বৃক্ষ মনুষত্য
স্থির বৃক্ষ দাড়িয়েঁ তুমি
তোমার ভাবনা কি…..?
তুমি কি আমার মতই
কাঁদো, হাসো অথবা
কষ্টে নীল হও ?
হওতো, আমি দেখেছি
তোমার গায়েঁ আঁচর কাটলে
তুমি নুয়ে পড়
গা থেকে চোখের নোনতা জল
তোমাকে সিক্ত করে
তুমিতো অনুভূতি পরায়ন
তোমাকে ভালোবাসলেও
তুমি সাড়া দাও….
তোমার শরীরের যত্নে
তুমি আরো বেশী সবুজ হও
নতুন কচি পাতা
ছেড়ে দাও তোমার কঠিন কান্ডে
ডাল পালায় ভরে ওঠো
নতুন আনন্দে …..!
তুমিতো সত্যিই অনুভুতি পরায়ন
চোখ ঝাপসা করা চাদেঁর আলোতেও
তোমার পাতা চিক চিক করে
আনন্দ মাখা হাসির জানান দেয়,
শরতে বাতাসের তীব্রতায়
কুমারী মেয়ের মত উম্মাতাল ছন্দে
নুপুর পায়ে ঝুমুর ঝুমুর
শব্দে আওয়াজ তোল
তুমিতো জড়ো প্রান নও
তুমি সম্পূর্ন অনুভূতি পরায়ন
তুমি তীব্র গরমে শীতল ছায়ায়
অন্যের প্রতি তোমার নিঃস্বার্থ
ভালোবাসা দেখাও
বাঁচাও প্রান পিপাশার্ত প্রানীকুলের
তবুও নাকি তুমি জড় বৃক্ষ !
ভালোবাসার আলিঙ্গনে
তোমার উষ্ম ছোয়া আমি পেয়েছি,
আমি দেখেছি তুমি আমাকে
উপহারও দিয়েছো
শিশির ভেজা পাতার
শীতল একফোঁটা পানি ।
তুমি অনুভুতি পরায়ন
তুমি ভালোবাসার প্রতিকৃতি
তুমি মানুষের মত স্বার্থপরতার উর্দ্ধে
লোভ লালসার বাইরে
নির্ভেজাল ভালোবাসার কান্ডারী…
তুমি বৃক্ষ, তুমি অনুভূতি পরায়ন
তুমি ভালোসার উৎকর্ষতার
মানবীয় প্রলয়ংকারী সাক্ষী
তুমি স্থির বৃক্ষ
তবুও মনুষত্য পরায়ন ভালোবাসার প্রতিকৃতি ।
রচনাকাল ০২/১১/২০১৩ ইং (রাত ১০.৩০ মিনিট)