Today 12 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

আমার কাছে নিজেকে মনে হয় প্রবল স্রোত,
না আমাকে কেউ ধরে রাখতে পারে
না আমি কাউকে বাঁধতে পারি।
আমার মন করে মনের সাথে আড়ি।

আমি জানতাম তুমি চলে যাবে।
মানে এমনি হবে তোমার আমার।
তবুও চেয়েছি তোমারে,
জীবনের নদীর পাড়ে।

জানি তুমি রাখবে না মনে
তোমার

যুগান্তরে  আলোর নাচনমেঘের চলা চলে ,সমকালে ঘাস ফড়িং

নাচে দলা-দলে ।

ইত্তেফাকে কচি কাঁচা

লিখে গল্প ছড়া ,

ডেসটিনিতে চাঁদের হাঁসি

পড়ল বুঝি ধরা ।

সংগ্রামে বসেছে আজ

নীল সবুজের হাট ,

আমার দেশে এক্কা দোক্কা

খেলছে পুরো মাঠ ।

ইনকিলাবে সোনালী আসর

সোনার সন্তান জুটে ,

সকল পত্রিকার এ পাতাতে

ছোটদের ভাষা

তুমি এমন কেন ওগো-

আজ নয় কাল নয় পরশু

কথার থাকেনা ঠিক,

যদি বলি যাও উত্তরে

তুমি যাও দক্ষিনে

ঠিক থাকে না তোমার দিক ।

 

তুমি এমন কেন ওগো-

সকলে না দুপুরে দুপুরে না বিকালে

কথার থাকেনা ঠিক,

আমি বলি আসো কাছে ;

তুমি বল ধরেছে কি গাছে !

তাকিয়ে থাকো

সাজলো বাড়ী বাজলো সানাই
আসলো গাঁয়ের সবাই;
রুই কাতলা ধরলো কতো
করলো গরু জবাই।
হৈ হল্লা চললো দেদার
হলো সেসব রান্না;
মায়ের ঘরে গিয়েই দেখি
বুবুর সে কী কান্না !

বুবুর নাকি বিয়ে !

খানিক পরে বর এলো যে
পাগড়ী মাথায় দিয়ে !
লাজুক লাজুক চেহারা তার
সাজ করেছে কতো;
দেখতে আমার ছড়ার

————————————————

পাগলি রানী বাচাল জানি
 
বাচাল কুমার কি ?
 
উজির নাজির তোষামোদী
 
পান্তা ভাতে ঘি ।

———————————————-

দেশের পকেট খালি করে

বিদেশ রাখেন টাকা ,

সেখানেই তাঁর বড় বাড়ী

থাকেন সেথা কাকা ।

বিদেশ থেকে আনা গাড়ী

বাংলার হাওয়ায় উড়ে ,

প্রতি মাসে বিমানে যান

বিদেশ আসেন ঘুরে ।

ছেলে মেয়ে বিদেশ পড়ে

দেশে টোনা টুনি ,

আগে তা ছিল গোপন

এখন  সব-ই  শুনি ।

উর্মির অস্বস্তি
মিলন বনিক

উর্মির অস্বস্তি
হৃদয়ের জানালা গুলো একে একে খুলে যায়,
অতন্দ্র প্রহরী হয়ে জেগে থাকে
অন্তরের নির্মম স্মৃতি গুলি।
অবিনাশী প্রেমের দীর্ঘশ্বাস, এখন
নিত্য সহচরী হয়ে ঘুড়ে বেড়ায়
হৃদয়ের জানালায়।
বসন্তের মাতাল হাওয়া আঘাত হানে
একের একের পর এক প্রতিনিয়ত
ইন্দ্রিয়ানুভুতির সুখ গুলো ছুয়েঁ যায়
ঘন নিশ্বাসের উত্তপ্ত বাতাসে,
আম্রবোলের

ফুল ফোটে বাগিচায়
চাঁদ মামা গগনে ,
সুয্যি মামা ডাকে আয়
খেলিব দুই জনে ।

কোকিল কয় গাইতে
ময়ূর পংখী নাচিতে
আমি গাইব নাচিব তাক ধিনা ধিন
দাদু ভাই এনে দিও বীণ ।

সখা-সখি চলে আয়
বেলা যে বয়ে যায়
ছোটা-ছুটি করিব হেথায় সেথায় ।
বন্ধ আজি পাঠশালা
ভাল লাগেনা একেলা ।

হামিদ মিঞার বারান্দার এক পাশে চুপ করে বসে আছেন

শিবু।চোখ দিয়ে পানি ঝরছে। শিবু এদিক-ওদিক তাকিয়ে

পাঞ্জাবির হাতা তা মুচছেন।

প্রবাদ আছে, কৃপণের অশ্রু পয়সা ছাড়া ঝরে না।

এই এলাকার প্রবাদ প্রতিম কৃপণ শিবু মন্ডলকে দেখলে

এই প্রবাদ যারা আওড়ায় তাদের ভুল ভাঙতো।

হামিদ মিঞা সহপাঠী

আমি একটা দুঃস্বপ্ন দেখি ঘুমের ঘোরে
ভয়ের অন্তরালে ঢাকা পড়ে যায় সমস্ত আপাদমস্তক
নিথর দেহে শক্তি পাইনা ওঠে দাঁড়াবার।
সব বাঁধার প্রাচীর সরিয়ে
ধীর পায়ে জানালায় গিয়ে আকাশ দেখি
সব যন্ত্রনার,ভয়ের দীর্ঘশ্বাস ছাড়ি বাতাসে
বায়ুমন্ডলে ঘুরপাক করে পৌঁছে যায় আকাশে
ওই তারার দেশে,চাঁদের দেশে
চলে যাওয়া প্রিয় মানুষের

go_top