ভুতের গলির সেই ভূত কি ফিরে এলো ?????
পূর্ব প্রকাশের পর
খুব সকালে ঘুম ভেঙ্গে গেল মিজান এর. অনেকদিন পরে আজ অজু করে খাটি মুসলমান এর মত করে টুপি, তার অনেক আগের একবার ঈদ এ মামা একটা পাঞ্জাবি দিয়েছিল সেটা পরে আজকে ফজর নামাজ পড়ল. আজকে সে সব নামাজ পড়বে.ঠিক করেছে. বাকি সব নামাজ মসজিদ এ গিয়ে পড়বে
নামাজ পরে ছাদে কার্নিশ এর সামনে এসে দাড়ালো. নিচে তাকাতে দেখতে পেল কেয়াকে, ফুল গাছে পানি দিচ্ছে. তাকে ছাদে দেখে হাত নেড়ে হাসলো.
আহ ফুলের চেয়ে আরো সুন্দর, মোহনীয় এই মেয়ে. সব ফুলের সৌন্দর্য্য রূপ লাবন্য চুরি করে বসে আছে যেন কেয়া. মিজান নিজেকে ভাগ্যবান মনে করলো এই অপূর্ব মেয়েটার মনে স্থান পাওয়াতে
ছাদে হাটতে হাটতে এদিক ফিরে আসতে দেখল কেয়া ছাদে উঠে এসেছে. তার হাতের ট্রে তে চা বিসকুট, মুড়ি কলা . যদিও সে মিজান এর চা নিয়ে এসেছে, কিন্তু আজকে সে একটু বিব্রত বোধ, একটু কি লজ্জা ও পাচ্ছে. এতদিন ছিল একরকম, এখন সম্পর্কটা অন্যরকম আন্তরিকতায় পৌছেছে
আপনার জন্য চা নিয়ে আসলাম, বলল সে অন্য দিকে তাকিয়ে, লজ্জায় তার গাল একটু লাল হয়ে গেল.
মিজান এর মনে একটা কবিতার লাইন চলে আসলো গোলাপী গাল নিয়ে. কিন্তু অনেক কষ্টে নিজেকে সংবরণ করলো কবিতা আবৃতি করা থেকে, এমনি সে লজ্জায় মরে যাচ্ছে, আজকে আবেগ একটু সংবরণ করা যাক..চায়ের কাপ নিতে গিয়ে দুজনের আঙ্গুল ছুয়ে গেল. দুজনে যেন একটু কেপে উঠলো. কেয়া লজ্জায় আবার মাথা নিচু করলো.
কেয়া যাওয়ার সময় ট্রে টা হাতে রেখে যখন পানির গ্লাস টা মিজান এর হাতে দিল.এবার তার সংযম এর বাধ ভেঙ্গে গেল, গ্লাস সহ কেয়ার হাত টা ধরে ফেলল, ধরে থাকলো. দুজন দুজনের চোখে দিকে তাকিয়ে থাকলো অনেকক্ষণ ধরে আচ্ছন্নের মত.
নিচ থেকে কাজের মেয়ের গলা শোনা গেল
“আপা আপনারে খালুজান বোলায়
নিচে নেমে এসে দেখল কেয়া বাবা খুব উত্তেজিত এবং অস্থির পায়ে হাটাহাটি করছেন
দেখো তো মা কি কান্ড, সোহেল তো এখন বাংলাদেশ এ .এয়ারপোর্ট থেকে মাত্র ফোন করলো l
সে এখানে আসছে এক ঘন্টার মধ্যে .সোহেল যার সাথে কেয়ার বিয়ে হওয়ার কথা সে অনেকদিন পর দেশে আসছে l
কেয়া ভিতরে একেবারে অফ হয়ে গেল. একই সাথে মন টা ভীষণ চঞ্চল হয়ে গেল এই মনে করে এই পরিস্থিতি তে সে কি করবে.
.
তাড়াতাড়ি দেখো তো মা ঘরে খাওয়া দাওয়ার কি বেবস্থা আছে. আমি দেখি মিজান কে ডাকি
কেয়ার মনটা এখন পুরো খারাপ হয়ে গেল মিজান এর কথা মনে করে .
মিজান ঘর থেকে বের হয়ে সিড়ি দিয়ে নামতে চাচা কে দেখল,
আস বাবা তোমাকে ডাকতে পাঠাচ্ছিলাম, বলে উঠলেন চাচা
কি বেপার চাচা বেস্ত মনে হচ্ছে
সোহেল কিছুক্ষণের মধ্যে বাসায় আসতেছে, কেয়ার যার সাথে বিয়ে হওয়ার কথা.
মিজান যেন সপ্নের আকাশ থেকে বাস্তব এর শক্ত মাটিতে ঠাস করে পড়ল তার মন এতই খারাপ হলো যে সে কিছুক্ষণ চাচার মুখের দিকে তাকাতে পারলনা l মনে হলো চাচা তার হটাত মুখের এই অস্বাভাবিক পরিবর্তন বুজে ফেলবেন. কিন্তু চাচার ওদিকে একেবারে মনোযোগ নাই. তিনি অস্থির পায়ে কার কি কাজ হবে সে পরামর্শ দিচ্ছেন l
মিজান উপরে এসে দরজা বন্ধ করে শুয়ে আছে. এ মানসিক অবস্থায় কারো সঙ্গে দেখা করা তার পক্ষে সম্ভব না. চাচা কে মাথা বেথা বলে ঘরে এসে দরজা বন্ধ করে দিয়েছে , কেয়া এসে কয়বার দরজা নক করেছে, নাস্তা খাওয়ার জন্য ডেকেছে. কিন্তু সে কোনো সাড়া শব্দ করেনি. মরার মত পড়ে আছে বিছানায়
নাহ আর এভাবে পড়ে থাকা যাবেনা, চাচা কি মনে করবে, আওয়াজ পেয়েছে নিচে তাদের গাড়ি এসে থেমেছে, সবার কথা বলার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে. তাড়াতাড়ি বাথরূম এ ঢুকে চোখ মুখ পানি দিয়ে ধুয়ে চেহারা থেকে সব অস্বাভাবিকতা মুছে ফেলার চেষ্টা করছে. কেয়ার সেদিনের কিনে দেওয়া শার্ট টা পড়ল, শেভ করলো, যাক চেহারা টাকে একটু ভদ্রস্থ করা গেল. নিচে নেমে ঘরে ঢুকতে কেয়ার সাথে চোখা চোখি,হয়ে গেল. তার মুখ উজ্জল হয়ে গেল, ইশারা করে মিজান কে ডাকলো..
মিজান এসে কেয়ার সাথে নাস্তার প্লেট গোছাতে লাগলো.
তোমাকে এত সুন্দর আগে কোনদিন দেখিনি বলল কেয়া ফিসফিসিয়ে, মিজান বুজতে পারল একই সঙ্গে কেয়ার ও মন খারাপ কিন্তু সে চেষ্টা করছে মিজান এর মনটা ভালো করার, এতক্ষণ পরে সে একটু হালকা বোধ করলো বুজলো কেয়ার মন ও একই গতিতে প্রবাহিত হচ্ছে. এইটুকু জেনে সে বেশ স্বস্তি বোধ করলো কেয়া তো তাকে ভালবাসে. বিয়ে নাই বা হলো. পরক্ষণে বিপরীত গতিতে তার চিন্তা প্রবাহিত হতে থাকে, নাহ কেয়া অন্য কারো হবে সেটা সে ভাবতে ও পারেনা, অন্য একজন পুরুষ তাঁকে টাচ করবে এটা কল্পনা করতে তার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে .
মিজান বাবা এসেছ নাকি? চাচা ডাকলেন আস এখানে আস, মিজান আসার পর চাচা পরিচয় করিয়ে দিলেন সবার সাথে l
. .
এরা সবাই খুব বনেদী এবং অনেক টাকা পয়সা ওয়ালা তা তাদের চেহারা আর আচরণে বলে দেওয়া যায়, সোহেল বলে যে ছেলের সাথে চাচা পরিচয় করিয়ে দিলেন, সে দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি চমত্কার তার কথা বলার ভঙ্গি .মিজান চোখের পলকে মুগ্ধ হয়ে গেল. মিজান অবাক হয়ে ভাবলো কেয়া কেন এই অপূর্ব ছেলে কে রেখে তাকে বিয়ে করতে চাবে তার কোনো যুক্তি সংগত কারণ ও খুঁজে পেলনা.
তার মন এত ই বিষন্ন হয়ে গেল সে স্বাভাবিক ভাবে কথা চালানো ই মুশকিল হয়ে পড়ল.
চাচা বললেন কি বেপার কোনো কিছু নিয়ে কি টেনসন করছ বাবা .
চাচা একটা জরুরি কাজ ফেলে রেখে এসেছি, আমি একঘন্টার জন্য একটু বাহিরে যাচ্ছি, ফিরে এসব তাড়াতাড়ি . তাকে বাহিরে যেতে দেখে কেয়া তাড়াতাড়ি আসলো কিছু বলার জন্য. মিজান কেয়াকে সে সুযোগ না দিয়ে জটপট বেরিয়ে গেল.
কেয়া অসম্ভব মন খারাপ করে মিজান এর গমন পথের দিকে তাকিয়ে থাকলো.
এদিকে মিজান উদ্দেশ্য বিহীন ভাবে রাস্তার এমাথা থেকে আরেক মাথা হাটতে লাগলো. কিছুতে ভেবে বের করতে পারলনা, এবেপারে সে কি করবে. চাচা কে সরাসরি সব খুলে বলবে..নাহ..এ অসম্ভব .
সে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারছেনা, ওয়াশ রুম এর দরজা বন্দ করে বসে রইলো কিছুক্ষণ, বাহির থেকে কার গলার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে “কেয়া
তাড়াতাড়ি সে চোখ মুখ ভালো করে ফেস ওয়াশ দিয়ে ধুলো যাতে কান্নার চিহ্ন তা মুছে যায়, বের হয়ে দেখে তার বিছানায় বসে সোহেল ম্যাগাজিনের পাতা উল্টাচ্ছে
“কি হয়েছে তোমাকে এমন দেখছে কেন? তুমি ঠিক আছ উত্কন্ঠা নিয়ে সোহেল জিজ্ঞাসা করে কেয়াকে
নিজেকে সামলাতে কেয়ার একটু সময় লাগছে, কথা বলতে পারছেনা সে তাহলে সোহেল কান্নার আভাস পেয়ে যাবে
কি হয়েছে বলতো বলে সোহেল হাত টেনে এনে পাশে বসালো. কেয়া আরষ্ট হয়ে সরে যেতে চাইল.
সোহেল ভাই আমি একটু সময় চাই, তোমার সাথে পরে কথা বলব.
বাবা তো চাচ্ছে কালকে আখত করাবে, কেননা আমার বেশি সময় নাই, একমাসের ছুটিতে আসছি l
সোহেল ভাই বিয়ের বেপারে আমি এখনো কোনো ডিসিশন এ আসতে পারিনি আমাকে তুমি মাপ কর.
কেন আসতে পারনি, তার কারণ কি ওই ভদ্রলোক তোমাদের ভাড়াটিয়া মিজান সাহেব, বলে কিছুটা কৌতুকের স্বরে কিন্তু তার বিষন্নতা ও লুকিয়ে রাখতে পারলনা
আমি সব কিছু র জন্য তোমার কাছে অনেক সরি,আমাকে মাপ কর তুমি
ইটস ওকে তুমি যা চাও তাই হবে, এখন আস আমাদের সাথে খাওয়া দাওয়া কর, ছোটবেলায় তো বন্ধু ছিলাম নাকি, সেই হিসাবে রেসপেক্ট করে একসাথে খাওয়া দাওয়া করি. সব কিছু নিয়ে বাবা চাচা র সাথে আমি পরে কথা বলব. এখন একটু স্মাইল কর তো দেখি
=====================================
কেয়া অস্থির পায়ে বারান্দায় পায়চারী করছে. এখন সময় রাত ১১:৩০ মিজান ঘর থেকে বেরিয়েছে সকালে ১১ টায়, এখন পর্যন্ত তার কোনো খবর নাই.
সন্তর্পনে কে যেন গেট খুলে ঢুকছে তাকাতে দেখে মিজান আস্তে আস্তে ধীর পায়ে ভিতরে ঢুকছে. কেয়া দৌড়ে সামনে চলে আসল
কি বেপার তোমার কি হয়েছে সারাদিন আমি আর বাবা তোমার জন্য অস্থির হয়ে ওয়েট করেছি.বাবা মাত্র ভিতরে গিয়েছে,.কেয়া এক নিশ্বাস এ হাপাতে হাপাতে বলল কথাগুলি
একটু রাস্তায় হাটাহাটি করছিলাম, হাটাহাটি করতে করতে মিরপুর চিড়িয়াখানা র দিকে চলে গিয়েছিলাম, অনেকদিন পরে চিড়িয়াখানার পশু গুলি র সাথে সময় কাটালাম, অনেক ভালো লাগলো, নিজেকে পশু গোত্রের একজন মনে হলো. বানর এর খাচার সামনে গিয়ে ওদেরকে ভেংচি কাটলাম, ওরা দেখি সব কি কি করে ভেংচি কাটতে কাটতে আমার দিকে এগিয়ে আসল যেন আমি ওদের এক জমজ ভাই, সত্যি অনেকদিন পরে হাসলাম হা হা করে প্রাণ খুলে, যদি ও সে হাসার চেষ্টা করছে হা হা , তার হাসি তা সত্যি বেসুরো শোনালো কেয়ার কানে, সে হাসিতে না আছে প্রাণ, না আছে সুর.
খাওয়া দাওয়া করেছ? চেহারা দেখে তো মনে হচ্ছে সারাদিন বানর এর খাচায় বানর এর সঙ্গে কুস্তি করছ, কেয়া বলল মজার সুরে মিজান কে হালকা করার জন্য
খেয়েছি মোগলাই আর শিক কাবাব, সরি আপনার জন্য আনতে পারিনি .
হয়েছে আস আর মিথ্যে বলা লাগবেনা, গোসল করে ফ্রেশ হও, আমি তোমার খাওয়া রেডি করতেছি বলে তার হাত ধরে টানলো.
হিতে বিপরীত হলো.মিজান উঠলো ক্ষেপে এবং যে জবাব দিল তা অত্যন্ত কড়া
আমি ঠিক বুজতে পারছিনা কেন আপনি এভাবে আমাকে বিরক্ত করেন? কাল বাদে পরশু আপনার একজনের সঙ্গে বিয়ের কথা চলছে আর আজকে অন্য এক লোকের হাত ধরে টানছেন? আপনার কাছে কি সব কিছু এতই সস্তা.
কেয়া চমকে গিয়ে সরে গেল, মিজান এর মন পরক্ষণে অনুশোচনা আর গ্লানিতে ভরে গেল.
ছি ছি কেয়া কে কিভাবে সে এই কথা বলতে পারল.
পরক্ষণে সরি সরি আমার ভুল হয়ে গেছে, প্লিস আমাকে মাপ কর, বলে কেয়ার হাত ধরার চেষ্টা করলো .
কেয়া নিজেকে আর সামলাতে পারলনা, সে উচ্ছসিত হয়ে কাদতে সুরু করলো আর বলতে লাগলো
আমার এখানে কি দোষ আজকে সারাদিন তুমি আমাকে কষ্ট দিছ, এটাতো পারিবারিক ভাবে বিয়ে ঠিক হয়েছে, আমি সোহেল ভাইকে ভাইয়া র বন্ধু হিসাবে ভাই এর মত দেখি. সুধু বাবাকে কষ্ট দিবনা চিন্তা করে বাবার ইচ্ছেতে সন্মতি দিয়েছিলাম. আর তুমি আমাকে সব কিছু বুজে ও অযথা কষ্ট দিছ.বলে সে আবার ফুফিয়ে ফুফিয়ে কাদতে থাকলো
কেয়ার চোখের পানি দেখে খুব অসহায় বোধ করলো মিজান, সে কি বলে কেয়াকে স্বান্তনা দিবে বুজে ফেলনা, কেয়াকে বুকে টেনে নিয়ে সুধু মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বিড় বিড় করে বলল
আমি তো তোমার ভালোর জন্য বলতেছি. আমার কি আছে? একটা ভেগাবন্ড না আছে চাল চুলা না শিক্ষা, সে হিরো আর আমি জিরো, বুজার চেষ্টা কর
চাচা একবার তোমার ভাই এর কাছে থেকে আঘাত পেয়েছে, তুমি ও কি আবার কষ্ট দিবে ওনাকে?
আমি বাবাকে সব খুলে বলব.বাবা সব বুজবে, সুধু তুমি আমাকে ভুল বুজোনা, আমাকে সবসময় সাপোর্ট দিও, এখন তুমি ছাড়া আর কাওকে বিয়ে করা আমার পক্ষে সম্ভব না, বলে মিজানকে আকড়ে ধরল কেয়া
দুজন দুজন কে ধরে এভাবে কিছুক্ষণ দাড়িয়ে রইলো. তাদের এই নিশীথ রাতের প্রেম আর প্রতিশ্রুতি র সাক্ষী হয়ে রইলো এই নিস্তব্দ প্রকৃতি ছাড়া আরেক জন কেয়ার বাবা.
পরপর তিনদিন হয়ে গেল সোহেল দের বাড়ি থেকে না আসছে কোনো ফোন, না কোনো খবর, দেখে কেয়া চিন্তিত হয়ে বাবা কে জিজ্ঞাসা করতে যাবে, তখনি বাবা বলল
যা তো মা মিজান কে ডেকে নিয়ে আয়
মিজান হাত ইশারায় কেয়াকে জিজ্ঞাসা করলো বেপার কি, সে দুশ্চিন্তা চেপে রাখতে পারছেনা
চাচা নিজে বললেন বস বাবা বস এক জরুরি বেপার নিয়ে কথা বলব, কেয়া তুমি ও বস মা
আমি সোহেল আর তার বাবাকে সরি বলে আমাদের অপারগতার কথা বলেছি. বলেছি আরো ছেলেটার দেশে আসার সম্ভাবনা নাই তাই আমি চাই আমার মেয়ে দেশে থাকুক, একটা ছেলে ও আমি পছন্দ করেছি. আমি তোমার কথা ই ভেবেছি, যদি তোমার কোনো আপত্তি না থাকে
মিজান বলবে কি আনন্দে উত্তেজনা, তাকে যদি পুরা এক সাম্রাজ্য বা এক কোটি টাকার লটারী জিতে গেলে ও মনে হয় এত হতভম্ব বা এত আনন্দিত হোতনা. কেয়ার অবস্থা ও তদ্রুপ .
দুজনে মনে মনে বাবা ১০০ বার সালাম করলো .
কি মা আমি যদি মিজান এর সঙ্গে তোর্ বিয়ে দিতে চাই তোর্ আপত্তি হবেনা তো.
কেয়া আবেগে বাবাকে জড়িয়ে ধরল ,কাদতে কাদতে সুধু এই বলতে পারল
তোমার মত বাবা হয়না, আমার বাবা পৃথিবীর সেরা বাবা
মিজান এর এই বেপারে কোনো দ্বিমত রইলোনা
পরের সপ্তাহে আখত এর পরে ধুম ধাম করে কেয়া আর মিজান এর বিয়ে হয়ে গেল সপ্নের মত, রূপকথার গল্পের মত
আজকে তাদের বিয়ের রাত. বর বধু বসে আছে বিছানায়. আজকে দুজনে অনেক বিব্রত, কে আগে কথা বলা সুরু করবে তারা ভাবছে, কেয়া ভাবছে মিজান আগে বলুক, মিজান ভাবছে কেয়া কথা বলনা কেন .কথার রানী
এরকম ভাবতে ভাবতে দুজন মুখ তুলতে দুজনের চোখা চোখি হয়ে গেল, আর দুজনে হাসতে সুরু করলো, প্রথমে মুচকি..পরে জোরে জোরে
দুজনের হাসি মুখ দেখতে দেখতে আমরা পাঠক চলে যাই অন্য জায়গায় অন্য ঘটনায়
(পরবর্তিতে)