পুনে (ইন্ডিয়া)…… ভ্রমন (৬ষ্ট পর্ব-পার্বতী হিল)
আগা খাঁ প্যালেস হতে বের হয়ে আমরা রওয়ানা হই পার্বতী হিলের দিকে ……… ১০ মিনিটের মধ্যে সেখানে পৌঁছে যাই সেখানে ……
১। উঠার সিঁড়ি
এত উঁচু হবে প্রথমে ভাবতে পারিনি ।
২। আরেকটি দৃশ্য
আস্তে আস্তে সবাই উঠছি তো উঠছিই সিড়ি শেষ হয় না আর …. এরই মধ্যে এক আপা আর এক ভাই সিঁড়ি ভেঙ্গে অর্ধেক উঠে আবার নিচে নেমে গেছেন কষ্টের কারণে । আমি তো এক নম্বর হইছি । দৌঁড়াইয়া উপরে উঠেছি । কষ্ট যে হচ্ছিল না তানা ।
আমি সবাইকে বুদ্ধি দিলাম যেন তারা সিঁড়ি ঝিকঝাক পদ্ধতিতে উঠেন মানে কোনাকুনি করে প্রতিটি সিঁড়ি তাহলে কষ্ট কম হবে । অনেকেই আমার কথামত উপরে উঠেছেন ……. একেবারে হাফিয়ে গেছি সিঁড়ি দিয়ে উঠতে উঠতে বাপ্রে ……….অবশেষে উঠে গেলাম একেবারে উপরে মানে পার্বতী হিলে…..
৩। উঠতেই দেখি একটা মন্দির । কি নাম ছিল সেটার দেখিনি
৪। এটি আরেকটি মন্দিরের গেইট । এখান দিয়ে গিয়ে আমরা উপরে উঠে পুনের দৃশ্য দেখেছি
ভারতের পুনেতে পার্বতী হিল হল একটি উপগিরি বা ক্ষুদ্রপাহাড় । এই ক্ষুদ্রপাহাড়টি সমুদ্রতল হতে ২১০০ ফুট উপরে (৬৪০ মিটার) । এই পাহাড়ে একটি মন্দির আছে যার নাম পার্বতী মন্দির । পাহাড়ের উপর থেকে পুনের সুন্দর দৃশ্যটি চোখের পড়ার মত । উচু নিচু বিল্ডিং, কোথাও বস্তি এলাকা আবার অনেক দুরের পাহাড়গুলো দেখতে দারুন ভাল লাগে ।
৫। মন্দিরের গায়ে লাগানো একটি মূর্তি…… এটি দেবদেবাশ্বরার মূর্তি বোধ হয়
পার্বতী মন্দিরগুলো পুনের প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী মন্দির । এটি পেশওয়া বংশের নিয়মানুযায়ী নির্মিত হয়েছিল । পার্বতী পাহাড়েরর বিস্তৃত সুন্দর দৃশ্যস্পটে দর্শকদের জন্য একটি পর্যবেক্ষণ স্পট হিসাবে ব্যবহার করা হয় । এটি দ্বিতীয় সবোর্চ্চ পয়েন্ট পুনের (ভেটাল হিলের পরে) । এই পাহাড়ে উঠতে ১০৩ ধাপ সিঁড়ি মাড়িয়ে উঠতে হয় । পাহাড় আর মন্দিরের সমন্বয়ে সুন্দর একটি দৃশ্যপট…….. যা খুবই ভাল লাগছে আমার ।
৬। সুন্দর সবুজ গাছপালা । উপর থেকে উঠাইছি
৭। এটিও উপর থেকে তোলা
৮। মন্দিরের উপরের অংশ
৯। মন্দিরের ভিতর
১০। পুরো মন্দির
এই মন্দিরটাই বেশী দেখা হইছে এবং সুন্দর ছিল মন্দিরটি
১১। মন্দিরে একাংশ
১২।শ্রী সূর্য নারায়ন মন্দির
১৩। মন্দির
১৪। এখান থেকেই আমরা পুনের শহর দেখতে পেরেছি
১৫। কি সুন্দর সবুজ গাছপালা…..
১৬। পুনে শহর
১৭। উপরে একজন আয়েশ করে দৃশ্য দেখতেছে
১৮। বস্তি এলাকা
১৯। সাদা বিল্ডিং গুলো ভাল লাগছিল
২০। আর কিছু সবুজ
২১। সুন্দর পুনে শহর
২২। অই যে দুর পাহাড় । কি চমৎকার লাগছিল । কোন পাহাড়ে গুড়ি গুরি বৃস্টি হচ্ছিল ….. আকাশ মেঘলা থাকায় ছবিগুলো তেমন স্পষ্ট আসেনি । সবই ঘোলাঘোলা…….. আমাদেরকেও শেষ পর্যন্ত বৃষ্ঠি ভিজাইছিল………. বৃষ্টির কারণে বেশীক্ষণ আর থাকা হয়নি সেখানে …….বৃষ্টি নেমে গেছে
মূল মন্দির দেবদেবাশ্বরা কালো পাথর দিয়ে ১৭৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ।
নানাসাহেব মন্দিরটি পেশওয়ার অধীনে নির্মিত হয়েছিল
পার্বতী হিলে মোট ৫টি মন্দির আছে:
দেবদেবাশ্বর মন্দির (শিব ও পার্বতী)
কার্তিকেয়া মন্দির
বিষ্ণু মন্দির
ভিথাল মন্দির
রমনা মন্দির
এছাড়া এখানে মন্দির ছাড়াও পেশওয়া যাদুঘর আছে । নানাসাহেব পেশওয়া যিনি তার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এখানে বসবাস করেছে এবং তার সমাধীও এখানেই অবস্থিত । পার্বতী জল সাপ্লাই ট্যাংক এর পানি সরবরাহ করা হয় পুনের অর্ধেক জনগোষ্টির জন্য ।
বৃষ্টি আসাতে আমরা নামতে শুরু করলাম । সিড়িগুলো এত পিচ্ছিল হইছিল যে নামাটা অনেক কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায় বয়স্কদের জন্য । আমি সেন্ডেল খুলে হাতে নিয়ে নেই তারপর আগুল টিপে টিপে নামতে থাকি । আর অপর দিকে দেখি এক ভাইয়া আমার ফটো উঠাইতাছে মনে মনে খুশি হইলাম এই বৃষ্টির মধ্যে ছবি উঠানোর মজাই আলাদা ।……..
ইতোমধ্যে আমি নেমে এসেছি আর অন্যান্যরা নামতেছে ধীরে ধীরে । এমন সময় দেখি একটি সুন্দরী মেয়ে ধপাস করে পড়ে গেছে পিছলে কয়ে সিড়ি নিচে নেমে উঠে বসেছে । ব্যথা পাইলেও সে বুঝাইছে যে ব্যথা পায়নি । ……
পার্বতী পাহার দেখা শেষ হলে আমরা আবার রওয়ানা হলাম দিনকার জাদুঘরের উদ্দেশ্যে………..