আজন্ম অবুঝ
যা আমি বুঝতে চাই তাই আমি বুঝতে পারি না, আমায় নিয়ে যায় অচেনা দিগন্তে;
যে অচেনাকে চিনবো বলে চেয়ে থাকি চোখ মেলে, দৃষ্টি নিয়ে যায় মরুর প্রান্তে,
যেখানে মরুচিকার দৃশ্যায়নে পথ হারায় পথিক, আমিও সেই পথে তাকে বুঝতে।
ভালবাসা বুঝতে গিয়ে ভালবাসা ছেড়ে গেল আমায় ভালবাসাহীন নিঃস্ব গহব্বরে,
হঠাৎ কোন অচেনা দুপুরে অচেনা পথে দেখা তমাচোখে কত ছিল প্রেম তার সুরে
বেজে উঠেছে বেহালার সুর, বিদায়ের সুরে প্রেম গেছে চলে ফেলে অবুঝের অন্তরে।
বুঝতে পারিনি যে মেয়ে ভালবাসি বলেছিল বহুবার তার প্রেম ছিল কতখানি বাকি!
সহস্র নিস্তব্ধ রাতের ব্যাথা দিয়ে চলে গেছে নিঃস্বাসের পরশে বাতাসে রুপ আঁকি;
আর যতটুকু প্রেম শেফালীরা দিতে পারে শরতের একরাতে তার কতখানি ফাঁকি!
বুঝিনা জন্মের ব্যাথা, মৃত্যুর সুখ, আজন্ম রহস্যে কেন মরে জন্মের পরেই!
বৃদ্ধের অসহায়তার কারনে রুপবতী যুবতী মরে অত্যাচারে বৃদ্ধের আগেই।
তবুও অকূল পাথারে ভাসবে আত্মহত্যাকারী যেন নিস্তার নেই কোনখানেই।
বুঝতে পারিনা, মাকড়শার জালে আটকেছে হৃদয় তুফান বুঝতে গিয়ে মুক্তির স্বাদ;
স্বাধীন হয়ে মরতে চেয়ে আটকে গেছি, অসাবধতায় বুঝতে পারিনা এ মিথ্যে প্রতিবাদ।
সময়ের কারাগারে দেশ থেকে দেশ, বিশ্ব, মহাবিশ্ব; শুধু স্বপ্ন গুলোই চলে অবাধ।
মহাদেশ থেকে দেশ হয়েছে, দেশ থেকে দেশ তবু দেশের বুকেই মুক্তির স্লোগান,
ঘরে বহুযুগ ধরে নারী পায়নি বন্ধিত্ব থেকে পরিত্রান, গায় মুক্তির গান।
আর হৃদয় সমাজের শৃঙ্খলার বন্ধিত্ব থেকে মুক্তির পথ খুঁজে হয়রান।
বুঝতে পারিনা, কত ঈশ্বর লাগবে এ বিশ্ব চালাতে! আর কত যুদ্ধই ধর্মে
বাসা বেঁধে বলি দিয়ে যাবে দিনের পর দিন! আমায় ভাসিয়ে নিয়ে যায় কোন সে কর্মে
মহাসাগর থেকে মহাসাগরে চেনা চিন্তা গুলো অচেনা পথ ধরে নারকীয় তীরে!
সেই হৃদয় অকূলে, যেই পাখি গান গায় সেই পাখি কোনদিন থাকতে পারে না নীড়ে।
০৬.১১.১৩, ঢাকা।