যে কথা আজো হয়নি বলা !!
আতপ্ত অবসন্ন জলের ফুটা
ঝরিয়া পড়ে ঊর্ধ্ব প্রান্ত থেকে,
এ যেন অনুর্বর আর অরক্ষিত।
মনোহর সুর্যরস্মির নিম্নমুখী তাক করা,
নীচে বিষাদের বালির অভ্যন্তরে,
একটি গোলাপের অস্পষ্ট গভীরতার প্রত্যাখ্যান।
দীর্ঘ বিস্মৃতের পাশপাশি থেকেও,
সহজতর সৌন্দর্য্যকে করে আনয়ন।
বাতাসে ঝুলা রংধনুর মত সুগন্ধি তার,
হঠাৎ শ্বাসরুদ্ধ করা অন্ধকারের গভীর অনুভব।
যে কথা আজো হয়নি বলা, গোলাপের সেই নিবন্ধ কথা।
জীবন যাত্রার দ্রুতগামী নিঃশ্বাসে,
সুবর্ণ সূর্যালোকের প্রবাহের নিম্নমুখী নভোমন্ডল,
আর চাঁদের কালো মুখের উপর,ঝলমলে রুপালী শেডে
যেন উজ্জ্বল আলো শুষে নেওয়া রাত,
নক্ষত্রালোকের নির্বাক পথের নির্মান।
মাথার উপরে বয়ে যাওয়া প্রবল বাতাসের শব্দ,
অপেক্ষারত গোলাপের ছায়ার মাঝে,
ফিরে আসা উত্তপ্ত আলো,
এ যেন গোলাপের আশাবাদী জীবন স্পন্দন।
যে কথা আজো হয়নি বলা, গোলাপের সেই নিবন্ধ কথা।
বৃষ্টিকে শুষে নিয়ে প্রবল বালির মাঝে,
ভাস্বল উপলের মত চকমক করা,
মুহুর্তের মাঝে স্বচ্ছ উজ্জ্বল পুনর্নবীকরণ।
নির্মল, কোমল আর বিশুদ্ধিকরণ বৃষ্টি,
যেন ধুয়ে মুছে প্রশান্তি এনে দেয়,
আর বৃন্ত মূলে নুতন গজানো মুকুল।
সর্বাঙ্গে ছেঁয়ে যায় রঞ্জিত রঙিন স্বপ্ন,
ফুটে উঠে যেন প্রস্ফুটিত সৌন্দর্য্য,
আর প্রানবন্ত হয়ে উঠে গোলাপের স্বপ্নিল জীবন।
যে কথা আজো হয়নি বলা, গোলাপের সেই নিবন্ধ কথা।