Today 12 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

মুক্তি যুদ্ধের গল্প (ছোটদের জন্য)

: | : ১৭/১১/২০১৩

শুভকে একদিন কথা দিয়েছিলাম, তাকে মুক্তি যুদ্ধের গল্প শুনাব। সেও বেশ কিছুদিন আগের কথা। এর মাঝে আর সময় করে উঠতে পারিনি। আমাদের বর্তমান প্রজন্মের শিশুরা এখনো যদি শুনে যে কোন লোক মুক্তি যোদ্ধা , অমনি তার কাছ থেকে মুক্তি যুদ্ধের গল্প শুনতে চায়। মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে এটা তাদের জানার অতৃপ্তির লক্ষণ। আমাদের মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে অনেক লেখা  লেখি হয়েছে,কিব্তু অধিকাংশ লেখাই বিভ্রান্তিকর। মুক্তি যুদ্ধ নিয়ে আমাদের জাতি দ্বিধাবিভক্ত। অবশ্য সেটা এখন নয়,যুদ্ধ চলা কালীন সময়েও ছিল। দেশের আপামর জনতার ৯৫% ভাগ দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়েছিল,আর ৫% ভাগ লড়েছিল পাকিস্তানের    অখন্ডতা বজায় রাখার জন্য।এই অংশটি আমাদের দেশ স্বাধীব হওয়ার পরও অপতৎপরতায় লিপ্ত ছিল, এখনও আছে যাতে আমরা পূবরায় পাকিস্তানের সাথে যুক্ত হই।সে দিন একজন পূর্ণ বয়স্ক লোক বলছিল রাজাকাররাও তো দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য যুদ্ধ করেছিল। কাজেই তারাও দেশ প্রেমিক। তাদেরকেও অবজ্ঞা করা যায় না।পরে আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি যে, উক্ত ব্যক্তির বাবা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তাদের এলাকায় শান্তি বাহিনীর চেয়ারম্যন ছিল।দ মুক্তিযুদ্ধাদের নিয়ে টানা টানি দেখে ১৯৯৬ সালে তখন আমি ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলার কসবা থানায় কর্মরত ছিলাম,বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছিলাম_মুক্তিযোদ্ধা মানেই মুক্তিযোদ্ধা, তাদের আবার আওয়ামী মুক্তযোদ্ধা, জাতিয়তা বাদী মুক্তিযোদ্ধা এমত নামে বিভক্ত করা হচ্ছে কেন? যে হারে মুক্তি যোদ্ধাদের নিয়ে ভাগাভাগি হচ্ছে তাতে আমার ভয় হয় কবে যেন শুনতে হবে যে, জামায়াতি মুক্তি যোদ্ধা গ্রোপ বেড়িয়েছে। আমার কথা কিন্তু একেবারে মিথ্যে প্রমানিত হয়নি। কারন এইতো

সম্ভবত ২০০৮ সালে জামায়াত পন্হীরা জামায়াতি মুক্তিযোদ্ধা নামে একটি  অঙ্গ সংগঠন বের করার চেস্টা করেছিল। কাজেই আমাদের দেশের স্বাধীনতা এখনও শংকামুক্ত হয়নি। আর সে কারনেই সত্য ঘটনার উপর নির্ভর করে আমাদের এখনও কোন ইতিহাস রচিত হয়নি। ফলে ছোট ছোট কোমল মতি শিশুরা এখনও বিভ্রান্তির মধ্যে আছে। কোনটি সঠিক আর কোনটি সঠিক নয় তা বুঝে উঠতে না পারায় কোন মুক্তি যোদ্ধা পেলেই তার কাছ থেকে মুক্তি যুদ্ধের গল্প শুনতে চায়। তারা চায় পুস্তক পাঠের মাধ্যমে প্রাপ্ত বিভ্রান্তিকর তথের আসল সমাধান। আমি শুভদের বাসায় ঢুকতেই শুভ বেড়িয়ে এল। আমি শুভকে দেখেই বললাম-

কি খবর শুভ কেমন আছ?

বেশ কিছু দিন বিরতি দিয়ে আজ আমার আগমন। কাজেই শুভ অবাক হওয়ার মত করে বললো-

মামা আপনি! এত দিন কোথায় ছিলেন?  আমি বললাম-

হ্যা মামা, ছিলাম তো ঢাকাতেই, কিন্তু খুবই ব্যস্ত ছিলাম।

তা অনিরুদ্ধ কই? সে বাসায় নেই?

শুভ বললো-“আছেতো মামা। আপনি বসুন ভাইয়া এসে যাবে।“

শুভ ও অনিরুদ্ধ আমার আপন ভাগিনা নয়, কিন্তু আমি ওদের খুব ভালবাসি। ওদের মা,র সাথে কর্মক্ষেত্রে পরিচয়। সেই সুবাদেই শুভ, অনিরুদ্ধর সাথে আমার পরিচয়। ওদের একটু পারিবারিক সমস্যা আছে। ওরা মূলত ভঙ্গুর পরিবারের সন্তান। ওদের মা খুব বড় একটি চাকরী নিয়ে মিশনে বিদেশে আছেন। শুনেছি মাসে ১৫ লক্ষ টাকা বেতন পান। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ওদের দেখা শোনা করার মতো তেমন কোন লোক নেই। কারণ ওদের কোন মামা নেই। বাবার সাথে সম্পর্ক না থাকার কারনে চাচাদের সাথেও সম্পর্ক নেই। কাজেই প্রথম দর্শনেই ছলেরা আমাকে মামা বলতে শুরু করে। তাদের আন্তরিকতা জড়িত মামা ডাক আমাকেও আকৃষ্ট করে। ফলে খুব কম দিনের মধ্যেই আমাদের মাঝে হৃদ্যতা তৈরী হয়। হৃদ্যতার এই ফল্গু ধারা প্রবাহিত হতে দেখে ওদের মা যেন মধ্য সাগরে ডুবতে যাওয়া প্রাণীর মতো ভেসে থাকা ভেলা পেয়ে আত্ন তৃপ্তির ঢেকুর তুলে। তাই তিনি বিদেশ যাওয়ার সময় আমাকে বলে গিয়েছিলেন বাচ্চাদের দেখা শোনা করতে। এজন্যই আমার মাঝে মাঝে এখানে আসা। আমি বসতে বসতেই

অনিরুদ্ধ চলে এলো। অনিরুদ্ধ এসে প্রথমেই বললো-

“মামা আজ কিন্তু আপনার যাওয়া হবে না।” আমি বললাম-

কেন মামা জরুরী কোন কাজ আছে কি?

“অবশ্যই আছে।“ অনিরুদ্ধ বললো।

আমি বললাম- কি কাজ বলো, যদি না থেকেও করে দেওয়া যায়। তাহলে থাকার দরকার কি?

“কেন মামা- আপনি কি আমাদের বাসায় থাকাটা খুবই খারাপ কাজ মনে করেন?”

আমি বললাম- ছি অনিরুদ্ধ, তোমাদের বাসাতো শুধু তোমাদের নয়। এটা আমার ভাগিনাদের বাসা।

“তাহলে আর কোন কথা নয়। আজ আপনি থাকছেন।“ অনিরুদ্ধ বললো।

আচ্ছা ঠিক আছে, আমি মেনে নিলাম। আজ আমি থাকছি। কিন্তু কথা হলো থাতে হবে কেন সেটাতো বলো?

“মামা এর মধ্যে ভুলে গেলেন?”

সরি, ভাগিনা। আমি বুড়ু হয়ে গেছিনা। আমি কি এখন তোমাদের মত সব কথা মনে রাখতে পারি? শুভ বললো-

“তাই বলে মুক্তি যুদ্ধের গল্প গুলো ভুলে যাবেন না আবার।“

না বাবা সেটা ভুলিনি। তাহলে কি আজ সে কারনেই থাকতে হবে?

অনিরুদ্ধ শুভ এক যোগে বললো-

“হ্যা মামা আজ আমাদের কোন পড়া নেই। আজ শুধু মুক্তি যুদ্ধের গল্প শোনা।“

আচ্ছা ঠিক আছে। তোমাদের নানু ভাল আছে তো?

“হ্যা ভাল আছে।“

তাহলে আমি তোমাদের নানুর সাথে একটু কথা বলে আসি। এর মধ্যে তোমরা ছোট খাটো পড়া গুলো শেষ করে ফেল। গল্প হবে রাত ৯ টার পর। আমি ভিতরে চলে গেলাম।

ছেলেরা মনের আনন্দে পড়তে শুরু করলো, মুক্তি যুদ্ধের গল্প শোনার লোভে।

ছেলেদের পড়া  শেষ হলো। সন্ধ্যার খাবার আমরা খেয়ে নিলাম।গল্প যদি বলতেই হয় তাহলে আর বসে বসে গল্প বলে লাভ কি। কারণ সম্ভবত গল্প বলার জন্য প্রতিটি গল্পের জন্য গল্পের বিষয় বস্তু অনুসারে পরিবেশ তৈরী করতে হয়। যেমন স্টেজ নাটক করতে হলে প্রথমেই তার জন্য সেট তৈরী করতে হয়। কারণ আমরা ছোট সময় যে সব গল্প শুনেছি দাদী, নানীদের কাছ থেকে, সে সকল গল্প ছিল সবি কাল্পনিক এবং প্রায় অধিকাংশ গল্পই ছিল ভুত প্রেত ও রাক্ষস খোক্কসদের গল্প।ামরা নানী দাদীদের কাছে শুয়ে সে সব গল্প শুনতে শুনতে ভয়ে হীম হয়ে যেতাম। আর যতটা পারতাম তাদের পেটের মধ্যে ঢুকে যেতাম। তার পর কখন যে ঘুমিয়ে পরতাম টেরই পেতাম না। কিন্তু আমার গল্প তো ভুত প্রেত বা রাক্ষস খোক্কসদের গল্প নয়, নয় সেই মধ্য যুগীয় রাজাদের যুদ্ধের বীরত্ব পূর্ণ কাহিনী। কাল্পনিক গল্প বলার সময় নানা রকমের রং লাগিয়ে তা বাচ্চাদের উপজিব্য করে তোলা যায়। কিন্তু বাস্তব গল্পের মধ্যেতো কোন প্রকার রং লাগানো যাবে না।তাই তো ভয় যদি গল্প শুনে ছেলেদের মন না ভরে। তবু আমি দুই ভাগিনাকে দুই পাশে নিয়ে

শুয়ে পরলাম এবং গল্প বলার শুরুতেই ঘরের বাতি নিভিয়ে দিলাম। আমি বললাম-

তোমরা কি জান আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে কত সালে?

শুভ বললো- “মামা, আমি জানিনা।”

অনিরুদ্ধ বললো-“আমি জানি, ১৯৭১ সালে।”

হ্যা অনিরুদ্ধ ঠিক বলেছে, আমাদের দেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীন হয়েছে। তাই বলে আমাদের স্বাধীনতা এক দিনেও আসেনি। আর আমাদের স্বাধীনতা কারও দানেও পাইনি। আমরা দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে পাক সেনাদের পরাজিত করে তার পর আমাদের স্বাধীনতা পেয়েছি। একটা দেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ হঠাৎ করেই ঘোসনা দেয়া যায় না। তার জন্য সমগ্র জাতিকে তৈরী করতে হয়। জাতির অধিকাংশ লোকের মনের মধ্যেই স্বাধীনতার আকাংখা তৈরী করতে হয়। কেন আমরা অন্যের অধিনতা থেকে স্বাধীনতা চাই, তা যুক্তি যুক্ত ভাবে সকল নাগরিককে বুঝাতে হয়। কারণ সকলেই জানে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করতে হলে অনেক লোকের প্রাণ যাবে। সেখানে যদি তাদের হৃদয়ে আবেগের সৃষ্টি না করা যায় তাহলে কেহই জীবনের ঝুকি নিয়ে যুদ্ধ করবে না। আর আমাদের জাতিকে স্বাধীনতার জন্য তৈরী করেছিলেন বাঙ্গালী জাতির মহান নেতা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার মতো নেতার কথায়ও কিন্তু লক্ষ

কোটি জনতা একদিনে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরতো না।এই স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য তিনি জাতিকে তৈরী করেছিলেন ২০ বছরেরও অধিক কাল ধরে। আমাদের স্বশস্র যুদ্ধ ১৯৭১ সালে শুরু হলেও মূলত আমাদের যুদ্ধ শুরু হয় সেই পাকিস্তান নামীয় রাস্ট্রের পত্তনের পর থেকেই। তার বহির্প্রকাশ ঘটে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। তোমরা কি জান যে,পাকিস্তানী শাসকেরা পাকিস্তান নামীয় রাষ্ট্রের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ লোক বাংলা ভাষায় কথা বলা সত্যেও তারা তাদের সংখ্যা লঘিষ্ঠ নাগরিকের উর্দু ভাষাকেই রাষ্ট্র ভাষা বানিয়ে আমাদের উপর উর্দু ভাষা চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল।১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যারা স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরুদ্ধে গিয়ে পাক হানাদারদের শায়তা করে বাঙ্গালী নিধন করেছিল, তারাও কিন্তু হঠাৎ করেই ১৯৭১ সালেই প্রথম বিরুধীতা করেনি। সেই ভাষা আন্দোলনের সময়বা তারও আগে থেকেই তারা বাঙ্গালীদের বিভিন্ন দাবীর বিরুদ্ধে ছিল

কারণ তারা সকলেই ইসলাম ধর্মকে সহজ সরল বাঙ্গালীদের সামনে তোলে ধরে আরবী বর্ণমালায় লিখিত উর্দু ভাষাকেই মুসলমানী ভাষা হিসেবে প্রচার করতে চেষ্টা করেছিল।

কিন্তু তখন আমাদের বীর ছাত্ররা প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। ফলে তাদের নিয়ন্রন করার জন্য

পাকিস্তান সরকার সান্ধ্য আইন জারি করে। কিন্তু আমাদের ছাত্ররা সান্ধ্য আিন ভঙ্গ করে মিছিল নিয়ে বেড়িয়ে পরে। ছাত্রদের দমন করার জন্য পাক সেনারা বাঙ্গালী ছাত্রদের মিছিলের উপর নির্বিচারে গুলি চালায়। সেই গুলিতে শহীদ হন সালাম, বরকত,রফিক, জব্বার সহ  নাম না জানা আরও অনেক লোক।তারা জীবন দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করে বঙ্গালী জাতির মাতৃ ভাষায় কথা বলার  অধিকার। এই আন্দোলন থেকেই নড়ে চড়ে উঠে বাঙ্গালী। তারা যে স্বাধীন পাকিস্তান নামীয় রাস্ট্রের দ্বারা শোসিত হচ্ছে তা বুঝতে শুরু করে।১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বাঙ্গালীরা সংখ্যা ঘরিষ্ট সীট পেয়েও দেশ শাসন করতে পারে না। পাকিস্তানীরা বিভিন্ন কায়দায় বাঙ্গালীর শাসন ব্যবস্হা ভন্ডুল  করে দেয়। শেষাবদী সেনা কর্মকর্তা মুহম্মদ আইয়ুব খান দেশে সামরিক শাসন জারি করে দেশের

শাসন ভার নিজ হাতে তোলে নেন। ের পর থেকে চলতে থাকে দমন পীড়ণ, শোষন, বাঙ্গালী নেতাদের কারা বন্ধী করণ।পাকিস্তানী শাসকদের বিরুদ্ধে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে আন্দোলন জোরদার হতে থাকে। ১৯৬৬ সালে বাঙ্গালীর প্রিয় নে্তা শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা দাবী পেশ করেন। বাংলাদেশ তথা পূর্ব পাকিস্তানে চলতে থাকে ৬ দফা দাবী আদায়ের আন্দোলন।ইতোমধ্যে শেখ মুজিবুর রহমানকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য আইয়ুব খান মিথ্যা আগড়তলা ষড়যন্র মামলা শুরু করে। পূর্ব পাকিস্তানে আন্দোলন তোঙ্গে উঠে। শেখ মুজিবকে ছাড়িয়ে আনার আন্দোলন গন অভ্যুথ্বানে রুপ নেয়। ফলে ১৯৬৯ এর গনঅভ্যুথ্বানে পাকিস্তান সরকার বাধ্য হয় আগড়তলা ষড়যন্র মামলা প্রত্যাহার করে শেখ মুজিব সহ সকল নেতৃবৃন্দকে ছেড়ে দিতে। আইয়ুব খান জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে সরে পরেন। দেশে জাতিয় নির্বাচন দেওয়া হয়। ১৯৭০ সালের এই নির্বাচনে বাঙ্গালীরা পূর্ব পাকিস্তানের সব কটি সীটেই জয় লাভ করে।ফলে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে তালবাহানা শুরু করে পাকিস্তানী শাসকেরা। ফলে

৭ই মার্চ রেস কোর্স ময়দানে বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই ঐতিহাসিক ভাসন দান করেন। যা ৭ই মার্চের বিখ্যাত ভাসন নামে খ্যাত। যে ভাসনে তিনি বলেছিলেন–“এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।” ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোল। আমি যডি হুকুম দেবার নাও পারি, যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে,।এখন তোমরাই বলো, এই কথার পরো কি আর স্বাধীনতার ঘোসনা দেওয়ার দরকার পরে?তার পরো কেহ কেহ বলে বঙ্গ বন্ধু তো স্বাধীনতার ঘোসনা দেননি। তথাপী শোনা যায় ২৬ মার্চ ভোর রাতে তিনি স্বাধীনতার ঘোসনা পত্র বিভিন্ন লোকের নিকট পাঠিয়েছিলেন। তারই একটি কপি ই পি আর দের ওয়ার্লেসের মাধ্যমে চট্রগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে পৌঁছলে, সেই ঘোসনা পত্রের একটি কপি ২৭ মার্চ কালুর ঘাট বেতার কেন্দ্রে পৌঁছলে মেজর জিয়া শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে সেই ঘোসনা পত্রটি পাঠ করে শোনান। যদিও ২৭ তারিখের আগেই দেশে যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছিল। অনিরুদ্ধ, শুভ, তোমরা ঘুমিয়ে পরেছ?ঠিক আছে বাকি গল্প তোমাদের আর একদিন শুনাব।

 

 

লেখক সম্পর্কে জানুন |
সর্বমোট পোস্ট: ০ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ১ টি
নিবন্ধন করেছেন: মিনিটে

মন্তব্য করুন

go_top