাকে একটা সিগারেট খাওয়ার সুযোগ দেন। পুলিশ সদস্য বললো আমার কাছে সিগারেট নাই। আসামি বললো স্যার ঐ যে দোকান আপনি দাড়ান আমি একটা সিগারেট নিয়া আসি। পুলিশ রেগে গিয়ে বললো আমারে বোকা পাইছো আমি ছাড়ি আর তুমি দোকানের নাম দিয়া পালাও, বরং তুমি এই খানে দাড়াও আমি সিগারেট নিয়া আসি। আশাকরি বুঝতে পেরেছেন আমি কি বলতে চেয়েছি।

 

 

৫.

বাংলা সিনেমা দেখিনা ম্যালা বছর হলো, কারন মানসম্মত বাংলা ছিনেমা তৈরি হয়না এই দেশে। দিন তারিখ মনে করতে না পারলেও যতদুর মনে পড়ে অনেক দিন আগে ঢাকার রাস্তায় কোথায় যেন দেখেছি- ’মেয়েরাও মানুষ’ নামে একটি সিনেমার পোস্টার। পরিচালক কি বোঝাতে চেয়েছে আমি জানি না। তার মানে এর আগে মেয়েরা মানুষ ছিলো না নাকি ছেলেদের মতো মেয়েদেরও সমাজে সহাবস্থান নিশ্চিত করতে চেয়েছে তাও জানি না। তবে এর আগে এই মাদকের জন্য ছেলে বাবাকে খুন করেছে, কেউ মাকে খুন করেছে, ভাই-বোন, নিজের সন্তান কিংবা প্রিয়তম বউকেও খুন করেছে। এমন খবরে মানুষের চোখ কপালে উঠে না বড়জোড় একটু আফসোস করে আহারে বাবা-মারে খুন করলি। তবে এবার মেয়ে হয়ে বাবা-মাকে খুন এটা সহ্য করার মতো নয়। আশ্চার্য হয়ে শুধু চোখ কপালে নয় অনেকের মুখের বিশালাকৃতির হা এখনো বন্ধ হয়নি। তবে কি বোঝাতে চেয়েছে আমাদের ঘুনে ধরা সমাজের নারীরা তারা আর অবলা নয়, তারাও মানুষ ছেলেরা করতে পারলে তারা কেন পিছিয়ে তাকবে। কোন সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করলো ঐশী ?

 

 

রাজধানীর চামেলিবাগে যে বাসায় থাকলো মাহফুজ-স্বপ্না দম্পতি আর তার তাদের দুই কলিজার টুকরা, ঐশী আর ঐহী সে বাসা থেকে একটি সুইসাইড নোট আবিস্কার করেছে পুলিশ প্লাস সংবাদকর্মীরা। ১২ পৃষ্ঠার সেই সুইসাইড নোটে তার লেখার মান দেখে আমি যথারীতি মুগ্ধ। লেখার মান ভালো। অনেকটা মনের মাধুরী মিশিয়ে গল্প লেখার মতো। কোন জাতীয় দৈনিকের ঈদ সংখ্যায় দিলে হয়তো ছাপিয়ে দিতো। তবে তার পুরো নোটে তার অনেক না পাওয়ার হতাশার কথা ফুটিয়ে তুলেছেন ঐশী। তবে কি পেতে গিয়ে কি পায়নি তা পরিষ্কার করেনি। বারবার আত্মহত্যা করতে চেয়েছেন ঐশী তার আকাঙ্খা পূরনে করতে না দেয়ায়। কিন্তু একবার ঐশী ভাবেনি তৃতীয় বিশ্বে বাংলাদেশে কত মানুষ তিন বেলা ভাতের জন্য যুদ্ধ করে যাচ্ছে সকাল থেকে রাত অবদি। ঐশী জানেনা ব্যংকের এটিএম বুথের প্রহরী ১৬ ঘন্টা ডিওটি করে মাত্র ৬-৮ হাজার টাকার জন্য। বাবা এক সময় বে-হিসেবি টাকা দিয়ে হাত লম্বা করেছে তাই হয়তো লাগাম টানতে বেগ পেতে হয়েছে ঐশীর। তবে মা স্বপ্না, বেশি শাসন করতো বিধায় মায়ের প্রতি ক্ষোভ বেশি ছিলো তার। হয়তো তাই মাকে ১১ টি স্টেপ করে ক্ষোভের আগুনে জল ঢেলেছে ঐশী।

 

 

৭.

মনোবিজ্ঞানি মোহিত কামাল বলেছেন পরিবারের সাথে দূরত্বের কারনে হতাশা থেকে এমন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়তে পারে আদরের সন্তান। হতে পারে তার কথা সত্য। অতি আধুনিক বাবা-মা সন্তানদের বিচ্ছিন্ন করে রাখার কারনে এ ধরনের ঘটনা স্বভাবিক। তবে তার কথা পুরো সত্য মানতে নারাজ আমি। হতে আরে আংশিক কিংবা অর্ধসত্য, কারন আমিও পরিবারের বাইরে থেকে পড়াশুনা করেছি। উচ্ছন্নে যাওয়ায় হাতছানি থাকলেও সাড়া দেইনি সে পথে। এই রাজধানী ঢাকায় প্রায় লাখ’খানেক শিক্ষার্থী থাকে পরিবারের বাইরে ক’জন যায় সেই পথে, সমিকরন মেলানো কষ্ট হলেও সংখ্যা অনেক কম হবে- তা স্পষ্ট। না হয় সমাজের অবস্থা আরো নাজুক হতো। আর শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলামকে বলতে শুনেছি সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চার অভাবে এ ধরনের অপরাধ বাড়ছে। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা কিংবা চিত্ত বিনোদনের মাধ্যমে ব্যস্ত রাখতে হবে শিশুদের। অবশ্য তার পরামর্শ মেনে চলতে পারলে অনকেটাই রোধ করা যাবে এই অপরাধ। অর্থলিপ্সার কারনে রাজধানীর মাঠ দখল হয়েছে বহু আগে আর শুধু ব্যবসায়িক চিন্তা চেতনার কাছে হার মেনেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালিকরা। প্রাইভেট এসব স্কুল করেছে না বিনোদনের কোন ব্যবস্থা।

 

পদটিকা:

বাবা মাকে খুনের কারনে বালিকা যে এতিম হলো সে কথা একাবারও বলছেনা কেউ। হয়তো এতিম হওয়ার চেয়ে বেশি অপরাধ সে করেছে বাবা মাকে খুন করে। পুলিশের উপ-কমিশনার মনিরুল ইসলামের বক্তব্য অনুসারে সে অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালিকা, বুঝতে পারে নাই, না বুঝেই এই কাজটা করে ফেলেছে হে হে হে। সব কথা বলে যে হাসা যায় না এই বিষয়টা হয়তো বুঝতে পারেন নাই পুলিশের এই সদা হাস্যোজ্বল বড় কর্তা। শেষ কথা- ঐশী একা খুনি নয়, খুনি আমরাও। এই খুনের জন্য দায়ী আমাদের সমাজ। এর শেষ কোথায় কেউ যানে না হয়তো বিধাতা জানে।

লেখক সম্পর্কে জানুন |
সর্বমোট পোস্ট: ০ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ১ টি
নিবন্ধন করেছেন: মিনিটে

মন্তব্য করুন

go_top