যেভাবে নেবেন ভাইভার প্রস্তুতি
ভাইভা বোর্ডে নিজেকে প্রমাণ করতে না পারলে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করাটাও জটিলতার মধ্যে পড়ে যায়। কীভাবে সামলাবেন ভাইভা বোর্ড তার পরামর্শ দিয়েছেন ২৭তম বিসিএস প্রশাসনের কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান
কোন বিষয়ের ওপর ভাইভা দেবেন, সে বিষয়ে আগে থেকেই দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
কোন দায়িত্ব নিতে আগ্রহী, সে বিষয়েও ধারণা রাখতে হবে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইভা হলে টপিকের ওপর প্রাধান্য দিতে হবে।
আপনাকে দিয়েই সম্ভব— এ আত্মবিশ্বাস সব সময় মনে রাখতে হবে।
নিজেকে সব ধরনের মানসিক সমস্যা থেকে দূরে রাখতে হবে।
ভাইভার পোশাক সব সময়ই ফরমাল ও আরামদায়ক হতে হবে। চাকরির ধরন বা মান অনুযায়ী পোশাক পরাটা বেশি ভালো। অর্থাৎ ভাইভা যে পদের জন্য, সেই পদের ড্রেস পরতে হবে।
নারীর ক্ষেত্রে পোশাকে মাধুর্য থাকতে হবে এবং যে পোশাকে নিজেকে আত্মবিশ্বাসী মনে হবে, সে পোশাকই পরতে হবে।
পোশাকের রঙটাও ফরমাল হতে হবে বা যে পোশাকে নিজেকে সুন্দর ও বিনয়ী মনে হবে, তা পরাই ভালো।
ভাইভা শুরু হওয়ার অন্তত ২০-২৫ মিনিট আগে পৌঁছতে হবে।
ভাইভা বোর্ডের ডাক এলে গেটে দাঁড়িয়ে ভাইভা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে হবে।
প্রবেশ করে তাদের সম্ভাষণ জানাবেন।
বসতে না বলা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকবেন। বসতে বললে ধীরে ধীরে চেয়ারে বসে পড়বেন।
বসার ধরনটা এমন হবে যাতে দু’কাঁধ একেবারেই সমান থাকে এবং চেয়ারে পিঠ ঠেকে না যায়। আর হাত দুটির সাহায্যে আপনার যাবতীয় কাগজপত্র কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে নীরবে বসে থাকবেন।
হাত না নাড়িয়ে দুই হাঁটুর ওপর হাত রেখে বসে থাকবেন।
নিজের চেহারায় কখনো গম্ভীর ভাব রাখবেন না। চেহারায় হাস্যোজ্জ্বল ভাব ফুটিয়ে তুলবেন। অর্থাৎ নিজেকে সব সময় প্রাণবন্ত রাখতে হবে।
যিনি প্রশ্ন করবেন, শুধু তার দিকেই তাকাতে হবে।
একই সময় দু-তিনজন প্রশ্ন করলে একটি একটি করে উত্তর করবেন এবং প্রশ্নকারীর চোখের দিকে তাকিয়ে থাকবেন।
কোনো প্রশ্নের উত্তর না পারলে বা জানা না থাকলে ‘দুঃখিত আমি পারছি না, আমি জানি না’— এমন শব্দ বা বাক্য ব্যবহার করতে হবে।