দেহের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ট্যাটু বা উল্কি!
দেহের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ট্যাটু বা উল্কির প্রচলন বেশ আগে থেকেই চলে আসছে। হলিউড-বলিউড কিংবা রেসলিং তারকাদের ড়্গেত্রে এর প্রচলনটা একটু বেশি; কিন্তু বর্তমানে আমাদের দেশের মডেলরাও তাদের ফ্যাশনের আনুষঙ্গিক হিসেবে ট্যাটু ব্যবহার করছেন। সাধারণত দুটি উপায়ে ট্যাটুর ব্যবহার করা হয়। একটি হচ্ছে স্টিকার আর অন্যটি খোদাই করা, যেটিকে উল্কি বলা চলে। তবে আমাদের দেশে খোদাই করা অপেড়্গা স্টিকার ট্যাটুর প্রচলনটাই বেশি। রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমলে বিভিন্ন রং ও ঢংয়ের এ স্টিকার কিনতে পাওয়া যায়। বিশেষ করে বসুন্ধরা শপিংমল, খিলখেত ও নিউমার্কেটে এলাকার দোকানগুলোতে স্টিকার ট্যাটু কিনতে পাওয়া যায়। দাম পড়বে সর্বনিম্ন ৩৫ টাকা থেকে ১০০০ টাকার ওপরে। স্টিকার ট্যাটু ইচ্ছেমতো পরিবর্তন করা যায়। এ কারণে আমাদের দেশের তরম্নণ-তরম্নণীদের কাছে এর চাহিদাটা বেশি। তারা বিভিন্ন পোশাকের সঙ্গে বিভিন্ন রংয়ের স্টিকার লাগাতে পারেন। অন্যদিকে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই; কিন্তু খোদাই করা ট্যাটুর ড়্গেত্রে বেশ ঝামেলাও পোহাতে হয়। তাছাড়া খরচও বেশি। চাইলেই পরিবর্তন করা যায় না। যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন এ ট্যাটু তার গায়ে থাকবে। এ উল্কি আঁকা যন্ত্রটি দেখতে ডেনটিস্টের ড্রিল মেশিনের মতো। বিদ্যুৎচালিত এ যন্ত্রের মাথায় সুক্ষ্ম সুই লাগানো থাকে। দেহের ভেতর যতবার সুই ফুটবে ততবার রং চামড়ার ভেতরে গিয়ে জমা হবে। পরে এ রংটি শুকিয়ে ট্যাটুর আকার ধারণ করবে; কিন্তু প্রায় ড়্গেত্রেই এ রং মানুষের শরীরে ব্যবহারের জন্য ড়্গতিকর। কারণ বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থের মিশ্রণে এটি তৈরি করা হয়। যেটি পস্নাস্টিক বা কঠিন পদার্থের ওপর প্রয়োগ করা হয়। তাই ফ্যাশন সচেতন ব্যক্তিদের এটি ব্যবহারের আগে এর ড়্গতিকারক দিকগুলোর উপরও সচেতনতা থাকতে হবে।