“ক্ষমতার রথ”
আমরা হাঁপিয়ে গেছি ধৈর্যের বাঁধে ধরেছে চিড়,
আজ আমরা দিগভ্রান্ত আজ আমরা অস্থির।
ঘুরে ফিরে সেই আগের তাহারা,
কেবলি নতুন মুখোশের চেহারা।
অসুস্থ প্রথা-অসুস্থ মানসিকতা আজো আছে বলবৎ,
চলছে যা গত বিয়াল্লিশটি বছর যাবত।
বদলাবো বলে বদলায়নি এক কণা,
বরং পুর্ণ হয়েছে ষোল আনা।
পর্দার আড়ালে যা ছিল তাও আজ বেগানা।
কে কত কুৎসিত কিছুই নহে আর অজানা।
চলছে মিথ্যার সনে মিথ্যার লড়াই;হতে হবে প্রথম,
বুক চাপড়িয়ে সত্য করে ইজ্জত হারানোর মাতম।
উদার-স্বার্থহীনতা-শাশ্বত সত্যের কত উচ্চ শ্লোগান।
প্রয়োজন ফুরোলেই উন্মুক্ত-কে কত নিষ্ঠুর পালোয়ান।
একে একে দেখে নিলাম-সবি আগাছা;সবি রস চোষা,
আইলের উপর অবহেলায় পরে থাকে পচা গলিত আশা।
আমাদের মেরুদন্ডের হাড়ে গড়া মসনদের পায়া,
আমাদের রক্ত-ঘামের আঠায় হয়েছে জোড়া দেয়া ।
ক্ষমতার মসনদে বসে পায়ে দিস দোলা।
সবি ভুলে যায় ক্ষমতার ধ্যানে আত্মভোলা।
আমাদের কাঁধে চেপেই চলে ক্ষমতার রথ,
টেনে চলি আমরা উঁচু-নিচু পথ।
আবার আমাদের পিঠেই চাবুকের দাগ।
আমাদের সারা অঙ্গে তোর হিংস্র রাগ।
ক্ষমতার রথে চড়ার আগে কত আশার বাণী;কত তোষণ;
রথে উঠে বসেই মুখোশ খসে পরে;খোলাসা হয় যা ছিল গোপন।
সাধুসন্ন্যাসী-কত নিরীহ নূরানি চেহারা,
বাকি নেই কাউকে চিনতে;কেউ নয় গোবেচারা।
এরা-ওরা কেউ নয় আলাদা;নয় কেউ ভিন্ন।
কপালে হাত তুলে দূরে তাকিয়ে তাই;অপেক্ষা নয়া দিশারীর জন্য।