অনাবাদী থেকে থেকে এই বুক
পতিত জমির মতো আগাছাসঙ্কুল।
সততার পেলব শরীরে
মিথ্যার দগদগে ক্ষত !
গোলামীর কাঁটাগাছ বিষফল জন্ম দিয়ে
অবস, নিথর করে রেখে গেছে চেতনার কুঁড়ি।
উন্মেষের রক্তজবা কখনো ফোটে না।
হিংসার প্রবল স্রোতে
ডুবে গিয়ে প্রেমের উঠান
বিধবা নারীর মতো জীবন বোনে না।
নির্দয় জোঁকের মতো রক্তচোষা
কারা যেন আগুন জ্বেলেছিল,
হাড় কাঁপানো গোধূলিতে আষাঢ়ে গল্পের ভিড়ে
তাপ পোহাতে ;
ধিকিধিকি আলোতে অশরীরী শিকারিরা বয়ান করছিল
জলে নেমে,
মাছ বনে যাওয়ার অভিজ্ঞতা ।
আরোও বলছিলো –
সাদা বিকেলে ছুটতে ছুটতে মানুষ অবয়ব কিভাবে
বিন্দুতে মিলিয়ে গিয়ে
বকপক্ষী রূপে ফিরে আসে,
অশরীরী মত্স্য শিকারে !
নিস্তব্ধ লালচে পৃথিবীটাকে
রহস্যপূর্ণ অট্টহাসিতে
দুই নারী’র চুলা-চুলি
আমগো মরণ দশা।
মরিচের জান যায়
পাটা-পুতা’র ঘষা।
মারামারি;কাটাকাটি
তাগো বিনোদন,
মধ্যিখানে কচু কাটা
হয় জনগন।
ক্ষমতার চেয়ারে
বসতে হবে তাই,
যেমন করে হোক
চাই-ই শুধু চাই।
মুখ নয় ডাস্টবিন
গন্ধ ছড়ায় খিস্তি,
তাগো কাছে হার মানে
অশিক্ষিত বস্তি।
ক্ষমতার মস্নদে
বসা-ই তাদের লক্ষ্য,
কত জন লাশ হলো
খালি মায়ের বক্ষ।
কিচ্ছু আসে-যায় না তাতে
চায় তারা ক্ষমতা,
তাগো
কাঁটাতার পেরোতে গিয়ে মরেছে ফেলানী
কাঁটাতার ভাঙ্গতে গিয়ে কি হবে কি জানি
কাঁটাতারে যে বড় ভয়
সেই তার মাড়াতে নাই
সেই তার মাড়ালে শুনি সাম্প্রদায়িক হানাহানি
বাব্রী মসজিদ ভাঙ্গলো কারা ভুলে তো যায়নি,